নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরদী ঘোনাপাড়া মুরাদপুর এলাকার মাহমুদ আলী গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে তার গর্ভবতী স্ত্রী নিছফা আক্তার কে স্বজোড়ে লাথি মারলে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়েন। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধৃত মাহমুদ ওই এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উক্ত মাহমুদ আলী প্রায় ১৭ বছর পুর্বে উপজেলার করগাও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে নিছফা আক্তার কে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে বিয়ে করে। ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ২য় স্ত্রী কে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এনিয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১ম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামীর মাহমুদ আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী স্বজোড়ে স্ত্রী নিছফা আক্তারের পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যু বরণ করে। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ সময় ঘাতক স্বামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, নিহতের পরিবার কোন মামলা দেয়নি। তবে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।