বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজি সুফি মিয়ার পুত্র কাজি শামীম আহমেদ বাদি হয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাহি, গোসাইপুর এলাকার বাসিন্দা চশমা তারেকসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১শ থেকে ২শ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলাটি এফআইরগণ্যে রুজু করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন। ওই মামলা নবীগঞ্জের বিএনপির পরিবারের ইনাতগঞ্জ বিএনপির নেতা ও উপজেলা শ্রমিকদলের নেতা জিয়া উদ্দিনকে উদ্দেশ্য মূলক আসামী করায় নেতাকর্মীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার দিন সময় তারিখে জিয়া উদ্দিন ইনাতগনজ তার বাড়িতে অবস্থান করেন। জিয়া উদ্দিন অবৈধ সরকার পতন আন্দোলনে একজন নিবেদিত কর্মী হিসাবে কাজ করছে। নেতাদের দাবি জিয়া উদ্দিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত নয় তাকে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে উক্ত মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা থেকে অবাহতি দিতে নবীগঞ্জ বিএনপি ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর আহবান। উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই দুপুরে সদর থানাধীন টাউন হলের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে শামীম আহমেদসহ মঞ্জু মিয়া, দুলাল মিয়া, জয়নাল সর্দার, আল আমিন, হেলালুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। এবং জিয়া উদ্দিনের মত আর কোন নিরীহ এবং ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন কেউ আসামী পরে থাকলে তাদের মামলা হতে অব্যহতি প্রদান করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।