Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Tuesday, 23 April 2024

Local News

Local News (155)

নির্বাচনী হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ  উপজেলার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মুল আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার সর্বত্র নানা আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আমেজে অনেকটা ভাটা পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক হলরুমে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান শেফু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কৃষক লীগ নেতা হেলাল চৌধুরী, রুবেল আল মামুন তালুকদার এর মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করেন হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা  প্রভাংশু সোম মহান। তফসীল অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ও নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান শেফু হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। বাতিল মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আগামী ২৩-২৬ এপ্রিল আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং আপিল শুনানি ২৭ এপ্রিল বলে জানান হবিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান। যাদের বৈধ হয়েছে তারা হলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল ও এড. সুলতান মাহমুদ, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইমদাদুর রহমান মুকুল, হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ,লন্ডন প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ কামাল আবু তালিব, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সভাপতি ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, শাহ মোস্তাকিম আহমেদ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ গতি গোবিন্দ দাশ, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ আব্দুল আলীম ইয়াছিনী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ অনর উদ্দিন চৌধুরী জাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী সালমান, মুফতী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি আওয়ামীলীগের লড়াই হবে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ছইফা রহমান কাকলী। ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাচাই, ৩০ এপ্রিল প্রত্যাহার  ২ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে । নবীগঞ্জে মোট ভোটার ২ ল ৮২ হাজার ৭ শত ১৪। নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মনোনয়ন বাতিলের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আবারও আপিল করবেন বলে জানান। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না কল কেটে দেন। হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সাংবাদিকদের তথ্য দিতে বাধ্য নয় আপনারা জেলা রিটানিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি এতো বেশি ফোনেকথা বলি না।হবিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান  রাত ৭টার সময় বলেন, চেয়ারম্যান পদে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, মুজিবুর রহমান শেফু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেলাল চৌধুরী, রুবেল আল মামুন তালুকদার এর মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। তারা সবাই তাদের হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে এই জন্য তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নবীগঞ্জের বিশিষ্ট বাউল সাদক লেবু মিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনির রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৮ রমজান) অসুস্থ বাউল লেবু মিয়া সরকারের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলা আউশকান্দি ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামে ইফতার পূর্বক দুরুদ শরিফ শেষে রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন, ডাক্তার নাজমুল হক চৌধুরী। উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ জজ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোহেল আহমদ, সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, প্রবাসী সাংবাদিক শাহ আখতার আলী, প্রবাসী মো: দিলশাদ মিয়া, মুরুব্বি তাজুদ মিয়া, শ্রমিক নেতা রুজু মিয়া সহ আরো অনেকেই।  উল্লেখ যে, গত ২/৩ মাস পূর্বে বাউল শিল্পী লেবু মিয়ার মাথায় ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। যার নুন আনতে পানতা পূড়ায় সে আবার এতো বড় রোগের কিভাবে চিকিৎসা করাবেন। তিনি অসুস্থতার খবরে তার ভক্ত বৃন্দরা যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দোয়া সহ সাহায্যে আবেদন করেন। এমন কি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোকজনও এগিয়ে আসেন। এরপর কিছু টাকা পয়সা মিলিয়ে চলে যান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে প্রায় ১০/১২ দিন চিকিৎসা নিয়ে পূণরায় গতকাল বাড়িতে আসেন। এরপর ডাক্তারের কথা মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসলে রোগটি আরো বেড়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার কোন অবনতি না হওয়ার গতকাল বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে তিনির শরীরের এক সাইড অবস হয়ে যায়। এমন কি কথা বলাও বন্ধ হয়ে গেছে। তিনির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অভাব অনুঠনের কারণে সময় মতো চিকিৎসা করতে না পারায় রোগটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছেন। তিনির পরিবারের লোকজন দেশ- বিদেশের সকলের কাছে সাহায্য সহ দোয়া চেয়েছেন।

বিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাপা নেতা এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু গুরুতর অসুস্থ। তিনি কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে লন্ডনস্থ রয়েল হসপিটালের ৯ তলায় ভর্তি হয়েছেন। এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। তিনি সকলের নিকট দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেছেন।

 

নবীগঞ্জ উপজেলার ফার্মাসিউক্যালস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র সভাপতি মোঃ গোলাম রহমান লিমন এর উদ্দ্যোগে ও ম্যানাজার এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে নবীগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট, মিম্বর টাওয়ারের ৩য় তলায়, বিবিয়ানা চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টারে গত শনিবার এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিঠু (সিলেট মিরর), সাবেক সভাপতি এটিএম সালাম (যায়যায়দিন), নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া (কালের কন্ঠ) ও ক্বারী মোঃ আবু বক্কর।  ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন এরিয়া ম্যানাজার মোঃ হুমায়ুন কবির (ইনসেপ্টা), আবু হানিফ (রেনেটা), আব্দুল হামিদ (এপেক্স)।  সার্বিক সহযোগীতায় মোঃ ফখরুল ইসলাম (এসকেএফ), এচাহাক আলী (নিপা ফার্মা)। এমপিওদের মধ্যে মাসুদ তালুকদার (লীড ফার্মা), হাকিম নজরুল ইসলাম (ফেনী দাওয়াখানা), রুবেল রানা (রেডিয়েন্ট), বিনয় কুমার (সোমাটেক), কিরন দেব (এপেক্স), গৌতম চন্দ্র দেব (কনকর্ড)।  ম্যানাজার এসোসিয়েশনের মধ্যে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন ইমানুর রহমান (একমি), হজরত আলী (নাভানা), হাফিজুর রহমান (পপুলার), ঊজ্জ্বল কুমার মোদক (কুমুদিনী), শাহিনুর রহমান (এরিস্ট্রো ফার্মা), আরিফুল ইসলাম (ড্রাগ), এমডি মুর্শেদুল আলম (হেলথ কেয়ার), মোঃ জাকারিয়া (জিসকা), লোকমান মিয়া (গেøাভ), আকরাম হোসেন (এলকো), নয়ন মনি সরকার (সিলকো), দীনেশ রঞ্জন দাশ (ওয়ান ফার্মা)। ফারিয়া’র সদস্যদের মধ্যে লুৎফুর রহমান (টীম), আরব আলী, দুলাল উদ্দিন, মতিউর রহমান (স্কয়ার), আশরাফুল, তৌহিদুল ইসলাম, আলমগীর মিয়া (এসকেএফ), আল মামুন (ইনসেপ্টা), বেনজির খাঁন, ইমন আহমেদ (বেক্সিমকো), মোশাহিদ আলী, রমজান আলী, আসাদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, ইমরান আহমেদ, আইয়ূব আলী (রেনেটা), মুমিন মিয়া, ইব্রাহিম, আবু রায়হান, মোঃ সেলিম (এসিআই), রুবেল রানা- ২, শরিফ উদ্দিন, আব্দুল হাদী, নাজমুল হক (রেডিয়েন্ট), মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ রাজু আহমেদ (ড্রাগ), মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর (অপসোনীন), সুব্রত ঘোষ (একমি), সাইফুল (পপুলার), সানি খন্দকার (হেলথ কেয়ার), রাজিব চক্রবর্তী (এরিস্ট্রো ফার্মা), রবিউল ইসলাম (ইউনিমেট হেলথ), মিজান (জিসকা), বাপ্পী (ওয়ান ফার্মা), রাশেদুল আলম, রুবেল হোসেন (ইবনে সিনা), আব্দুর রাজ্জাক (নাভানা)।  পরিশেষে সকল এরিয়া ম্যানাজার, বিশেষ অতিথি ও ফারিয়া’র সদস্যগণ উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আয়োজন করার  জন্য ফারিয়ার সভাপতি মো: গোলাম রহমান লিমনকে ধন্যবাদ জানান।

পরিবার ছেড়ে বিদেশে যাওয়া দেশের অধিকাংশ অভিবাসী নারী গৃহকর্মী হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার পর তাদের মুখে নির্যাতনের ভয়ংকর বর্ণনা শুনে আতঙ্ক জাগে মনে। নির্যাতিত যেসব নারী পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের শরীরেও নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট। দেশে ফিরে তারা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললেও অধিকাংশই সামাজিক কারণে মুখ বন্ধ রাখেন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নিয়োগ কর্তার নির্যাতনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন নবীগঞ্জ উপজেলার রাবিয়া খাতুন (৩৮)। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ রাবিয়া দেশে ফেরার পর পরিবারকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের কাছে রাবিয়া খাতুনকে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার।
গত শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। রাবিয়া খাতুন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামের নবির হোসেনের মেয়ে ও কাজল উল্লাহর স্ত্রী। রাবিয়া খাতুনের পরিবার ও ব্র্যাক সূত্রে জানা যায়- পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ২০২২ সালে রিক্রুটিং এজেন্সি দ্য ইফতি ওভারসিজ (আরএল-৮৯৪) মাধ্যমে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার ভিসায় পাড়ি জমান রাবিয়া খাতুন। সেখানে যাওয়ার পর রাবিয়া খাতুনের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। প্রতিনিয়ত নিয়োগকর্তার নির্যাতনে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাবিয়া। বন্ধ হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। গত বুধবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন রাবিয়া খাতুন। রাতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন রাবিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে রাবিয়াকে ক্যানপিতে ল্যহীন চলাফেরা করতে দেখে এপিবিএন সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে যান। তবে তার কাছে কারও মোবাইল নম্বর বা কোনো তথ্য না থাকায় পরিবার খুঁজে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য এপিবিএন সদস্যরা তাকে ঢাকার আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে পাঠান। রাবিয়ার পরিবারের সন্ধান পেতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়ন গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা চান। পরে হবিগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী-জনপ্রতিনিধিদের ও সচেতন কিছু যুবকের প্রচেষ্ঠার ফলে রাবিয়া খাতুনের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাবিয়া খাতুনের পরিবারের। মায়ের সন্ধান পেয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতেই রাবিয়া খাতুনের মেয়ে তাছলিমা আক্তার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মকর্তারা রাবিয়া খাতুনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রয়েছে আলাদা অভিবাসন কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারীশ্রমিকের লাশ এসেছে দেশে। যার মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে সৌদি আরব, জর্দান, লেবানন ও ওমানে। এই সময়ে মারা গিয়েছেন সৌদি আরবে ২০২ জন, জর্দানে ৯৬ জন, লেবাননে ৭৮ জন ও ওমানে ৫৮ জন। সালের হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছিল ২০২৯ সালে, ১৩৯ জন। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৯৪, ২০১৮ সালে ১১০, ২০১৯ সালে ১৩৯, ২০২০ সালে ৮০, ২০২১ সালে ১২২ এবং ২০২২ সালে ১১৭ জন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু। এ ছাড়াও মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণজনিত ১৯ শতাংশ, আত্মহত্যা ১৬, দুর্ঘটনা ১৫ এবং অন্যান্য কারণে ১৩ শতাংশ নারীশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বছরে গড়ে তিন থেকে চার হাজার নারী ফিরতে বাধ্য হন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে গেছেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরে আসেন তাদের অনেকেই। বিদেশে নির্যাতনের কারনে মারা যান অনেক নারী কর্মী। মৃত নারী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর এই কারণ বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাবিয়া খাতুনের স্বামী কাজল উল্লাহ বলেন- আমার স্ত্রী সৌদি আরব যাওয়ার পর মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল, যাওয়ার পর থেকে তার উপর নানাভাবে নির্যাতন করে নিয়োগকর্তা। বিগত ১ মাস ধরে আমার স্ত্রী রাবিয়াকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলনা, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেলাম আমার স্ত্রী দেশে এসেছে, ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে আছে। পরে আমার মেয়ে ঢাকায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান- রাবিয়া প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কাজল উল্লাহ তাঁর স্ত্রীর উপর ঘটে যাওয়া অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবী করে নারীদের প্রবাসে পাড়ি জমাতে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মো. আল আমিন নয়ন বলেন, ‘রাবিয়া আমাদের বলেছেন, তিনি সৌদিতে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে একা বাড়ি পাঠাতে পারিনি। গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে শনিবার রাবিয়ার পরিবারের কাছে রাবিয়াকে হস্তান্তর করি।

নবীগঞ্জে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে শহরবাসীর নাভিশ^াস উঠেছে। গরম পড়তে না পড়তেই এখন প্রতিদিন রুটিন করে বিদ্যুত নেয়া হচ্ছে। কিসের ইফতার কিসের তারাহি ও সাহরি, সকল সময়ই হুট করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। অথচ রমজানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমজানে বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন রমজান প্রায় শেষের পথে হলেও শুরু থেকেই এমন পরিস্থিতি দেখা যায় হবিগঞ্জে। সামান্য বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই সাথে সাথে চলে যায় বৃষ্টি। একবার চলে গেলে তা আসার নাম গন্ধ থাকে না। অফিসের জরুরি নম্বরে কিংবা নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিক ফোন করলেও কোনো উত্তর মিলে না। যে কারণে পবিত্র রমজান মাসেও ভোগান্তির শেষ নেই নবীগঞ্জ শহরবাসীর। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছামাফিক বিদ্যুত নেয়ায় বাসা বাড়ির ফ্রিজ, টিভিসহ ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। গত রবিবার থেকে গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুতের অবস্থা ভয়াবহ। শহরের মধ্য বাজার, নতুন বাজার, আশপাশের গ্রাম, চরগাও. গন্ধ্যা,রাজনগরসহ সবকটি এলাকায় বিদ্যুত একবার নিলে আসার নাম থাকে না। এতে অফিস আদালতসহ বাসা-বাড়ির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

নবীগঞ্জে আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এম এ গফুর চৌধুরী কল্যাণ ট্রাষ্টের সৌজন্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার ২২ রমজান উপজেলার কুর্শী ইউনিয়নের সরকার বাড়িতে প্রায় তিনশতাধীক লোককে ইফতার করানো হয়েছে। এ সময় সরকার বাড়ির সকল মুর্দেগানের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন, হাফেজ মৌলানা মাসুক মিয়া। এম এ গফুর চৌধুরী কল্যান ট্রাষ্টের বর্তমান সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, আবুল কালাম মিঠু, ১০নং দেবপাড় ইউপির ইউপি সদস্য বশির আহমদ, এ.টি.এম ইউনুস মিয়া চৌধুরী, তোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, তাহিরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির, আবুল মিয়া, ছোটন শিকদার, সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান,  সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, সাগর মিয়া, গোলেমান খাঁন, মোঃ রাহি চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, ব্যবসায়ী হাসান মাহদুদ চাইম, মামুন চৌধুরী, আকাব উদ্দিন মিয়া, মো: ছালেহ আহমেদ, শ্রমিক নেতা দিলখাছ, আব্দুল হালিম, কালাম মিয়া, রুজু মিয়া, সাদিক মিয়া, ব্যবসায়ী শাহ আশরাফ আলী, আবুল কালাম, নেফু মিয়া, বদরুল মিয়া, ডাক্তার রুহেল আহমদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জুনাঈদ আহমদ, হুমাউন আহমদ প্রমূখ।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের না জানিয়ে জাইকা প্রকল্পের অধীনে নদী খনন করতে চাইলে এলাকার সচেতন মহল ফুঁসে উঠেছেন। তার প্রতিকার চেয়ে দুটি ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামের লোকজন গণস্বাক্ষর দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও প্রকৌশনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সূত্রে প্রকাশ-ওই  উপজেলার ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়নের ,৬,৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তীস্থান ঘেঁসে বয়ে গেছে নরখাই নদী। কালের বিবর্তে নদীর কোনো কোনো স্থান চর হয়েছে।  ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দু,বারের ইউপি সদস্য খালেদ হাসান দুলন তার নিজস্ব লোক নিয়ে একটি  কমিটি ও পরে সমিতি গঠন করে জাইকা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। এতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্ধ মন্জুর হয়। সম্প্রতি ওই নদীর তীরবর্তী ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সচেতন মহল নদী খননের সংবাদ পেয়েছেন। এরই মধ্যে জাইকা প্রকল্পের লোকজন নদীর সীমানা নির্ধারন করতে সরেজমিনে আসেন।  এসময় কয়েক গ্রামের লোকজনদের বাঁধার মুখে তারা স্থান ত্যাগ করেন। পরে  ওই এলাকার  কয়েক গ্রামের হাজারো লোকজন কয়েক দফায় কামারগাঁও গ্রামের জনৈক শামীম মিয়ার বাড়িতে বৈঠক করেন। সকলের সম্মতিতে নরখাই নদী রক্ষায় দেড়শতাধিক লোকের সমন্বয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই ৩ টি ওয়ার্ডের সচেতন মহলের লোকজন গনস্বাক্ষর নিয়ে গত ২৮ মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ষাটোর্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধ বলেন ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেদ হাসান দুলন ও তার লোকজন যদি এলাকার সচেতন মহল ও মান্যগণ্য লোকজনদের সমন্বয়ে ও সহযোগীতা নিয়ে কমিটি বা সমিতি করে নদী খননের কাজে হাত দিতেন তাহা হলে ভালো হতো। কিন্তু তারা বিপরীত কাজ করায় এলাকার জনগন ফুঁসে উঠেছেন। ওই এলাকার লোকজনদের একটাই দাবি যাদের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারা যদি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন তাহা হলে ওই এলাকা শান্ত থাকবে। নতুবা আইনশৃঙ্খলার অবনতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ক্রাইমজুন হিসাবে পরিচিত ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের ফাদুল্লা- দৌলতপুর গ্রামে ডাকতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।শনিবার (৩১মার্চ) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, দীঘলবাক ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র শামিম মিয়া (৩৩), ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তৈয়ব উল্লার পুত্র আরজান মিয়া (৩৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী দিকনির্দেশনায় ও এসআই মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশের বিশেষ অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুক আলী গ্রেফতারকৃত গরু চোরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আইন উদ্দিন (২৭) নামে  এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট বাংলাদেশ। সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) সদস্য বলে জানিয়েছে এন্টি টেররিজম ইউনিট ।শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আইন উদ্দিনকে আসামী করে এন্টি টেররিজম ইউনিট বাংলাদেশের উপ পুলিশ পরিদর্শক বদরুল আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।গ্রেফতারকৃত আইন উদ্দিন (২৭) বাউসা ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের ছেলে । মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- আইন উদ্দিন ও তার সহযোগীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লক্ষ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) দলের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উগ্রবাদ বিভিন্ন পোষ্ট করতে থাকে।  এরপর থেকে আইন উদ্দিনকে নজরদারীতে রাখে এন্টি টেররিজম ইউনিট। শুক্রবার সকালে এন্টি টেররিজম ইউনিট নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশডর গ্রামে আইন উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আইন উদ্দিনের শয়ন কক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।পরে আইন উদ্দিন (২৭) ও তার সহেযাগীদের আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত গোলাম মুর্শিদ সরকার গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1 2 3 4 5 6 7
8 9 10 11 12 13 14
15 16 17 18 19 20 21
22 23 24 25 26 27 28
29 30