Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 08 December 2024

Local News

Local News (227)

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সিনিয়র জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদেও দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং অনলাইন কয়েকজন সাংবাদিক ব্যতিত অধিকাংশ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিকদেও দাওয়াত দেয়া হয়নি। সুত্রে জানাযায়, হবিগঞ্জ জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা’র সাথে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি,কর্মকর্তা-কর্মচারী,রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেও সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। উক্ত মতবিনিময় সভায় গোটা কয়েক সাংবাদিক ব্যতিত অধিকাংশ সিনিয়র জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের দাওয়াত না পাওয়ায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ কর্তা ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভার সংবাদ কভার দেয়া থেকে বঞ্চিত হন। এতে সিনিয়র সাংবাদিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সিনিয়র সাংবাদিক ইনকিলাব প্রতিনিধি ফখরুল আহসান চৌধুরী বলেছেন, ডিসি মহোদয়ের গুরুত্বপূর্ণ সভায় দাওয়া না পাওয়া দুঃখ জনক। সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, জুনিয়র অনলাইন সাংবাদিক স্বপন রবি দাশের যে সভায় দাওয়াত থাকে, সেই সভায় আমাদেও দাওয়াত মানায় না। এজন্যই হয়তো বা দাওয়াত পাইনি। সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি এটিএম সালাম বলেছেন, মান্যবর জেলা প্রশাসক নবীগঞ্জে মতবিনিময় সভা করেছেন, দাওয়াত না পাওয়ায় এই সংবাদ সংগ্রহ করে কভার দেয়া যায়নি। ফেসবুক সুত্রে জানতে পেরেছি, যা খুবই দুঃখ জনক।
 
 
 
 

নবীগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে চলতি বছর ড্রেন নির্মাণের মেগা প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নবীগঞ্জ থানা রোডে প্রায় ৩ শত ফুট পুরাতন ড্রেনের উপরই কাজ শেষ করতে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। ওই ড্রেন না ভেঙ্গেই পুরাতন ড্রেন বহাল রেখে উপরে কিছু কাজ করে টাইলস বসানো হচ্ছে। এতে কমপক্ষে ৫/১০ লাখ টাকা বাচালো ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। নীরব রয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টকর্তা ব্যক্তিরা। এছাড়া নির্মিত ড্রেন গুলোতে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে। সুত্রে জানাযায়, চলতি বছর নবীগঞ্জ পৌর শহরের জলবদ্ধতা দুরীকরনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক মেগা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার ড্রেন নির্মানের কাজ হাতে নেয়। সিলেটের একটি টিকাদারী প্রতিষ্টান কাজটি পেয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হলে শহরের জলবদ্ধতা অনেকটাই কমে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা পৌর কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের। তবে এই বিশাল প্রকল্পের কাজে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। নিম্ব মানের মালামাল ব্যবহারসহ যথাযথভাবে কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজ। কাজ গুলো দেখা শুনার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগ, হবিগঞ্জের থাকলেও তাদের তদারকি হচ্ছে নামমাত্র। টিকাদারী প্রতিষ্টান তাদের ইচ্ছমতো কাজ শেষ করতে যাচ্ছেন। এদিকে নবীগঞ্জ থানা রোডে প্রায় ৩ শত ফুট পুরাতন ড্রেন না ভেঙ্গে উপরের অংশে কিছু কাজ করেই টাইলসের কাজ শুরু করেছেন টিকাদারী প্রতিষ্টান। কার স্বার্থে এমনটা হয়েছে তা বুঝা মুশকিল। কিন্তু নীরবতা পালন করতে দেখা গেছে তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি হতভাক করেছে পৌর নাগরিকদের। উক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর অবঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (৯৭) সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা ৩০ মিনিটের সময় ঢাকাস্থ সি.এম.এইচ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পুত্র সন্তান ও দুই কন্যা সন্তান, ভাই-বোন সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রনাংগনের সাথী সহযোদ্ধা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন) জানাযায়, ১৪ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকালে সি.এম.এইচ এর হিমঘর থেকে প্রথমে তার মরদেহ সিগন্যাল কোর সদর দপ্তরে নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ সামরিক মর্যাদা প্রদান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর মরদেহ তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্হ বাসভবনে নেয়ার পর সেখান থেকে গ্রামের বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার (পুরাদিয়া) কামারগাঁওস্হ বাসভবনে এসে পৌছলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আত্মীয় স্বজন সহ গ্রামবাসী ১৯৭১ এর রণাঙ্গনের সাথী সহযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধার সন্তানেরা জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত কফিনে তাঁর মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে নুরগাঁও মাদ্রাসা ময়দানে তাঁর জানাযার নামাজ শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় নবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শাহীন দেলোয়ারের উপস্থিতিতে পুলিেশর এস.আই অনিক পাল ও এ.এস.আই সুমনের নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ তাঁকে গার্ড অব অনার রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন। জানাযার পূর্বে মরহুমের জীবন বৃতন্ত নিয়ে আলোচনা করেন, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, মরহুমের চাচাতো ভাই সমাজসেবী দিলাওর হোসেন চৌধুরী, দীঘলবাক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুজাত চৌধুরী, মরহুমের পুত্র টিপু চৌধুরী সহ আরো অনেকেই। এসময় উপস্থিত থেকে জানাযায় অংশ নেন জালালাবাদ সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সালেহ উদ্দিন, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নুরপুর রুহুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন সিদ্দিকী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কলমদর মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধো সন্তান কমান্ডের সাধারন সম্পাদক নিজামুল ইসলাম চৌধুরী, বীমা ব্যক্তিত্ব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী শামীম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সিগন্যাল কোর এর দাযিত্বরত কর্মকর্তা হিসেবে সুবেদার মেজর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তৎকালীন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দায়িত্বরত পাকিস্তানি জান্তা জেনারেল রাও ফরমান আলী কর্তৃক বাঙালী নিধনের সংবাদ দেশের সকল সেনানিবাসে প্রচারের নির্দেশ দিলে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তা অমান্য করে সেনাট্রান্সমিশন মেশিন বিকল করে অন্যান্য সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেদিন অস্রাগার লুন্ঠন করে সেনানিবাস ত্যাগ করে স্বাধীনতা পাগল বাঙ্গালীদের সাথে মিশে গিয়ে ক্ষ্যাপ টাইগারের মতো পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ৫নং সেক্টরের অধীনে তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা সহ দেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসীম সাহসিকতার সহিত পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সময়ে যুদ্ধ করে লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন। বিশেষ করে সিলেটের শেরপুরের যুদ্ধে তিনি অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহন করে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটালেও স্হায়ীভাবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্হ মানিকদি এলাকায় নিজ বাসভবনে বসবাস করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে জানাযা শেষে পুর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রামের বাড়ী নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাঁও (পুরাদিয়া) গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে চার জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের নিকট তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রার্থীরা হলেন, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, মোঃ ফরিদ উদ্দিন তালুকদার এবং মোঃ নূরুল হক। নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান জানান, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, আপিলের সময় ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ এবং ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলা, ৫ পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক হাজার ১০৪ ভোটার রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর আলেয়া আক্তার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দিয়ে উন্মুক্ত রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সকলের সমর্থন পেয়ে আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। সকলের ভোট, দোয়া, আশির্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করি।’

নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও রাসুল (সাঃ)কে কটুক্তি করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। এই পোষ্টকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে তাৎক্ষনিক এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান অনেকেই। গত রবিবার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া বাজারে অনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। সভায় নেতৃবৃন্দ তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। ফেসইবুক আইডিতে পোস্ট করার অবিযোগে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারী) সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানাযায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে ‘আস্তিক বনাম নাস্তিক ধর্ম বিজ্ঞান যুক্তিসংগত আলোচনা’ নামক ফেসবুক গ্রুপে গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দুটি পোস্ট করে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার শিবপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারী ফেসইবুকে পোস্টে অনির্বাণ নাগ অনি রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করে। এর পরপরই অনির্বাণের ফেসইবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। অনির্বাণ নাগ অনিকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী করে শতাধিক পোস্ট করেন ফেসইবুক ব্যবহারকারীরা। গতকাল রবিবার নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মুসলিম জনগণের পক্ষে গণস্বাক্ষর দিয়ে অনির্বানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এতে, অর্নিবানকে গ্রেফতারে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপর হয়ে উঠে। ইতিপর্বেও অনির্বাণের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উস্কানিমূলক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে। বার বার ফেসইবুক আইডি হ্যাক হওয়ার দাবী করে রক্ষা পেয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে অনির্বাণ নাগ অনি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবী করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছে। এরপর থেকে তার আইডি ফেসইবুকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, সাংগঠনিক শৃংখলাভঙ্গ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস ও কমেন্টের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনিকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। গত রবিবার জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিস্কারাদেশ প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুক আলী বলেন, এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে এক শ্রেণির লোক কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন কর বিক্রি করে আসছে। এতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দিনে ও রাতের বেলায় অবৈধ ভাবে মাঠি উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় নবীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় নুরে আলম নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার। এ সময় তিনি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় পশ্চিম তিমির গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র নুরে আলমকে অবৈধ মাটি বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন নবীগঞ্জ থানা এ.এস.আই হাসান বদরুল ও তার সঙ্গীয় একটি টিম। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, যারা অবৈধভাবে মাটি বা বালি উত্তোলন করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় ভূমিকম্প, বাড়িঘরে ফাটল দেয়ার ঘটনাটি প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছে পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি। এদিকে প্রতিবেদনটি পপাতমূলক বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা। পুরনায় বৃহৎ আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিবিয়ানায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা প্রাকৃতিক ভূমিকম্প, ভূমিকম্পর বিষয়ে মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি জানান- বিবিয়ানা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ ও ২৮ নাম্বার কূপ খননের কার্যক্রম হাতে নেয়। এরমধ্যে ২৮ নাম্বার কূপ খনন কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, ২৭ নাম্বার কূপ খনন করার পরিকল্পনা রয়েছে।প্রতিবেদন দেওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, নতুন কূপ খননকালে ভুল প্রক্রিয়ায় খনন করায় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এতে বাড়িঘর ফেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিপূরণ এড়াতে পপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। কসবা গ্রামের শ্যামল আহমদ জানান- আমরা শুনেছি তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, এটা পক্ষপাতমূলক তদন্ত প্রতিবেদন। মূলত গ্যাসফিল্ডে ড্রিলিং কাজের জন্য কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টি করা হয়েছে, আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া জানান- পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয় যে তথ্য তোলে ধরা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা আলাপ-আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ করবো। এছাড়া সাধারণ মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ শেভরন থেকে আদায় করতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য- নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুরে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এটি। গত (১ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার থেকে (৩ ফেব্রুয়ারী) শনিবার পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩-৪ বার বিকট শব্দ ও অতিরিক্ত কাঁপুনি হয়। এতে মাটি কেঁপে ফাটল ধরেছে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের ২০ গ্রামের দুই শতাধিক ঘর বাড়িতে। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপকে জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি। যেকোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয়দের। এঘটনার পর থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। (৩ ফেব্রুয়ারী) শনিবার রাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড ঘেরাও করে। এ সময় বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান স্থানীয়রা।খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে অবগত করেন। পরে সংসদ সদস্য মোবাইল ফোনে বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালে সরে যান স্থানীয়রা। এরপর মধ্যরাতে পুনরায় অতিরিক্ত কাপুনি দিলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মাঝে, পরে (৪ ফেব্রুয়ারী) রবিবার আন্দোলনে নামে তারা। স্থানীয়রা বিবিয়ানার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ, সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দেয়ার ঘটনায় শেভরণের কাছে তিপূরণ দাবী করেন তারা। অন্যতায় কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেয়া হয়। (৪ ফেব্রুয়ারী) শনিবার আন্দোলনের মুখে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন বিভাগ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন- সদস্য সচিব বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট ও প্রোডাকশনের মহা ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন, সদস্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিঠাপুর আদর্শ সুবজ সংঘ (মার্স) গ্রুপ কর্তৃক  নির্মিত আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩য় গেইট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার ১১ টায় ফিতা কেটে গেইট উদ্ধোধন শেষে বিদ্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ দিলাওর হোসেনের সভাপতিত্বে ও অত্র বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা শাহীনা আক্তারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আমেরিকা প্রবাসী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হাই, অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য হাজী মোঃ আতাউর রহমান,হাজী সুহুল আমীন, লন্ডন প্রবাসী মিঠাপুর মার্স গ্রুপের সদস্য ও অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, জাবেদ হোসাইন,দাতা সদস্য মো: সুরুজ্জামান, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ 'কে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ছুরুক মিয়া, দাতা সদস্য মোঃ মনসুর আলম,কমিউনিটি লিটার, ইউ,কে নুরুল কাছ রিপন, এডভোকেট আবুল ফজল অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুরাদ আহমেদসহ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, গভাণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মিঠাপুর আদর্শ সুবজ সংঘ আর্থ মানবতার সেবা এলাকাসহ  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে অনুদান ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে  একটি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে  একদল দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় । পরে স্থানীয় জনতা আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় গ্রামবাসী। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে মুহিত মিয়ার সাথে একই গ্রামের তার নিকট আত্নীয়  ও ছালিক মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু দিন পূর্বে ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে  মারপিট করে। মারপিটের ঘটনায় মুহিত মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামীগন মামলা দায়ের করায় মুহিত এর প্রতি উঠে আবারো মুহিত মিয়াকে মারধোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। মুহিত মিয়ার তার স্ত্রীকে নিয়ে বসত বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে সরকারী খালের পাড়ে টিনের বেড়া, টিনের ছাউনী দিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। উক্ত স্থানে বসবাস করা অবস্থায় আসামীগণ উক্ত ঘর থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মামলা করার কারনে গত কয়েকদিন পূবেই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এবং ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে সকল আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দা, লাঠি, ফিকল, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালায়। গত  শনিবার রাতে  মুহিত মিয়ার বাড়িতে না থাকার খবর জেনে আসামীরা  তার বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয়  লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নি সংযোগ করে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

 

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের গ্রুপিং  সংঘর্ষে জের ধরে শহরে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ,৷ ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে হামলা, লুটপাটসহ অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায়  হবিগঞ্জ কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সদ্য বিলুপ্ত নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরীর পিতা সমিজুর রহমান চৌধুরী।  মামলার বাদী  ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের  সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজা আহমদ চৌধুরী, যুবলীগ  নেতা সাজু আহমদ চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা কাজল মিয়া ,আরিফুল ইসলাম প্রমি, রফিকুল ইসলাম, রিহাত মিয়া,সাজু আহমেদ হৃদয়, সাজ্জাদ উল্লা,সাইফ মিয়া,শাহ জাকির,আলমগীর চৌধুরী,ছালেক মিয়া,হুমায়ূন আহমেদ,আবু বক্কর চৌধুরী মিলন,তারেক আহমদ,মিজু আহমেদ, মাসুদ পারভেজ রুবেল। মামলা বিবরণে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম রুবেল এর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের একাধিক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের মধ্য বাজারস্থ গোল্ডেন প্লাজার পিছনে তোহা বাজারের চায়ের স্টলে বসা অবস্থায় জাহিদুল ইসলাম রুবেলের উপর পরিকল্পিত হামলার  ঘটনা ঘটে।  ঘটনার পরেই ১৮ জানুয়ারি রাতে ৮ টার দিকে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মামলার আসামী  কাজল মিয়া নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে থাকা ২ টি সিএনজি গাড়ি ভাংচুর করে এবং পেট্রোল দিয়ে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। নাজিম উদ্দোল্লারকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। আলমগীর চোধুরী ওসমানী রোডে অবস্থিত জনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপ থাকা নাজিম উদ্দোল্লার মোটর সাইকেল রাস্তায় বের করে ভাংচুর করে। আরিফুল ইসলাম প্রমি মোটর সাইকেলটিতে তার হাতে থাকা গ্যাস লাইট দিয়ে তেলের ট্যাংকির মুখ ভেংঙ্গে সাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। উক্ত অগ্নি কান্ডের ঘটনায় রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্নতা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র শেরপুর রোডে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে করে সাধারণ জনগন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রুবেলের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় (২৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলা ভাংচুর অগ্নি  সংযোগ এর ঘটনায় পাল্টা -পাল্টা মামলা শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
 
 
  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30 31