Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 07 December 2024

Local News

Local News (227)

আজ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী (রফি) এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ইং সনের ১৯ই জুন তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রতিবছরই মুত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন করা হয়। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রান্সফরমার চুরির সময় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার ছেলে শাহনেওয়াজ মিয়া (৩৫), বানিয়াচংয়ের বন-শিবপাশা গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (৩৫), বাহুবলের হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খুরর্শেদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩৩)। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়- রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে একদল চোরচক্র গজনাইপুর ইউনিয়নের লামরোহ গ্রামের লেবু মিয়ার বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে চুরিকৃত ট্রান্সফরমার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাসহ আটক করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন চোরদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরিকৃত ২৫ কেভির ট্রান্সফরমারের মালামাল ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎতের নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জোনাল কর্মকর্তা জুয়েলুর রহমান বাদী হয়ে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কী না তা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ  উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রিপাতপুর গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের  পিতাপুত্র সহ একই পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহতরা হলেন ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক (৭০), তাঁর ছেলে দিলাল মিয়া-( ৩৩),জিলদার মিয়া(৩৫) ও সিজিল মিয়া ( ৪০)৷ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ৮ঘটিকায়৷ আহত সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক মিয়া ও মনসুর মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত মুসলিম উল্যার পুত্র মারাজ মিয়া গংদের সাথে রাস্তানিয়ে পূর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল এরই জেরধরে ঘটনার উল্লেখিত সময়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মারাজ মিয়া সহ তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে কৃষক পরিবারের লোকজনের উপর কয়েকদফা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন আহতরা৷ হামলার সময় ওই স্থানে সরকারী সার্ভেয়ার ও উপস্থিত ছিলেন বলে তারা জানান৷ কৃষক আব্দুল মালিক ও তার ছেলে দিলাল মিয়া বলেন,এই রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা৷ এই রাস্তানিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা মোকদ্দমা হলে রাস্তাটির রায় আমাদের পক্ষে হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানী করে আসছে৷ আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷ তাদের ভয়ে আহত পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ীতেও যেতে পারছেননা বলে অভিযোগ করেন তারা৷

নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে সিএনজি শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ১০ টাকার নোট নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ৩ টা থেকে বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ সহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি মাদ্রাসা স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক জাবেদ মিয়াসহ কয়েকজন গত ১২ জুন সকাল ১১ টার দিকে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ বলেন, ১০ টাকার নোট পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য। তবে, নোমান বলে, তার কাছে আর কোন টাকা নেই, এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আউশকান্দি ইউপি বিট অফিসার এসআই গৌতম দাশ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পরে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেন এর বাড়ির সামনের ড্রেনের গর্ত থেকে অবৈধ আগ্নেআস্ত্র পাইপগান উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল বিকেলে ওই এলাকায় একটি অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অস্ত্র উদ্ধারের  জাকির হোসেনর বোন  সামিনা বেগম বলেন আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ীতে পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমাদের পরিত্যক্ষ জায়গা এই অস্ত্র রেখে আমাদের ফাসাতে চায় বলে তিনি দাবি করছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গ্রামের কবরস্থান নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনের পরিবারের সাথে দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৬ই জুন গ্রামবাসীর পক্ষের  গেদা মিয়ার পুত্র রাহিম চৌধুরীর বিয়ে গেইট জাকির হোসেন বাড়ীর সামনে সরকারী রাস্তায় নির্মান করায় জাকির হোসেনের লোকজন তা ভেঙ্গে ফেলে। গ্রামবাসী পক্ষের লোকজন গেইট ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে গুলিবর্ষন হয়। গুলিতে অনন্ত ২০ জন লোক আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির লোকজন এসে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে রাহিম চৌধুরীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই  ফখরুল চৌধুরী বাদী হয়ে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার বিকেলে ওই গ্রামে অভিযোগটি তদন্ত করতে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলশের সাব-ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম তার সাথে  এ এস আই বির্মল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যান। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ ৫টি এমটি কার্তুজ ও ৩টি লোহার পাইপ উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন  নবীগঞ্জ থানায় ৮ ই জুন দায়েরকৃত মামলা নং ৬ এর তদন্ত করতে সেখানে যাই এবং  বুরহান পুর গ্রামের মৃত কলমদর আলী পুত্র জাকির হোসেনের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে খালি জায়গার উত্তর পার্শ্বে নিমানাধীন ড্রেইন  এর ভিতর  থেকে অস্ত্র উদ্ধার করি।

নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী দিলাওর হোসেন (৪৩), শামীম আহমদ (৩২), আকিনুর রহমদ (৩০), দিদার আহমদ (২৬), রহিমা খাতুন (৪০), সাজু আহমদ (২৮), আব্দুল হাদী (৫৫), মাহের আহমদ (২৭), রাহিম চৌধুরী (২৮), শাহানুর মিয়া (৩০), ইমরান আহমদ (২৫), সোহেল আহমেদ(২৭) সেকুল মিয়া (২৯), তুহিন আহমেদ (২৪), হান্নান মিয়া (২৬), শরীফ আহমদ (২৫), সাইফুল মিয়া (৩১), গেদা মিয়া (৪০), আকবর আলী (৪৫) , রুহুউল্লাহ (৪৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- আগামী শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরী ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সরকারি পাকা সড়কের উপর গেট স্থাপন করে।

মঙ্গলবার সকালে ৮-১০ জন যুবক বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে হওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবী করে ভাংচুর করে গেইটের সরঞ্জাম ভেঙে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি

স্বাভাবিক করে। বুরহানপুর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ও নবীগঞ্জ ভর্তি করা হয়েছে। গুলাগুলি প্রসঙ্গে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান- প্রত্যদক্ষর্শীরা জানিয়েছেন সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শুনা গেছে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।

নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রাম থেকে ৪০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিলেট লালাবাজার ৭এপিবিএন পুলিশ।রবিবার রাতে নোয়াপাড়া গ্রামস্হ নোয়াপাড়া জামে মসজিদের পাশে শিবপাশা ব্রিজের উপর থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে  ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানাযায়,গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত নজির মিয়ার পুত্র মোঃ মাহিদ মিয়া (৩২)।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট লালাবাজার এপিবিএন পুলিশ পরির্দশক (নিঃ) মোঃ সুমন আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ  অভিযান পরিচালনা করে ৪০ পিস ইয়াবাসহ মাহিদকে গ্রেফতার করেন। সিলেট লালাবাজার এপিবিএন পুলিশের এস আই (নিঃ) দীপক কুমার পাল ঘটনার বিষয়ে বাদী হয়ে  নবীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে নবীগঞ্জ থানায় সোর্পদ করেন।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  লালাবাজার এপিবিএন পুলিশ পরির্দশক (নিঃ) মোঃ সুমন আলী।

নবীগঞ্জে বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় অনাবাদি পড়ে থাকে ফসলি জমি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তার পরামর্শে অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষ করে সফলতা পাওয়ায় অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন নবীগঞ্জের কৃষকেরা। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা জামশেদ চৌধুরী ভুট্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা জামশেদ চৌধুরী বলেন, প্রথমবারের মতো ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি, স্বল্প খরচে বেশি লাভজনক হওয়া ভুট্টা  চাষের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়েছে।সরকারি ভাবে সব-ধরণের সহায়তা পাওয়ায় আগামী মৌসুমে আমি বড় পরিসরে ভুট্টা চাষ করতে চাই। আমার একটি ডেইরী খামার রয়েছে এখানে ৩০/৩৫টি বিদেশি প্রজাতির গরু রয়েছে। ভুট্রার গাছ,কান্ড,পাতা গরুর খাবারে জন্য খুব উপকারী এবং ঘাসের বাড়তি চাহিদা মেটায়।তাই অনেক গরুর খামারি এই ভুট্টা চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।তরুণ শিক্ষিত যুবক জামশেদ চৌধুরী আরো বলেন, ভুট্টা চাষ করতে গিয়ে আমার খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমার বাম্পার ফলন হয়েছে, আমি প্রতি বিঘায় ২৮-৩০ মন করে ফলন পেয়েছি। আগামীতে আরও বড় আকারে ভুট্টা চাষ করবো।কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়-হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হয়েছে ভুট্টা। গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি ক্ষেতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। এ বছর হবিগঞ্জ জেলায় আবাদ হয়েছে ৬৫২ হেক্টর। এর মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ হয় ৩০-৩৫ মণ। বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ১২শ টাকা দরে। এছাড়া ভুট্টার গাছ জ্বালানি ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও বিক্রি করা যায়।কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় অনাবাদি জমিতে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে হবিগঞ্জের কৃষকদের।নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, অনাবাদী জমিতে ভুট্টা চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। খরচ ও কষ্ট কম হওয়ায় ভুট্টা চাষ দিন-দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানি করার ফলে দেশের অর্থ বাহিরে চলে যাচ্ছে, কৃষকরা ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি করলে ভুট্টা মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি ভুট্টার গাছ জ্বালানি ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে আমদানি ব্যয় কমবে এবং কৃষকরা নিজেরাও সাবলম্বী হবেন।বর্তমান সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের ফসলি জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল চাষ করার জন্য সরকারি অনুদানে বীজ,সার কৃষি কাজে ব্যবহৃত সকল প্রকার যন্ত্রপাতি ফ্রী এবং ভর্তুকি দেওয়ার কারণে কৃষকও স্থানীয় লোকজন কৃষি কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে দেশের খাদ্যর চাহিদার প্রয়োজন মেটাতে ভূমিকা রাখছেন।

নবীগঞ্জের পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়নের  হলিমপুর গ্রামের আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ  ১২ পরিবারেরকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও টিন প্রদান করা হয়। ১২ টি পরিবারকে নগদ ৪ হাজার টাকা ও ১ বান করে টিন প্রদান করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনের খোজ খবর নিতে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকালে হলিমপুর গ্রামের লোকজনের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নিবাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম,জেলা পরিষদের সদস্য শেখ মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান শিপন,পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সমর চন্দ্র দাশ, সাধারন সম্পাদক গৌতম দাশ, পূর্ব বড় ভাকৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা খালেদ মোশারফ,সহ এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকদের পূর্ণবাসনের জন্য আরো প্রত্যক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে  টাকা অনুদান দিবে জেলা পরিষদ।

নবীগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ৭ জুয়ারীকে গ্রেফতার করেছেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ । এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ নগদ টাকা জব্দ করা হয়।পুলিশ সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম, এসআই ছাইদুর রহমানসহ একদল পুলিশ ডিউটিরত অবস্থায় গোপন সংবাদে জানতে পারেন কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের মছব্বির মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার বসত ঘরে টাকার বিনিময়ে একদল জুয়ারী জুয়া খেলিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জুয়া খেলারত অবস্থবায় মিনাজপুরের রাহেল মিয়া (৩২), সদরাবাদের জসিম উদ্দিন (৩৮), জুবেল মিয়া (২৭), ফিরোজ আলী (৩২), আইনপুরের আব্দুল হক (৩৪), দক্ষিন তাজপুরের মারুফ আহমদ (৩২) ও পিটুয়ার আব্দুল হক (২৬) নামের ৭ জুয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30 31