নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে বিয়ের ১১ দিন যেতে না যেতেই প্রকাশ্যে সন্ধ্যা রাতে সন্ত্রাসী হামলায় সৌদি আরব প্রবাসী সোহান আহমেদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী৷ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম বাজার থেকে দলে দলে সমবেত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মসুদ আহমেদ জিহাদী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দিলবার হোসেন,আব্দুল ওয়াহিদ, আলাল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, আজিজুর রহমান,শাহিন আহমেদ সহ আরও অনেকেই।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জের একদল সঙ্ঘবদ্ধ অস্ত্রধারী প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সোহানকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ইতিপূর্বে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে এইচক্র জড়িত। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবী জানানো হয়। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও আন্দোলনকারীগণ হুশিয়ারী প্রদান করেন৷ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, চাকুরীজীবি সহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক জনতা অংশ গ্রহণ করেন৷উল্লেখ: ইনাতগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে ওই এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার একমাত্র পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী সোহান আহমেদকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যারাতে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে আরো ৩ জন গুরুতর আহত হন৷ নিহত সোহান গত এক মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। ১১ দিন পূর্বে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। হাতের মেহেদীর দাগ মুছে যাওয়ার আগেই চলে যেথে হল না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর খবরে নববধূ সহ পরিবারে চলছে মাতম, এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ আহতরা হলেন, সোহানের চাচাতো দু ভাই সৌদি আরব প্রবাসী নুর আলমের পুত্র মোসাদ্দেক আলম(২৪) ও আবু সায়েদের পুত্র শহীদুল্লাহ (২৫),দিঘীরপার কোনার বাড়ি গ্রামের আজির মিয়া(৪৫)। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোসাদ্দেকের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে৷ । স্থানীয়রা জানান, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ ও তার সহযোগীদের সাথে নিহত সোহানের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়৷ এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফিল্মি স্টাইলে ধাওয়া করে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা সোহানকে ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যো ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত করে। সোহানকে বাঁচাতে অপর ৩জন এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাত করা হয়।গুরুতর আহত সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে ভর্তি হওয়ার আধা ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৭টার সময় সোহানের মৃত্যু হয়। মোসাদ্দেকের অবস্থা আশংকাজনক।অপর আহত শহীদুল্লাহ্ ও আজির উদ্দিনকে স্থানীয়বাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ ও উৎপাদনের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ মনমোহন রবিদাস (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বানিয়াচং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ্টেন আশরাফুল ইসলাম তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গ্রেফতার মনমোহন দাস (৪৫) ১নং ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের গোবিন্দ রবিদাসের ছেলে।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সেনাবাহিনীর বানিয়াচং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আশরাফুল ইসলাম তামিমের নেতৃত্বে অভিযানিক দল নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের মনমোহন দাসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা এক হাজার ২০ লিটার মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।এ সময় মদ উৎপাদনকারী মাদক ব্যবসায়ী মনমোহন রবিদাসকে আটক করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে মনমোহন রবিদাস ও জব্দ করা মদসহ নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।