Print this page
Thursday, 22 June 2023 03:10

নবীগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা আছমা কারাগারে Featured

Written by নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ আছমা খাতুনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইংল্যান্ড প্রবাসী শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মতিউর রহমান চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় আছমা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী প্রধান শিক্ষিকা আছমা খাতুনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (২য়) আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মোছাম্মৎ আছমা খাতুন (৪৮) নবীগঞ্জ উপজেলার শাপলাবাগের (মোতাহিরের বাড়ি) মহিউদ্দিন আকন্দের স্ত্রী। আর বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী (৭০) বর্তমানে সিলেট শাহজালাল উপশহরে বসবাস করছেন।
একটি মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী। নিজের অর্থায়নে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে আসামীকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে এলাকার দরিদ্র ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছেন। স্কুলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব বর্ণিত আসামী পালন করে থাকেন। ১ম ঘটনার তারিখে অর্থাৎ ০১/১০/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হতে স্কুলের ব্যায় নির্বাহের জন্য উক্ত আসামী দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা যাহা স্কুলের নামিয় এফ.ডি.আর নগদায়ন করে আসামী গ্রহন করেন এবং ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু আসামীকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করছেন এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, উক্ত আসামী তার ব্যক্তিগত কাজে উক্ত টাকা ব্যবহার করেছেন। অতঃপর বিগত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ বাদী আসামীর নিকট উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, উক্ত আসামী প্রতারণামূলক ভাবে বর্ণিত টাকা আত্মসাত করেছেন। এমতাবস্থায় বাদী বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে নালিশ দায়ের করেন।
অপর মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- আসামী আছমা খাতুনের সাথে বাদীর স্বাভাবিক কারণে সুসম্পর্ক থাকায় আসামী তার গ্রামের বাড়িতে একটি বসতঘর তৈরী করার জন্য বিগত ০১/০৮/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হইতে একখানা অঙ্গীকার নামা সম্পদান ক্রমে নগদ ৮ লক্ষ টাকা সমজিয়া নেন এবং ৬ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বার বার তাগিদ দেওয়া স্বত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় বাদী গত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়া প্রতারণা করে বাদীর টাকা আত্মসাত করেছেন।

Read 1067 times
Rate this item
(0 votes)