Print this page
Saturday, 02 September 2023 04:22

নবীগঞ্জে বীর নিবাস ঘর বরাদ্দে অনিয়ম ডিসির বরাবর অভিযোগ

Written by
মোঃ আলমগীর মিয়া

ভারপ্রাপ্তর সম্পাদক :

www.nabiganjerdak.com

www.tribute71.com

একাধিক বাড়ির মালিক, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের মালিক; এমনকি নিজেরা ও তাঁদের সন্তানেরাও সচ্ছল—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ দিনমজুরি করেন, টিনের ঘরে বসবাস, আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দ পাননি। নবীগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি বাড়ি (বীর নিবাস) বরাদ্দ অনিয়ম তথ্য গোপন এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে  জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অসচ্ছল ৫  বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এক তলাবিশিষ্ট বীর নিবাস বরাদ্দ দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সুবিধাভোগী নির্বাচন বিষয়ক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। আবেদন করেও ঘর পাননি, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল গোপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকন্ঠ দাশ,বীর মুক্তযুদ্ধা সুনীল দাশ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিময় দাশের পুত্র জিতেন্দ্র দাস। অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিন্দ্র দাশের ছেলে একজন পুলিশ সদস্য ও অপরজন দপ্তরীতে কর্মরত আছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা গিরিন্দ্র দাশের ছেলে কৃষি অফিসে কর্মরত ও তাদের পাকাবাড়িসহ অসংখ্য জায়গা জমি রয়েছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে। কিন্তু তাদের পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি ও অবস্থা ভালো থাকা সত্যেও তাদের নামে বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায় বলেন, আবেদন করেও ঘর পাইলাম না। যাদের পাকা ঘরবাড়ি আছে, তাদেরই ঘর বরাদ্দ হইছে! মৃত্যুর আগে পাকাঘরে থাকার স্বপ্ন মনে হয় আর পূরণ হইবে না।
 
 
Read 426 times
Rate this item
(0 votes)