নবীগঞ্জ-মার্কুলী সড়কে বাগাউড়া মোড়ে গতকাল শুক্রবার বিকালে সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে জাকারিয়া আহমদ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত জাকারিয়া সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, শুক্রবার বিকালে নবীগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি যোগে নিজ বাড়ী যাচ্ছিলেন বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের জাকারিয়া। বাগাউড়া গ্রামের নিকটস্থ মোড়ে পৌছা মাত্র বিপরীত দিক থেকে কাজিরগঞ্জ বাজার মুখী অপর একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলে জাকারিয়ার একটি পা দ্বীখন্ডিত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর নিহতের বাড়ি সোনাপুর গ্রামে পৌছলে স্বজনরাসহ গ্রামবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীমতপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসীর জায়গা জোর পূর্বক প্রবাসীর অনুউপস্থিতি একদল লাঠিয়াল বাহিনী জোর পূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত গ্রামের দুবাই প্রবাসী মোঃ আব্দুর রহমান এর মালিকানা জায়গা কালিয়ারভাঙ্গার মৌজার খতিয়ান নং ১১৬০ দাগ নং ৩১৭৯ চারা কৃষি শ্রেণীর ১৫ শতক ভূমি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববতী জায়গার মালিক সামসুল হুদার ওয়ারিশান আহমদ, আমজদ,আরসদ, আচজদ গং আব্দুস সালাম এর ওয়ারিশান মুয়ায, আনাস ও আব্দুস সমদ এর ওয়ারিশ মাহমুদ,মাসুদ এর যৌথ মালিকনা সম্পত্তির মালিকগন আব্দুর রহমান দুবাই থাকার সুবাধে করচা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র জয়েদ পরামর্শে প্রকাশ্য মদদে ও শ্রীমতপুর গ্রামের সফিকুর রহমান উপস্থিতি সীমানা নির্ধারনের নাম করে আগের জায়াগার সীমনার আইল হতে প্রায় ২ হাত জায়গা জোর পূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। উল্লেখিত লোকজনের সাথে জায়গা নিয়ে প্রবাসী আব্দুর রহমান মিয়ার বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার জায়গা জোর পূর্বক দখলকারীদের বিরোদ্ধে প্রশাসন আইনিন পদক্ষেপ গ্রহন করে এলাকার শান্তি সৃংখলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের কৃতি সন্তান হবিগঞ্জ জেলা তথা সিলেটবাসীর গর্ব ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) ডাইরেক্টর ও নর্থ ইস্ট রিজিওনের প্রেসিডেন্ট, নিউক্যাসল বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইউকের চেয়ারম্যান মননশীল সমাজ চিন্তক মাহতাব মিয়া ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা লাভ করেছেন। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী গিল্ড হলে সোমবার (১৫ এপ্রিল ২০২৪) তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন শহরের স্বাধীনতা অর্জনের ঐতিহ্যকে জীবন্ত করে রাখার জন্য ব্রিটেনে বিশেষ অবদানের ক্ষেত্রে ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১২৩৭ সালে শুরু হওয়া এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, কুইন এলিজাবেথ, কিং চার্লস, প্রিন্সেস ডায়না, উইনস্টন চার্চিল, ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, মার্গারেট থ্যাচার, ফুটবলার হ্যারি কেইন, নেলসন ম্যান্ডেলা, স্টিফেন হকিংস-সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সমাজসেবী মাহতাব মিয়া ব্রিটেনের মূলধারার সেবামূলক কর্মকান্ডেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি ব্রিটেনের বর্তমান রাজা কিং চার্লস-সহ সরকারি বেসরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সানিধ্য লাভ করেছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-সংগঠক ও নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবী মাহতাব মিয়া একজন মননশীল মানুষ। পারিবারিক জীবনেও আদর্শ পিতা হিসেবে সফল ও মেধাবী পঞ্চরত্নের জনক তিনি। তার ৫ জন কন্যা সন্তান সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। ৩ জন ডাক্তার, ১জন ব্যারিস্টার ও ১জন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। তারা সকলেই আপন মহিমায় উদ্ভাসিত। বিদ্যাকে কাজে প্রয়োগের দক্ষতাকে যদি জ্ঞান বলি, তাহলে জ্ঞানের সদিচ্ছা প্রণোদিত ভাবনাকে মননশীলতা বলা যেতে পারে। চিন্তাশক্তি সম্পন্ন মননশীল মানুষ আমাদের মাহতাব মিয়া একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট্য সমাজকর্মী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সরকারী ও বেসকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্টান ও দাতব্য সংস্থায় বাংলাদেশী কমিউনিউটিকে সহযোগিতা করে আসছেন। নিউক্যাসল আপন টাইন উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি শহর। টাইন নদীর উত্তর তীরে এই শহর গড়ে উঠেছে। অতীতে এটি রোমান সাম্রাজ্যভুক্ত পন্স অ্যালিয়াস নামে অবহিত ছিল। প্রথম উইলিয়ামের জ্যেষ্ঠ্য পুত্র দ্বিতীয় ডিউক কর্তৃক ১০৮০ সালে নির্মিত নিউক্যাসল প্রাসাদ থেকে এই শহরের নামকরণ হয়েছে। উল ব্যবসা ও কয়লা উত্তোলনের জন্য নিউক্যাসল আপন ট্যাইন গুরুত্বপূর্ণ নগরে পরিণত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে নিউক্যাসল বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ছিল। এই শিল্প ক্রমে বন্ধ হয়ে গেলেও এটি এখনো ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রক এবং পপ কনসার্টের জনপ্রিয় ভেন্যু হিসেবে খ্যাত সিটি হল এবং থিয়েটার ও যাদুঘর সমূহ বেশ জনপ্রিয়। ইউরোপের ফেরি এবং ক্রুজ জাহাজগুলির পাশাপাশি শহরের চারপাশে নৌকা ভ্রমণের জন্য এখনো আকর্ষণীয়।বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মত নিউক্যাসলের মানুষ বেশ প্রাণখোলা। মাহতাব মিয়া একজন চিন্তাশীল ও সৃজনশীল মানুষ। যার হৃদয় মনে আপামর জনগণ তথা সমাজ চিন্তা সদা জাগ্রত। তিনি সমাজের বৃহত্তর জনকল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিবার ও সমাজ উন্নয়নে নিজস্ব মনন-মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তবে তার এসবের মূলে একজন মননশীল সহধর্মীনি সৈয়দা সালমা মাহতাব অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকায় রয়েছেন।
মননশীল মানুষ তার প্রতিবেশী বা কমিউনিটিকে উদ্যমী ও আশাবাদী করে তোলেন। সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের সততা ও নিষ্ঠা অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। ইউরোপের রেনেসাঁ বা নবজাগরণ কিংবা শিল্প বিপ্লবের সূত্রপাত ও চালিকা শক্তি রূপে মননশীল মানুষের ভূমিকাই মুখ্য। অলিভার গোল্ড স্মিথ বলেছেন, ‘কোনো কাজে যার নিজস্ব মননশীলতা নেই, তার সাফল্য অনিশ্চিত।’অত্যন্ত পরিকল্পিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত মাহতাব মিয়া দম্পতি আমাদের সমাজের জন্য বিশেষ করে প্রবাসিদের জন্য এক রোল মডেল। পরিশুদ্ধ ও মানবীয় গুনাবলির জন্য এসব মানুষ সময়ে সময়ে পুরষ্কৃত হন। স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মননশীলতা বা সৃজনশীল চিন্তার গুরুত্বকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য নানা পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
এমনি একটি সম্মাননা হচ্ছে ‘মা আমার মা’। ২০১৩ সালে এটিএন বাংলা ইউকে এই এওয়ার্ড প্রদান করে। সৈয়দা সালমা মাহতাব ‘মাদার অব দ্যা ইয়ার’ খেতাবে ভূষিত হন। এমন একটি মননশীল আয়োজনের জন্য এটিএন বাংলা ইউকে’র সিইও হাফিজ আলম বক্স কমিউনিটির পক্ষ থেকে অভিবাদন লাভ করেছেন। সৈয়দা সালমা মাহতাব সত্যিই রত্নাগর্ভা মা। দুচোখ ভরা স্বপ্ন তিনি সত্য করেছেন। তার সন্তানদের সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। মাহতাব মিয়া ও সৈয়দা সালমা মাহতাব তাদের সুশিক্ষা শিক্ষিত করে মানুষ করেছেন। এটি আলোকিত জীবনের সফলতার স্বাক্ষর। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত মাকে সম্মাননা জানানো হলেও মূলত এটা তাদের যৌথ প্রয়াসের ফসল। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে সকল বাবা-মা’র আনন্দিত হবার কথা। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে নিউক্যাসলের অত্যন্ত জনপ্রিয় ইংরেজি ম্যাগাজিন ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ Our Father বা আমাদের পিতা শীরোনামে কভার স্টোরি করে। সেখানে মাহতাব মিয়া দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। দীর্ঘ প্রতিবেদনে নিউক্যাসল আপন টাইন অঞ্চলে মান সম্পন্ন খাবারের জন্য মাহতাব মিয়ার রেসিপির অকপট স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সেখানকার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট সমূহের মালিক যে বাংলাদেশি সিলেটি সেটাও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
জাতীয় ভাবে মাহতাব মিয়ার এওয়ার্ড উইনিং রেষ্টুরেন্ট ‘ভোজন’ অস্কারখ্যাত ব্রিটিশ কারি এয়ার্ড-সহ বহুবার জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ রেস্তোরাঁ সমূহের মধ্যে মিশেলিন গাইডে উল্লেখিত হয়েছে। ‘ভোজন’ রেস্তোরাঁর অভিজাত খাবার পরিবশেনের প্রশংসা করে ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ প্রতিবেদনে বৃটেনের মূল ধারার মানুষ এখন কারি ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেও অভিমত প্রকাশ করেছে। ব্রিটেনে ‘কারি’ সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার পেছনে ‘ভোজন’ এর মতো অভিজাত বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্ট সমূহের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের ক্যাটারিং সেক্টরের আধুনিকায়ন ও খাবারে নিত্য নতুন বৈচিত্র সৃষ্টিতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সাফল্য ও খ্যাতি মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও মেইন স্ট্রিম রাজনীতিতেও ঈর্ষনীয় ভাবে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রিটেনের এসব বাংলাদেশি মানুষের প্রেরিত রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিনিয়োগের মাধ্যমেও তারা দেশ গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। ব্রিটেনের মূল ধারায় সুনামের সঙ্গে নিজেদের জায়গা করে নেয়া এসব স্বদেশিদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম আজ রাজনীতিসহ এ দেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিস্ট এমনকি তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা ও পেশায় সফলভাবে বিচরণ করছে।
সূক্ষদর্শী মাহতাব মিয়া ১৯৬৭ সালে ১৭ বছর বয়সে বিলেত পাড়ি জমান। তার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে। তার মরহুম বাবা মো: গৌছ মিয়া একজন সমাজসেবী ছিলেন। দাদা মরহুম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সর্ব মহলে পরিচিত এবং দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। মাহতাব মিয়া ১৯৭৬ সালে মৌলভী বাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডের অধিবাসী জনপ্রিয় এডভোকেট মৌলভীবাজার পৌরসভার প্রথম পৌর চেয়ারম্যান সৈয়দ সরফরাজ আলীর কন্যা সৈয়দা সালমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৭ সালে মহিয়সী সালমা স্বামীর মাধ্যমে বিলেত আসেন।
ব্যবসায়িক জীবনে মাহতাব মিয়া ১৯৭৪ সালে যৌথ মালিকানায় সান্দারল্যান্ডে মতিরাজ তান্দুরি করেন। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সান্দারল্যান্ডে মাহতাব ক্যাটরিং সার্ভিস আজো সগৌরবে অব্যাহত আছে। ১৯৮০ সালে তিনি সাউথশিল শহরে তান্দুরি ইন্টারন্যাশনাল চালু করেন। সবশেষে নিউক্যাসলে চালূ করেন ‘ভোজন’ রেস্তোরা। ১৯৯০ সাল থেকে এটি সাফল্যের সাথে চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও তিনি ‘কাট পে মার্চেন্ট সাভিস লিমিটেডের’ চেয়ারম্যান।
সমাজসেবী মাহতাব মিয়া অল্প বয়স থেকেই সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে মানচেষ্টার অঞ্চলে প্রবাসী নেতা এম এ মতিন ও ড. কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে সান্দারল্যান্ড জামে মসজিদের কো অর্ডিনেটর ও চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সময়ে সান্দারল্যান্ড শাপলা যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কমিউনিটি নেতা মাহতাব মিয়া ১৯৭৫ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি, ১৯৭৬ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার কমিউনিটি রিলেশন সার্ভিসের নির্বাহী সদস্য, ১৯৭৮ সালে নর্থামব্রিয়া পুলিশ ও কমিউনিটি লিয়াজো গ্রুপের সদস্য হিসেবে কমিউনিটির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগনঠনের নেতৃত্বে মাহতাব মিয়ার বুদ্ধি বৃত্তিক প্রয়াস সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় জনতা পার্টি নর্থ ইস্ট ইউকে সেক্রেটারি জেনারেল, ১৯৮৬ সালে নর্থ ইস্ট যুব সংঘের চেয়ারম্যান, ১৯৯৩ সালে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে’র ভাইস চেয়ারম্যান, ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন হিসেবে দেশের এবং প্রবাসিদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।
২০১১ সাল থেকে মাহতাব মিয়া নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে এসোসিয়েশনের প্রকল্প বাংলা স্কুল, নিউক্যাসল বাংলাদেশি কমিউনিটি সেন্টার ও জামে মসজিদ সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে মসজিদটির নতুন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৩ সালে তিনি " British Bangladeshi Power&Inspiration 100,, স্থান করে নিয়েছিলেন৷
মাহতাব মিয়া বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ইউকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সংগঠনের মাধ্যমে ২৫ হাজার পাউন্ড ফান্ড সংগ্রহ করা হয়, যা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও সুনামি সংকটে ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা স্বরণার্থিদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা কল্পে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অক্সফামের সহায়তায় গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। এতে দৈনিক ১৫ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে সক্ষম হচ্ছেন।
মাহতাব মিয়ার নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছে নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকে। সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লাা উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে হত-দরিদ্র ৭০০ জনের মাঝে ১৫ লক্ষ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এদিকে মাহতাব মিয়ার উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষা সনদ বিতরণ করা হয়। নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের অর্থায়নে পরিচালিত সনদ পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ৯৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। ২০২২ইং সনে সিলেট,সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার জেলায় বন্যায় প্লাবিত হলে মাহতাব মিয়ার প্রচেষ্টায় তিনি নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকে উদ্দ্যেগে ৪০ লক্ষ টাকা বন্যার্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরন করেন। দুবাইয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্বব্যাপী ব্যবসা কনফারেন্স ২০২৩ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসা আমেরিকা ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যায় ডিসেম্বর ২০২৩তে প্রকাশিত ১০০ জন প্রবাসী আইকন ব্যবসায়ীদের মাঝে তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন। এবিষয় নিয়ে বিসনেস আমেরিকা গ্লোবাল বিসনেস আইকন নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ‘র ডিরেক্টর অফ ফাইন্যান্স মাহতাব মিয়া দেশ মাতৃকার জন্য বহুমুখী কর্মপ্রয়াসে আত্ম নিবেদিত। নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র বর্তমান চেয়ারম্যান ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হিসেবে জন্ম মাটির জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। নবীগঞ্জের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা তথা শিক্ষাসেবা প্রদানের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে ২০০০ সালে এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ইতোমধ্যে নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা-সহ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বেশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।জনদরদি মাহতাব মিয়া পারিবারিকভাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে নানা রকম সহায়তা করে থাকেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মানসে দেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত রযেছেন।
নির্বাচনী হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মুল আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার সর্বত্র নানা আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আমেজে অনেকটা ভাটা পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক হলরুমে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান শেফু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কৃষক লীগ নেতা হেলাল চৌধুরী, রুবেল আল মামুন তালুকদার এর মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করেন হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান। তফসীল অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ও নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান শেফু হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। বাতিল মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আগামী ২৩-২৬ এপ্রিল আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং আপিল শুনানি ২৭ এপ্রিল বলে জানান হবিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান। যাদের বৈধ হয়েছে তারা হলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল ও এড. সুলতান মাহমুদ, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইমদাদুর রহমান মুকুল, হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ,লন্ডন প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ কামাল আবু তালিব, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির সাবেক সভাপতি ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, শাহ মোস্তাকিম আহমেদ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ গতি গোবিন্দ দাশ, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ আব্দুল আলীম ইয়াছিনী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ অনর উদ্দিন চৌধুরী জাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী সালমান, মুফতী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি আওয়ামীলীগের লড়াই হবে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ছইফা রহমান কাকলী। ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাচাই, ৩০ এপ্রিল প্রত্যাহার ২ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে । নবীগঞ্জে মোট ভোটার ২ ল ৮২ হাজার ৭ শত ১৪। নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান বিএনপির সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মনোনয়ন বাতিলের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আবারও আপিল করবেন বলে জানান। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না কল কেটে দেন। হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সাংবাদিকদের তথ্য দিতে বাধ্য নয় আপনারা জেলা রিটানিং কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি এতো বেশি ফোনেকথা বলি না।হবিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান রাত ৭টার সময় বলেন, চেয়ারম্যান পদে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, মুজিবুর রহমান শেফু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেলাল চৌধুরী, রুবেল আল মামুন তালুকদার এর মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। তারা সবাই তাদের হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে এই জন্য তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাপা নেতা এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু গুরুতর অসুস্থ। তিনি কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে লন্ডনস্থ রয়েল হসপিটালের ৯ তলায় ভর্তি হয়েছেন। এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। তিনি সকলের নিকট দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার ফার্মাসিউক্যালস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র সভাপতি মোঃ গোলাম রহমান লিমন এর উদ্দ্যোগে ও ম্যানাজার এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে নবীগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট, মিম্বর টাওয়ারের ৩য় তলায়, বিবিয়ানা চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টারে গত শনিবার এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিঠু (সিলেট মিরর), সাবেক সভাপতি এটিএম সালাম (যায়যায়দিন), নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া (কালের কন্ঠ) ও ক্বারী মোঃ আবু বক্কর। ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন এরিয়া ম্যানাজার মোঃ হুমায়ুন কবির (ইনসেপ্টা), আবু হানিফ (রেনেটা), আব্দুল হামিদ (এপেক্স)। সার্বিক সহযোগীতায় মোঃ ফখরুল ইসলাম (এসকেএফ), এচাহাক আলী (নিপা ফার্মা)। এমপিওদের মধ্যে মাসুদ তালুকদার (লীড ফার্মা), হাকিম নজরুল ইসলাম (ফেনী দাওয়াখানা), রুবেল রানা (রেডিয়েন্ট), বিনয় কুমার (সোমাটেক), কিরন দেব (এপেক্স), গৌতম চন্দ্র দেব (কনকর্ড)। ম্যানাজার এসোসিয়েশনের মধ্যে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন ইমানুর রহমান (একমি), হজরত আলী (নাভানা), হাফিজুর রহমান (পপুলার), ঊজ্জ্বল কুমার মোদক (কুমুদিনী), শাহিনুর রহমান (এরিস্ট্রো ফার্মা), আরিফুল ইসলাম (ড্রাগ), এমডি মুর্শেদুল আলম (হেলথ কেয়ার), মোঃ জাকারিয়া (জিসকা), লোকমান মিয়া (গেøাভ), আকরাম হোসেন (এলকো), নয়ন মনি সরকার (সিলকো), দীনেশ রঞ্জন দাশ (ওয়ান ফার্মা)। ফারিয়া’র সদস্যদের মধ্যে লুৎফুর রহমান (টীম), আরব আলী, দুলাল উদ্দিন, মতিউর রহমান (স্কয়ার), আশরাফুল, তৌহিদুল ইসলাম, আলমগীর মিয়া (এসকেএফ), আল মামুন (ইনসেপ্টা), বেনজির খাঁন, ইমন আহমেদ (বেক্সিমকো), মোশাহিদ আলী, রমজান আলী, আসাদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, ইমরান আহমেদ, আইয়ূব আলী (রেনেটা), মুমিন মিয়া, ইব্রাহিম, আবু রায়হান, মোঃ সেলিম (এসিআই), রুবেল রানা- ২, শরিফ উদ্দিন, আব্দুল হাদী, নাজমুল হক (রেডিয়েন্ট), মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ রাজু আহমেদ (ড্রাগ), মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর (অপসোনীন), সুব্রত ঘোষ (একমি), সাইফুল (পপুলার), সানি খন্দকার (হেলথ কেয়ার), রাজিব চক্রবর্তী (এরিস্ট্রো ফার্মা), রবিউল ইসলাম (ইউনিমেট হেলথ), মিজান (জিসকা), বাপ্পী (ওয়ান ফার্মা), রাশেদুল আলম, রুবেল হোসেন (ইবনে সিনা), আব্দুর রাজ্জাক (নাভানা)। পরিশেষে সকল এরিয়া ম্যানাজার, বিশেষ অতিথি ও ফারিয়া’র সদস্যগণ উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আয়োজন করার জন্য ফারিয়ার সভাপতি মো: গোলাম রহমান লিমনকে ধন্যবাদ জানান।
পরিবার ছেড়ে বিদেশে যাওয়া দেশের অধিকাংশ অভিবাসী নারী গৃহকর্মী হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার পর তাদের মুখে নির্যাতনের ভয়ংকর বর্ণনা শুনে আতঙ্ক জাগে মনে। নির্যাতিত যেসব নারী পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের শরীরেও নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট। দেশে ফিরে তারা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললেও অধিকাংশই সামাজিক কারণে মুখ বন্ধ রাখেন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নিয়োগ কর্তার নির্যাতনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন নবীগঞ্জ উপজেলার রাবিয়া খাতুন (৩৮)। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ রাবিয়া দেশে ফেরার পর পরিবারকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের কাছে রাবিয়া খাতুনকে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার।
গত শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। রাবিয়া খাতুন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামের নবির হোসেনের মেয়ে ও কাজল উল্লাহর স্ত্রী। রাবিয়া খাতুনের পরিবার ও ব্র্যাক সূত্রে জানা যায়- পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ২০২২ সালে রিক্রুটিং এজেন্সি দ্য ইফতি ওভারসিজ (আরএল-৮৯৪) মাধ্যমে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার ভিসায় পাড়ি জমান রাবিয়া খাতুন। সেখানে যাওয়ার পর রাবিয়া খাতুনের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। প্রতিনিয়ত নিয়োগকর্তার নির্যাতনে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাবিয়া। বন্ধ হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। গত বুধবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন রাবিয়া খাতুন। রাতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন রাবিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে রাবিয়াকে ক্যানপিতে ল্যহীন চলাফেরা করতে দেখে এপিবিএন সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে যান। তবে তার কাছে কারও মোবাইল নম্বর বা কোনো তথ্য না থাকায় পরিবার খুঁজে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য এপিবিএন সদস্যরা তাকে ঢাকার আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে পাঠান। রাবিয়ার পরিবারের সন্ধান পেতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়ন গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা চান। পরে হবিগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী-জনপ্রতিনিধিদের ও সচেতন কিছু যুবকের প্রচেষ্ঠার ফলে রাবিয়া খাতুনের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাবিয়া খাতুনের পরিবারের। মায়ের সন্ধান পেয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতেই রাবিয়া খাতুনের মেয়ে তাছলিমা আক্তার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মকর্তারা রাবিয়া খাতুনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রয়েছে আলাদা অভিবাসন কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারীশ্রমিকের লাশ এসেছে দেশে। যার মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে সৌদি আরব, জর্দান, লেবানন ও ওমানে। এই সময়ে মারা গিয়েছেন সৌদি আরবে ২০২ জন, জর্দানে ৯৬ জন, লেবাননে ৭৮ জন ও ওমানে ৫৮ জন। সালের হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছিল ২০২৯ সালে, ১৩৯ জন। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৯৪, ২০১৮ সালে ১১০, ২০১৯ সালে ১৩৯, ২০২০ সালে ৮০, ২০২১ সালে ১২২ এবং ২০২২ সালে ১১৭ জন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু। এ ছাড়াও মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণজনিত ১৯ শতাংশ, আত্মহত্যা ১৬, দুর্ঘটনা ১৫ এবং অন্যান্য কারণে ১৩ শতাংশ নারীশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বছরে গড়ে তিন থেকে চার হাজার নারী ফিরতে বাধ্য হন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে গেছেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরে আসেন তাদের অনেকেই। বিদেশে নির্যাতনের কারনে মারা যান অনেক নারী কর্মী। মৃত নারী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর এই কারণ বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাবিয়া খাতুনের স্বামী কাজল উল্লাহ বলেন- আমার স্ত্রী সৌদি আরব যাওয়ার পর মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল, যাওয়ার পর থেকে তার উপর নানাভাবে নির্যাতন করে নিয়োগকর্তা। বিগত ১ মাস ধরে আমার স্ত্রী রাবিয়াকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলনা, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেলাম আমার স্ত্রী দেশে এসেছে, ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে আছে। পরে আমার মেয়ে ঢাকায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান- রাবিয়া প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কাজল উল্লাহ তাঁর স্ত্রীর উপর ঘটে যাওয়া অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবী করে নারীদের প্রবাসে পাড়ি জমাতে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মো. আল আমিন নয়ন বলেন, ‘রাবিয়া আমাদের বলেছেন, তিনি সৌদিতে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে একা বাড়ি পাঠাতে পারিনি। গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে শনিবার রাবিয়ার পরিবারের কাছে রাবিয়াকে হস্তান্তর করি।
নবীগঞ্জে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে শহরবাসীর নাভিশ^াস উঠেছে। গরম পড়তে না পড়তেই এখন প্রতিদিন রুটিন করে বিদ্যুত নেয়া হচ্ছে। কিসের ইফতার কিসের তারাহি ও সাহরি, সকল সময়ই হুট করে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। অথচ রমজানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমজানে বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন রমজান প্রায় শেষের পথে হলেও শুরু থেকেই এমন পরিস্থিতি দেখা যায় হবিগঞ্জে। সামান্য বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই সাথে সাথে চলে যায় বৃষ্টি। একবার চলে গেলে তা আসার নাম গন্ধ থাকে না। অফিসের জরুরি নম্বরে কিংবা নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিক ফোন করলেও কোনো উত্তর মিলে না। যে কারণে পবিত্র রমজান মাসেও ভোগান্তির শেষ নেই নবীগঞ্জ শহরবাসীর। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছামাফিক বিদ্যুত নেয়ায় বাসা বাড়ির ফ্রিজ, টিভিসহ ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। গত রবিবার থেকে গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুতের অবস্থা ভয়াবহ। শহরের মধ্য বাজার, নতুন বাজার, আশপাশের গ্রাম, চরগাও. গন্ধ্যা,রাজনগরসহ সবকটি এলাকায় বিদ্যুত একবার নিলে আসার নাম থাকে না। এতে অফিস আদালতসহ বাসা-বাড়ির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।