রাজনীতিবিদদের দলের একান্ত বাধ্যগতের প্রমান নিত্য দিনের কাজ কর্মে আর বুদ্ধিজীবীদের তা পুষিয়ে নিতে হয় উলঙ্গ হয়ে নর্তন কুর্দন আর পা চাটার মাধ্যমে।
ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের মতে , শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্টিত ২০১৮ সালের নির্বাচন তার দেখা "সবচেয়ে ভালো একটি নির্বাচন। আগামী নির্বাচন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও আরো ভালো করতে হবে। বেশি করে পুলিশ হায়ার করতে হবে।"
২০১৮ সালের নির্বাচনের অকল্পনীয় কিছু তথ্য :
১) ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট কাস্ট হয়, কেন্দ্রের ৫,৪৭,৯৯৩ জনের সকলই নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসী , মৃত সবাই ভোট দিয়েছেন??
২) ১০৫২ টি সেন্টারে অপজিশন বিএনপি জোটের প্রার্থীরা একটি ভোটও পাননি (শূন্য ভোট). এমন কি , বিএনপির ৫/৬ বারের এম.পি. হওয়া বাঘা বাঘা নেতারা শত শত কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন??
৩) এসব সেন্টারে এক একজন প্রাথী একাই শত ভাগ ভোট পেয়ে গেছেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৭ টি সেন্টারে ১০০% ভোট পেয়েছেন !
অথচ, ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমের প্রার্থীতাকে আওয়ামিলীগের কর্মী সমর্থকেরা অধ্যাপক আরাফাতের জন্য অসম্মানজনক হিসাবে ধরে নিয়ে তাকে মারধর করেছেন। কিন্তু এই হিরোআলমও নির্বাচনের কোন কেন্দ্রেই শূন্য ভোট পায়নি।
উত্তর খোঁজতে সাহায্য করুন : কার কারসাজিতে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা প্রাক্তন সাংসদ মোঃ মনিরুল হক চৌধুরী এই কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন যদিও এই কেন্দ্রে বি.এন.পি., জামাত, প্রবাসী, মৃত সবাই ভোট (১০০% ভোট কাস্ট হয়) দিয়েছেন?
লন্ডন আমেরিকায় বসবাস করে যে মানুষগুলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জনগণের ম্যান্ডেট বলে দাবি করে তারা প্রকৃত পক্ষে সাহেদের চেয়েও নিকৃষ্ট ।
বাংলাদেশের মত নুংড়া- ময়লা আর আবর্জনা ভাগাড়ে বসে সাহেদদের পক্ষে নুংড়া- ময়লা আর আবর্জনাকে অনুভব না করাটাই স্বাভাবিক , কিন্তু লন্ডন আমেরিকার মত ক্লিন এবং পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিবেশে থেকে যে বা যারা ময়লার ভাগাড়কে নিয়ে নর্তন কুর্দন করেন, তাদের মন মানসিকতা এবং চিন্তা চেতনা যে অত্যন্ত নুংড়া এবং শঠতায় পরিপূর্ণ তাহলফকরে বলা যায়।
এরা সরকরের পক্ষে চোখ বুঝে মিথ্যা সাফাই গায়, কথায় কথায় জয়বাংলা আর বঙ্গবন্ধু বলে মুখে ফেনা তোলে ফেলে। উদ্যেশ্য একটা-ই, কোন ভাবে দেশে গিয়ে যদি একটি দান মেরে দেওয়া যায়। প্রবাস জীবনে ফুড স্ট্যাম্প আর সরকারি সাহায্যে তো তেমন কিছু করা যায়নি, বাংলাদেশে সরকারে বাঁহাত ঢুকিয়ে যদি কোন ভাবে আখের গছিয়ে নেওয়া যায়।
দেশে এখন চলছে মধুমাস, মধু খাওয়ার ধুম চারিদিকে। নাইজেরিয়া থেকে ক্রোয়েসিয়া, বিশ্বের সকল টাউট বাটপারের গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। কারণ বিশ্বের সবাই জেনে গেছে দেশের ভিতরের অবস্থা, যার যত বড় ডিগ্রি সে ততোবড়ো দুর্নীতিবাজ! যার যতবেশি শিক্ষা সে ততোবেশি খারাপ।
সরকার ক্ষমতায় ঠিক আছে সম্রাট, সাঈদ, আরমান, খালেদ, সাহেদ, শামীমের মত খারাপ লোকদের উপর ভর করে।জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ নানা অপকর্মে এরা জগনকে এমন প্যাঁদানির উপর রেখেছ যে , নিজের ভোট দেওয়ার চিন্তা দূরে থাক এদের হাত থেকে নিজের ভিটে মাটি রক্ষা করাও তাদের দুরূহ ব্যপার হয়ে ওঠেছে । আপনি প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা হোন আর ভূঁইয়া ট্রেডার্সের মালিক কোটিপতি ভূঁইয়াই হোন না কেন : একবার যদি কারো সম্পত্তির উপর এদের কুদৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে তা আর তাদের থাবা থেকে রক্ষা পেতে পারেনা। পুলিশ- কোর্ট কেউই এদের বিরুদ্ধ্যে মামলা নেয়না, এরা নাকি সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এদের বিরুদ্ধ্যে মামলা করতে হলে নাকি আপনাকে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর ঘুরে আসতে হবে!!! বাঙালির আর হাইকোর্টে যাওয়া হয়না - তাই বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দিলেই সব শেষ।
কেউ যদি মরা গরুকে লাত্থি মেরে পা ভেঙে ফেলে লোকে তাকে 'বেনালে পড়ে মরছে' বাক্য দিয়ে অভিহিত করে থাকে। যার মানে হলো, সে অযথা বা বিনা কারণে নিজের বিপদ ডেকে এনেছে। সম্রাট, সাহেদ এরাও বেনালে পড়ে মরার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সম্রাট এবং তার বাহিনী , ঢাকা এবং তার আসে পাশের এলাকার প্রতিটি বাসা বাড়িতৈরির সময় বড় অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে। বহুতল আবাসিক ভবন হলে তাদেরকে একটি ফ্লাট চাঁদা হিসাবে দেওয়া বাধ্যতামূলক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা থেকে নিয়ে ছোট বড় কারো সম্পত্তি তাদের জবর দখলের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
যে থানা, কোর্ট , পুলিশ , আর্মি -ৱ্যাব কেউই যাদের পাছার চুল কোনদিন টাচ করতে পারেনি সেই তারাই একদিন হটাৎ করেই তাদের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে গেলো দেখে লোকজন অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞাস করলো তারা এমন কোন পাওয়ারফুল পাকা ধানে মই দিলো যার কারনে তাদেরকে হাতকড়া পড়াতে হলো ?
খবর নিয়ে জানা যায় , কথামত চাঁদা না দেওয়ার কারণে সম্রাট আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের বিল্ডিং তৈরীর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার বোন শেখরেহানার দানে এই বিল্ডিং বানানোহচ্ছে শোনার পরও সম্রাট চাঁদা চাওয়া থেকে বিরত থাকেনি! এই সংবাদ শোনার পর শেখ হাসিনা তেলে বেগুনে জ্বলে যান এবং তাকে চাঁদাবাজি থেকে সরে আসার উপদেশ দেন। তারপর সম্রাট চাঁদাবাজি বন্ধ করেনি, আবারো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে চাঁদা চাইতে গেলে তিনি তাকে তাকে গ্রেফতার করার অর্ডার দেন।
সে তার বাহিনী নিয়ে বছরের পর বছর চাঁদাবাজি করেছে , অন্যের বাড়িঘর দখল করেছে, মদ জুয়া ক্যাসিনোর রমরমা ব্যবসা করেছে - থানা পুলিশ , আর্মি , ৱ্যাবের নাকের ডগায়। তখন তাকে কেউ ধরেননি?? তখন কি এগুলো বৈধ ছিল আর আজ হটাৎ করে অবৈধ হয়ে গেলো??
শেখ হাসিনা একটি কথা সংসদে বলেছেন যা ১০০% সত্য , " এই যে সম্রাট আর সাহেদ নিয়ে আপনারা বাড়াবাড়ি করতেছেন, এদের ধরেছে কে?? আমরাই ধরেছি।পত্রিকায় ছাপা যে খবর দেখিয়ে আপনারা মাঠ ময়দান গরম করতেছেন, এই খবর কে পত্রিকায় দিয়েছে?? আমরাই দিয়েছি! "
তিনি এটি ই বুঝতে চেয়েছেন, সরকারের যদি সদিচ্ছা না থাকতো এবং সরকার যদি তাদের এরেস্ট না করতো তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত তারা এই দখলদারি , চাঁদাবাজি , সন্ত্রাসী সহ অন্যন্য অপকর্ম চালিয়ে যেতো। বিগত ১৪-১৫ বছরে এদের ধরা হয়নি বলে এটি ভাববেন না যে তখন কার দিনে দখলদারি , চাঁদাবাজি , সন্ত্রাসী অপকর্ম গুলো বৈধ ছিল, সরকারে সদিচ্ছা ছিলোনা বলে স্রেফ তাদের ধরা হয়নি।
আর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে তিনি যথাযত সত্যি কথা বলেছেন, সরকার পত্রিকাকে যতটুকু দেয় ঠিক ততটুকুই ছাপে। সরকার এমন কোন কিছু পত্রিকাকে ছাপতে দেয়না যাতে সরকারের সামান্যতমও ক্ষতি হতে পারে। প্রতিকার পাতায় যা আসে তা হলো সাগর থেকে তোলে আনা এক কলসি পানির মত। মন্ত্রী কৃষকের কাঁচা ধান কেটে ধান কাটার উৎসব করতেছেন এই ডিভিডিও শেয়ার করার জন্য যে দেশে জেল হয়, যে দেশে মন্ত্রীর উপহার দেওয়া ছাগল মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ করার জন্য জেল হয় সে দেশের পত্রিকায় সরাকরে থাকা চোর বাটপার ক্রিমিনালের খবর ছাপা হবে বিশ্বাস করাটা কি বোকামি নয় ???
আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইতিহাস আগে দেখুন তারপর অন্যের সাথে তুলনা করুন !!!
বিশ্বের বুকে শুধু আওয়ামীলীগই একমাত্র দল না যে অন্যের করা নির্বাচনে কয়েকবার ক্ষমতায় আসলেও নিজের অধীনে করা নির্বাচনে অন্যকে ভোটই দিতে দেয় নাই , হিটলারের দলও আছে এই গ্ৰুপে !
আওয়ামীলীগ অধীনে অনুষ্টিত
৩ টি জাতীয় নির্বাচন .
১৯৭৩ সাল:
তাদের প্রাপ্ত সিট 293 টি
২০১৪ সাল:
তাদের প্রাপ্ত সিট : ২৩৪টি
২০১৮ সাল:
তাদের প্রাপ্ত সিট : ২৮৮ টি
বিএনপির প্রাপ্ত আসন : ৫টি
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ এ.কে. মোনেম রাগান্বিত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেছেন "বাংলাদেশের পুলিশ, ডিবি, ৱ্যাব কোন কিছু করলেই সাথে সাথে বিদেশি কুটনৈতিকেরা মানবতা লঙ্ঘন , মানবতা লঙ্ঘন বলে স্টেটমেন্ট দেওয়া শুরু করে। নিজেদের দেশের যে রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে তা নিয়ে কেউ মানবতা লঙ্ঘনের কথা বলেনা বা স্টেটমেন্ট দেয়না। "
শুধু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীইনা আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন বাংলাদেশের পুলিশ কাউকে মারলে (অথবা মব কর্তৃক মারালে : পুলিশ হিরো আলমকে মবের হাতে তুলে দেয় ) যে আমেরিকানরা সাথে সাথে বাংলাদেশে মানবাধিকার যায় যায় বলে রব তুলে, সেই আমেরিকানরাই আবার মানবাধিকার নিয়ে টু শব্দটিও করেনা যখন তাদের দেশে ডাকাত কর্তৃক মানুষ হত্যা করা হয়। (যেমন: সেন্টলুইসে ডাকাত কর্তৃক বাঙলী রমিম উদ্দিন আহমেদ হত্যা) | তাহলে কি আমেরিকায় চোর ডাকাত খুনির হাতে মানুষ হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার খর্বের পর্যায়ে পড়েনা?
সত্যি কথা হলো :
পুলিশ ৱ্যাব আর্মির মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে বিশেষ পরিস্তিতিতে অপরাধীকে ব্যাটন চার্জ করা, গুলি করে হত্যা করার বৈধতা আইনে দেওয়া আছে, যারা আইনের সীমা লঙ্গন করে মানুষকে নির্যাতনকরে, হত্যা করে তাদের সেই নির্যাতনকে/ হত্যাকান্ডকে অপরাধ হিসাবে সাব্যবস্থা করতে তাদের হত্যাযজ্ঞ/নির্যাতনকে মানবতা বিরুধী দুস্কর্ম হিসাবে অবিহিত করা হয়। চোর, ডাকাত, খুনির বেলায় এই টার্ম ব্যবহার করা হয়না কারন চোর ,ডাকাত, খুনী মানেই মানবতা বিরুধী কাজের অপরাধে অপরাধী |
পুলিশ ৱ্যাবের মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা গুলোর আইন বহির্ভুত কাজকে মানবতা বিরুধী কাজ হিসাবে গণ্য হলে তারা অপরাধি হিসাবে সাব্যস্ত হবে আর চুরি ,ডাকাতি, খুন এগুলো এমনিতেই অপরাধ, এসব অপকর্মের হুতাকে অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত করতে বাড়তি আর কোন টার্মের দরকার হয়না ||
‘বাংলাদেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে’ বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অথচ গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৯৯.৯১% ভোটে অলরেডি নির্বাচিত হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের যদি শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করে উচ্চাসনে তুলে ধরতে চাইতেন তাহলে বলতে পারতেন "১০০% মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে." কিন্তু তিনি তা না করে ৭০% বলেছেন যা বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রাপ্ত ভোটের ২৯.৯১% কম।
কিন্তু কেন কেন......????