নবীগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ও ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নবীগঞ্জ জে,কে মডেল হাই স্কুল মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি সভাপতি এস টি এম ফখরউদ্দিন, চিটাগং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী,বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার খালেদ আহমেদ, সাবেক ক্রিকেটার নাইম ইসলাম,ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটার রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ, উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক সরফরাজ চৌধুরীর, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন,উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনর উদ্দিন, নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া, উপজেলা বিএনপি নেতা অলিউর রহমান অলি, আয়োজক রাজু হক, তুহেল আমিন, মিটন আহমেদ, আদিল আহমেদ,তৌহিদুল ইসলাম শয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাবেদ মিয়া, আকাশ আহমেদ, দূর্জয় দাশ গুপ্ত, অনিক, আসাদ আল মুরাদ, সোহাগ আহমদ, আলাল মিয়া নয়ন প্রমুখ।আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলায় মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী ম্যাচে আনমুনু শাপলা স্পোর্টিং ক্লাব এবং রিক্স ইলাভেন ক্রিকেট ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। উদ্বোধনী ম্যাচে দশ উইকেটে বিজয়ী হয়েছে আনমুনু শাপলা স্পোর্টিং ক্লাব। আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতি ধরে রাখতে এই প্রথম নবীগঞ্জে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত শাপলা স্পোর্টিং ক্লাবের সানি তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রায়েছ আহমদ চৌধুরী।
আজ ৬ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাথা দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন হল নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস কখনোই উৎযাপিত হয় না। চলতি বছরেও মুক্ত দিবসে নেই কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মুক্ত দিবসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান প্রদর্শনসহ নানা অনুষ্ঠান করা হয়। তবে নবীগঞ্জে এ দিবসে কোনো আয়োজন না থাকায় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পূর্বাকাশের সুর্যোদয়ের সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধারা পাক-বাহিনীদের হটিয়ে দিয়ে মুক্ত করেছিলেন নবীগঞ্জ শহরকে। তিন দিনের সন্মুখ যুদ্ধের পর সেদিন সুর্যোদয়ের কিছুক্ষন আগে নবীগঞ্জ থানা সদর হতে পাকহানাদার বাহিণীকে সম্পূণরূপে বিতাড়িত করে মুহর্মুহ গুলি ও জয় বাংলা শ্লোগানের মধ্যে বীরদর্পে এগিয়ে আসে কয়েক হাজার মুক্তিকামী জনতা। এ সময় সাব-সেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী নেতৃত্বে ও রশীদ বাহিনীর প্রধান মুর্শেদ জামান রশীদসহ মুক্তযোদ্ধারা থানা ভবনে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। পরে স্থানীয় নবীগঞ্জ ডাকবাংলো সন্মুখে হাজার হাজার জনতার আনন্দে উদ্বেলিত ভালবাসায় সিক্ত মাহবুবুর রব সাদী আবেগ জড়িত কন্ঠে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য বর্নণা করেন এবং ওই দিন বিকালে মুক্তিবাহিনীসহ সিলেট রওয়ানা দেন। ৬ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পূর্ব থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। বিভিন্ন সময় পাকবাহিনীর উপর গেরিলা হামলা চালিয়ে তাদের ভীত সতস্ত্র করে রাখে মুক্তি সেনারা। কৌশলগত কারনে নবীগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা নবীগঞ্জ থানা দখলের সিদ্ধান্ত নেয়। নবীগঞ্জে পাক বাহিনীর অন্যতম ক্যাম্প নবীগঞ্জ থানাকে লক্ষ্য করে তিনদিকে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর রাত থেকে গুলি বিনিময় চলে উভয়ের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলগত কারনে ও আত্মরক্ষার্থে কখনোও পিছু হটা, আবার কখনোও আক্রমন চালিয়ে পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে থাকে। সারাদেশে পাকবাহিনীর অবস্থান খারাপ হওয়ায় নবীগঞ্জেও তাদের খাদ্য এবং রসদ সরবরাহ কমে যায়। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনী একেক সময়ে একেক দিক দিয়ে আক্রমন চালিয়ে যায়। ৪ ডিসেম্বর রাতে থানা ভবনের উত্তর দিকে রাজনগর গ্রামের নিকট থেকে মুক্তিযোদ্ধা রশিদ বাহিনী পাকবাহিনীর উপর প্রচন্ড আক্রমন চালায়। এ যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর কিশোর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ধ্রুব ৪ ডিসেম্বর শহীদ হন এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। পর দিন ৫ ডিসেম্বর রাতে নবীগঞ্জ থানায় অবস্থিত পাকবাহিনী ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা চরগাঁও ও রাজাবাদ গ্রামের মধ্যবর্তী শাখা বরাক নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী প্রচন্ড যুদ্ধের পর শক্র বাহিনী পালিয়ে যায়। পরদিন ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকবাহিনীর নিকট থেকে কোন বাধা না আসায় মুক্তিবাহিনী বীরদর্পে জয়বাংলা শ্লোগানের মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জ উপজেলাকে পাকিস্তান মুক্ত ঘোষণা করেন। তবে স্বাধীনতার পর থেকে এই দিনটিকে পালনে নেয়া হয়না কোনো উদ্যোগ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাথা দিনটি পালনে কোনো আয়োজন না থাকার পেছনে উপজেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে বলে দাবী মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের।
এ ব্যাপারে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী রশীদ বাহিনীর প্রধান মুর্শেদ জামান রশীদ বলেন, ৭১ এর নির্বাচনের পর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ভাষন ও নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। এরপর টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। এর আগে ৬ ডিসেম্বর কয়েক দফা গুলি বিনিময় শেষে পাক-হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আমরা নবীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবীগঞ্জ স্বাধীন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর হয়ে গেলও নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালনে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে যা অত্যান্ত হতাশা জনক। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার দাবী নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালনে যাতে প্রশাসনসহ সবাই এগিয়ে আসে এবং প্রতিবছর যাতে মুক্তদিবস পালন করা হয় এব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। দিনারপুর কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায় বলেন- ৬ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মুক্ত দিবসটি পালনে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না, এটা প্রশাসনসহ সকলের ব্যর্থতা। আমাদেন দাবী ৬ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস যথাযথ ভাবে পালনে যাতে প্রশাসন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে। নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম জানান, স্বাধীনতার ইতিহাস অতি নির্মম, ৬ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জকে মুক্ত ঘোষনা করা হয়। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত নবীগঞ্জের এই মুক্তদিবস পালনে সরকারি বা বেসকারী ভাবে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। স্বাধীনতার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য প্রতিবছর যদি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারের জনপ্রতিনিধি, বেসরকারী বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন এই মুক্তদিবস পালনে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে তরুণ প্রজন্ম নবীগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মনে প্রাণে জ্ঞানে ধারণ করতে পারবে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস। তবে আমাদের উপজেলায় আজ মুক্তদিবস উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠান নেই।
নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্য-নির্বাহী কমিটি ২০২৫ এর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ফজলুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশনার নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ ফজলুর রহমানের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী- নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫ এর নির্বাচনের বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টা থেকে ৩টার মধ্যে প্রেসক্লাব ভবন হতে নির্ধারিত ফি দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১টা হতে ৩টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ওই দিনই বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টা হতে ২টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা হতে ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত। ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম তালুকদার, সাবেক সভাপতি এসআর চৌধুরী সেলিম, আনোয়ার হোসেন মিঠু, এটিএম সালাম, দৈনিক বিবিয়ানার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, মো. সরওয়ার শিকদার, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার এম এ বাছিত, সাবেক সভাপতি মুরাদ আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া, মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, সলিল বরণ দাশ, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক শওকত আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ সুলতান আহমেদ, এম মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, সাধারণ সদস্য আবু তালেব, কিবরিয়া চৌধুরী, এটিএম জাকিরুল ইসলাম, ছনি আহমেদ চৌধুরী, সাগর আহমদ, ইকবাল হোসেন তালুকদার, শাহরিয়ার শাওন, আলাল মিয়া, অঞ্জন রায়, জুয়েল আহমদ, স্বপন রবি দাস প্রমূখ। তফসিল ঘোষণার পূর্বে সাংবাদিক মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনুর দাদীর সুস্থতা কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন সাংবাদিক শাহ্ সুলতান আহমদ।
নবীগঞ্জ উপজেলায় কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে কিশোর মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডের ১১ দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী রায়হান উদ্দিন (২২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত রায়হান উদ্দিন (২২) কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে। বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়- বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানিক দল সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ দিকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ক্রাইমসিন টিমসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করে। অন্যদিকে মামলার এজাহারে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে বাদী দাবী করলেও প্রধান আসামী রায়হানের সঙ্গে এক নারীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন মোস্তাকিন এমন গুঞ্জন এলাকার মানুষের মুখে-মুখে।
বাংলাদেশে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সড়ক দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে ভারতে অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
আজ মঙ্গলবার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ট্রাক ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ঘটিয়েছে দাবি করে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া দাবি করা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, তাঁদের সামনে ভারতবিরোধী নানা স্লোগানও দেওয়া হয়েছে।
একই দাবিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তথ্যটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় যাত্রীদের হয়রানি করার তথ্যটিও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ‘ওভারটেকিং’ (পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা) জনিত কারণে ঘটা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আলোচিত দাবির বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ১ ডিসেম্বরের প্রকাশিত ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলা নয়, দুর্ঘটনা ঘটেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বরাত দেয় রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলার দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। উক্ত সম্মেলনে বাসের চালকও মো. আসাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভারতের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরের চান্দিয়ারা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি ট্রাক বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপ দেয়। এ সময় বাসটি বাঁ দিকে সরে গেলে একটি তিন চাকার যানের (ভ্যানগাড়ি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভ্যানচালক আহত হন। এ নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আসাদুল হক ও ভ্যানচালক ইব্রাহিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস কর্তৃপক্ষ এবং ভ্যানমালিকের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে। পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে কোনো রকম হামলা কিংবা কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় বাসে ১৭ জন ভারতীয় এবং ৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় তাঁদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোনো বাগ্বিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান ঘটনাটি নিয়ে বলেন, একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।
প্রতিবেদনটিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনটিও রয়েছে।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে একই দিন ‘ভারত থেকে আসা বাসে হামলা নাকি দুর্ঘটনা; প্রকৃত ঘটনা জানাল ড্রাইভার’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।
রিউমর স্ক্যানার পরবর্তী সময়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘WION News’–এর সহসম্পাদক সিধান্ত সিবালের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পায়।
পোস্টটির ক্যাপশনে ভারতীয় এই সাংবাদিক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীরা কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হননি। পোস্টটিতে সংযুক্ত ভিডিওতেও একাধিক বাসযাত্রীকে একই কথা বলতে শোনা যায়।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর ‘দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার’ শিরোনামে প্রথম আলোতেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের হল রুমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন বিদায়ী শিক্ষার্থী তাহমিদ আহমেদ।গীতা পাঠ করেন বিদায়ী শিক্ষার্থী বিশাল। নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আমজাদ মিলন এর সভাপতিত্বে ও বিদায়ী শিক্ষার্থী তোহার সঞ্চালনায় উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রোমান মিয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল, মোশাহিদ মিয়া,ইন্সট্রাক্টর ইউ,আর,সি জাকির হোসেন,অভিভাবক কমিটির সভাপতি মোঃ আলমগীর মিয়া,সাংবাদিক মোঃ হাসান চৌধুরী প্রমুখ।উক্ত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অভিভাবক,শিক্ষক, শিক্ষিকা,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিদায়ী ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ সাধারণ সম্পাদক জয়নাল মিয়া ও তার পুত্র মোহন মিয়ার নেতৃত্বে ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করে টাকা লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যবসায়ীসহ অপর আহতরা নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার ঘটনায় দেবপাড়া ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর পুত্র মোফাজ্জল হোসেন ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মোফাজ্জল হোসেনের সাথে জয়নাল মিয়া তার পুত্র মোহন মিয়াদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পুর্ব বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের কারনে তারা মোফাজ্জল হোসেনের জান মালের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়া আসছে। মোফাজ্জল হোসেন দেবপাড়া বাঁশডর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বিকাশ ও ইলেকট্রনিক্স দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। গত সোমবার রাতে বিরোধের কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জয়নাল মিয়া ও তার পুত্র মোহনের নেতৃত্বে রফি মিয়া,শামিম মিয়া, নয়ন মিয়া,তোফাজ্জল মিয়া,নাঈম মিয়া মোফাজ্জল হোসেন এর দোকানে গিয়ে তার উপর হামলা চালায়। মোফাজ্জল হোসেন এর চাচাতো ভাই সুয়েব মিয়া তাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা মোফাজ্জল হোসেন এর দোকান থেকে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,২টি মোবাইল ফোন লুঠ করে নিয়ে যায়। এছাড়া তার দোকানের ১টি সাউন্ড মিক্সার মেশিন,২টি এমএক্স ফারগান লাইট ভাংচুর করে। মোফাজ্জল হোসেনের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জয়নাল মিয়া গংরা পালিয়ে দিয়ে চলে যায়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিব।
নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পুকড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চাচা- ভাতিজা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।নিহতরা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মজিবুর রহমানের পুত্র আব্দুল কাদির (২২) ও আব্দুল মজিদের পুত্র কাউছার মিয়া (২৪)। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আব্দুল কাদির ও কাউছার মিয়া সহ আরও একজন মোটর সাইকেলযোগে হবিগঞ্জ যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের বানিয়াচং থানাধীন পুকড়া এলাকার শাপলা পাম্পের সামনে আসামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদিরের মৃত্যু হয়। তাৎক্ষনিক কাউছার মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষনিক অপর আহতের পরিচয় জানা যায়নি। দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি আটক করেছে জনতা। বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছে।
জৈন্তাপুরে বিদেশি মদসহ নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৩ জন আটক জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে বিদেশি মদ সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া তিন ব্যাক্তি হলেন, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র হাসনাত (২১), নবীগঞ্জের চরগাঁও গ্রামের মৃত দরবেশ চৌধুরীর ছেলে বজলু চৌধুরী (৫৫) এবং সিলেট শাহপরান মেজরটিলা মুগিরপাড়া এলাকার আকলিছ মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৮)।আটককৃতদের মধ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের আহব্বায়ক বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫শে নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর বাজারস্থ তামাবিল মহাসড়কে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ- পরিদর্শক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ইউসুফ ভলগানাইজিং ওয়ার্কশপের সামনে একটি কালো রংয়ের প্রাইভেট কারে ( ঢাকা- মেট্রো- গ- ১৪-৬৯৯৮) এ তল্লাশী চালায় পুলিশ। এ সময় কারে থাকা তিন ব্যাক্তির নিকট হতে দুই বোতল ব্ল্যাক ফোর্ট সুপার স্ট্রং বিয়ার ও এক বোতল ওয়াইট ওয়াইন স্পার্কলার ব্রান্ডের একটি সহ মোট তিন বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। তিনি জানান উক্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার আটক তিনজনকে পুলিশ পাহারায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
নবীগঞ্জের পুরানগাওঁ গ্রামে মোস্তাকিম মিয়া (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। সুত্রে জানাযায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাওঁ গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম মিয়া রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘরের বাহিরে প্রাকৃতিক কাজ শেষে তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথে কে বা কারা পিছন দিক থেকে তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে মোস্তাকিম মিয়ার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মৃতের সুরতহাল শেষে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মৃত মোস্তাকিম মিয়ার দু ভাই প্রবাসে থাকেন। দু ভাইয়ের স্ত্রী ও মা`কে নিয়ে মোস্তাকিম মিয়া বাড়ীতে থাকেন। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। ঘটনার দিন তার মা বাড়ীতে ছিলেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অপর একটি সুত্রে জানাযায়, একই গ্রামের জনৈক রায়হান মিয়ার সাথে মোস্তাকিমের ভাইয়ের বউয়ের পরকীয়া সম্পর্ক থাকার বিষয় টি জানতে পারে মোস্তাকিম। রায়হানকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ দিয়ে ছিলো সে। এই কারনে কয়েক দিন আগে উক্ত রায়হান মোস্তাকিম কে আটকও করেন। ধারণা করা যাচ্ছে, এই পরকীয়ার কারনেই মোস্তাকিম কে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছেন। তবে মোস্তাকিমের ভাইয়ের স্ত্রীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।