Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 07 December 2024

World News

World News (4)

বাংলাদেশে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সড়ক দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে ভারতে অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

আজ মঙ্গলবার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ট্রাক ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ঘটিয়েছে দাবি করে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া দাবি করা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, তাঁদের সামনে ভারতবিরোধী নানা স্লোগানও দেওয়া হয়েছে।

ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে
 

একই দাবিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তথ্যটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় যাত্রীদের হয়রানি করার তথ্যটিও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ‘ওভারটেকিং’ (পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা) জনিত কারণে ঘটা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে

আলোচিত দাবির বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ১ ডিসেম্বরের প্রকাশিত ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলা নয়, দুর্ঘটনা ঘটেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বরাত দেয় রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলার দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। উক্ত সম্মেলনে বাসের চালকও মো. আসাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভারতের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরের চান্দিয়ারা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি ট্রাক বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপ দেয়। এ সময় বাসটি বাঁ দিকে সরে গেলে একটি তিন চাকার যানের (ভ্যানগাড়ি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভ্যানচালক আহত হন। এ নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আসাদুল হক ও ভ্যানচালক ইব্রাহিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস কর্তৃপক্ষ এবং ভ্যানমালিকের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে। পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে কোনো রকম হামলা কিংবা কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় বাসে ১৭ জন ভারতীয় এবং ৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় তাঁদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।

ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের সৌজন্যে

সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোনো বাগ্‌বিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে তিনি অবাক হয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান ঘটনাটি নিয়ে বলেন, একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।

প্রতিবেদনটিতে উক্ত সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনটিও রয়েছে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে একই দিন ‘ভারত থেকে আসা বাসে হামলা নাকি দুর্ঘটনা; প্রকৃত ঘটনা জানাল ড্রাইভার’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।

 

রিউমর স্ক্যানার পরবর্তী সময়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘WION News’–এর সহসম্পাদক সিধান্ত সিবালের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পায়।

পোস্টটির ক্যাপশনে ভারতীয় এই সাংবাদিক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীরা কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হননি। পোস্টটিতে সংযুক্ত ভিডিওতেও একাধিক বাসযাত্রীকে একই কথা বলতে শোনা যায়।

উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর ‘দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার’ শিরোনামে প্রথম আলোতেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

   লোকজনকে বলতে শুনি "দেশে শুধু টাকা আর টাকা"  কাউকে বলতে শুনিনি, "দেশে শুধু সম্পদ আর সম্পদ"??

মিডিলিস্ট টাকার কুমির পেট্রোডলারে , ইউরুপ আমেরিকা  শিল্প বিপ্লবে, বাংলাদেশ টাকার কুমির বনতে শুরু করেছে কোন বিপ্লবের মাধ্যমে  ?

শেখ হাসিনা দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স ঘোষণা মিডিয়া থেকে   দুর্নীতি উহ্য  !!  

   অতিথির পত্র:    বাংলা দেশ  ঘুরে আসা আমার গনিষ্ট  বন্ধুর মন্তব্য হলো  "বাংলাদেশে শুধু টাকা আর টাকা," কে কি কাজ করতেছে এটি  বড় কথা নয়  ," লোকজন দুহাতে টাকা কামাচ্ছে - এটি সত্যি কথা ", তার কথার   হাব ভাবে দেখে আমার মনে হলো, " বাদলা  দিনে গ্রামের মেঠো  কাঁদায় গড়াগড়ি করে উজাইয়ের কৈ ধরার মত দেশের লোকজন টাকার উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে!!! "

বাংলা  দেশ থেকে ঘুরে আসা  অনেকেই আমেরিকায়  গাধার খাটুনি জীবন নিয়ে হা হুতাশ করে বলেন ," আমরা কাক ডাকা ভোরে  কাজে যাই আর রাত্রে বাড়ি ফিরি, এতো কষ্ট করার পরও  মাস শেষ বিল পে করে  তেমন কোন ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স  থাকেনা , অথচ বাংলাদেশে রেখে আসা  বেক বেঞ্চার  বন্ধুরা এটি সেটি করে  এখন  কোটি  কোটি টাকার মালিক বনে  গেছে।  দেশে গিয়ে  তাদের সাথে দেখা করতে হলে এখন ফাইভ স্টার হোটেলে যেতে হয়, তারা এখন সেখানে নিয়মিত বোর্ডার !!

উনিশ সত্তরে মিডিলিস্ট টাকার কুমির বনে যায় পেট্রল উৎপাদনের মাধ্যমে  , ইউরুপ আমেরিকা টাকার কুমির বনে যায় শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে।  কিন্তু আজকের বাংলাদেশে লোকজন টাকার কুমির বনতে শুরু করেছে কোন বিপ্লবের মাধ্যমে - কৃষি  নাকি শিল্প বিপ্লব:  আমি বুঝে উঠতে পারতেছিনা!!!

  কোরবানির জন্য ১৫ লক্ষ টাকায়  ছাগল আর  কোটি টাকায়  গরু কেনার প্রতিযোগিতা দেখে আমার প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশে এমন কোন  বিপ্লব ঘটে গেছে যাতে  লোকজনের হাতে  পানির মত টাকা চলে এসেছে?

   ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার  পর থেকে গত দুমাস পূর্ব পর্যন্ত ( ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে  কালের কণ্ঠের করা বেনজিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছাড়া ) কোন পত্র পত্রিকায় আর কোন দুর্নীতির  খবর প্রকাশিত হয়নি।

   সব ধরনের   পত্র পত্রিকা , ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা  শেখ হাসিনার  দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্সের মানে  দাঁড় করালো  শেখ হাসিনার  দুর্নীতি শব্দটাতে এলার্জি, তাই তাদের   পত্র পত্রিকা এমনকি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে   দুর্নীতি নিয়ে  সব  ধরণের    খবরা খবর ছাপা নিষিদ্ধ করে ফেল্লো !

(অসমাপ্ত) 

পাঠকের চিঠি: মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। 

নবীগঞ্জ উপজেলা দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের কৃতি সন্তান হবিগঞ্জ জেলা তথা সিলেটবাসীর গর্ব  ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) ডাইরেক্টর ও নর্থ ইস্ট রিজিওনের প্রেসিডেন্ট, নিউক্যাসল বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইউকের চেয়ারম্যান মননশীল সমাজ চিন্তক মাহতাব মিয়া ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা লাভ করেছেন। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী গিল্ড হলে সোমবার (১৫ এপ্রিল ২০২৪) তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন শহরের স্বাধীনতা অর্জনের ঐতিহ্যকে জীবন্ত করে রাখার জন্য ব্রিটেনে বিশেষ অবদানের ক্ষেত্রে ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১২৩৭ সালে শুরু হওয়া এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, কুইন এলিজাবেথ, কিং চার্লস, প্রিন্সেস ডায়না, উইনস্টন চার্চিল, ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, মার্গারেট থ্যাচার, ফুটবলার হ্যারি কেইন, নেলসন ম্যান্ডেলা, স্টিফেন হকিংস-সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সমাজসেবী মাহতাব মিয়া ব্রিটেনের মূলধারার সেবামূলক কর্মকান্ডেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি ব্রিটেনের বর্তমান রাজা কিং চার্লস-সহ সরকারি বেসরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সানিধ্য লাভ করেছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-সংগঠক ও নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবী মাহতাব মিয়া একজন মননশীল মানুষ। পারিবারিক জীবনেও আদর্শ পিতা হিসেবে সফল ও মেধাবী পঞ্চরত্নের জনক তিনি। তার ৫ জন কন্যা সন্তান সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। ৩ জন ডাক্তার, ১জন ব্যারিস্টার ও ১জন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। তারা সকলেই আপন মহিমায় উদ্ভাসিত। বিদ্যাকে কাজে প্রয়োগের দক্ষতাকে যদি জ্ঞান বলি, তাহলে জ্ঞানের সদিচ্ছা প্রণোদিত ভাবনাকে মননশীলতা বলা যেতে পারে। চিন্তাশক্তি সম্পন্ন মননশীল মানুষ আমাদের মাহতাব মিয়া একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট্য সমাজকর্মী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সরকারী ও বেসকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্টান ও দাতব্য সংস্থায় বাংলাদেশী কমিউনিউটিকে সহযোগিতা করে আসছেন। নিউক্যাসল আপন টাইন উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি শহর। টাইন নদীর উত্তর তীরে এই শহর গড়ে উঠেছে। অতীতে এটি রোমান সাম্রাজ্যভুক্ত পন্স অ্যালিয়াস নামে অবহিত ছিল। প্রথম উইলিয়ামের জ্যেষ্ঠ্য পুত্র দ্বিতীয় ডিউক কর্তৃক ১০৮০ সালে নির্মিত নিউক্যাসল প্রাসাদ থেকে এই শহরের নামকরণ হয়েছে। উল ব্যবসা ও কয়লা উত্তোলনের জন্য নিউক্যাসল আপন ট্যাইন গুরুত্বপূর্ণ নগরে পরিণত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে নিউক্যাসল বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ছিল। এই শিল্প ক্রমে বন্ধ হয়ে গেলেও এটি এখনো ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রক এবং পপ কনসার্টের জনপ্রিয় ভেন্যু হিসেবে খ্যাত সিটি হল এবং থিয়েটার ও যাদুঘর সমূহ বেশ জনপ্রিয়। ইউরোপের ফেরি এবং ক্রুজ জাহাজগুলির পাশাপাশি শহরের চারপাশে নৌকা ভ্রমণের জন্য এখনো আকর্ষণীয়।বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মত নিউক্যাসলের মানুষ বেশ প্রাণখোলা। মাহতাব মিয়া  একজন চিন্তাশীল ও সৃজনশীল মানুষ। যার হৃদয় মনে আপামর জনগণ তথা সমাজ চিন্তা সদা জাগ্রত। তিনি সমাজের বৃহত্তর জনকল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিবার ও সমাজ উন্নয়নে নিজস্ব মনন-মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তবে তার এসবের মূলে একজন মননশীল সহধর্মীনি সৈয়দা সালমা মাহতাব অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকায় রয়েছেন।

মননশীল মানুষ তার প্রতিবেশী বা কমিউনিটিকে উদ্যমী ও আশাবাদী করে তোলেন। সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের সততা ও নিষ্ঠা অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। ইউরোপের রেনেসাঁ বা নবজাগরণ কিংবা শিল্প বিপ্লবের সূত্রপাত ও চালিকা শক্তি রূপে মননশীল মানুষের ভূমিকাই মুখ্য। অলিভার গোল্ড স্মিথ বলেছেন, ‘কোনো কাজে যার নিজস্ব মননশীলতা নেই, তার সাফল্য অনিশ্চিত।’অত্যন্ত পরিকল্পিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত মাহতাব মিয়া দম্পতি আমাদের সমাজের জন্য বিশেষ করে প্রবাসিদের জন্য এক রোল মডেল। পরিশুদ্ধ ও মানবীয় গুনাবলির জন্য এসব মানুষ সময়ে সময়ে পুরষ্কৃত হন। স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মননশীলতা বা সৃজনশীল চিন্তার গুরুত্বকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য নানা পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।

এমনি একটি সম্মাননা হচ্ছে ‘মা আমার মা’। ২০১৩ সালে এটিএন বাংলা ইউকে এই এওয়ার্ড প্রদান করে। সৈয়দা সালমা মাহতাব ‘মাদার অব দ্যা ইয়ার’ খেতাবে ভূষিত হন। এমন একটি মননশীল আয়োজনের জন্য এটিএন বাংলা ইউকে’র সিইও হাফিজ আলম বক্স কমিউনিটির পক্ষ থেকে অভিবাদন লাভ করেছেন। সৈয়দা সালমা মাহতাব সত্যিই রত্নাগর্ভা মা। দুচোখ ভরা স্বপ্ন তিনি সত্য করেছেন। তার সন্তানদের সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। মাহতাব মিয়া ও সৈয়দা সালমা মাহতাব তাদের সুশিক্ষা শিক্ষিত করে মানুষ করেছেন। এটি আলোকিত জীবনের সফলতার স্বাক্ষর। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত মাকে সম্মাননা জানানো হলেও মূলত এটা তাদের যৌথ প্রয়াসের ফসল। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে সকল বাবা-মা’র আনন্দিত হবার কথা। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে নিউক্যাসলের অত্যন্ত জনপ্রিয় ইংরেজি ম্যাগাজিন ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ Our Father বা আমাদের পিতা শীরোনামে কভার স্টোরি করে। সেখানে মাহতাব মিয়া দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। দীর্ঘ প্রতিবেদনে নিউক্যাসল আপন টাইন অঞ্চলে মান সম্পন্ন খাবারের জন্য মাহতাব মিয়ার রেসিপির অকপট স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সেখানকার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট সমূহের মালিক যে বাংলাদেশি সিলেটি সেটাও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।

জাতীয় ভাবে মাহতাব মিয়ার এওয়ার্ড উইনিং রেষ্টুরেন্ট ‘ভোজন’ অস্কারখ্যাত ব্রিটিশ কারি এয়ার্ড-সহ বহুবার জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ রেস্তোরাঁ সমূহের  মধ্যে মিশেলিন গাইডে উল্লেখিত হয়েছে। ‘ভোজন’ রেস্তোরাঁর অভিজাত খাবার পরিবশেনের প্রশংসা করে ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ প্রতিবেদনে বৃটেনের মূল ধারার মানুষ এখন কারি ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেও অভিমত প্রকাশ করেছে। ব্রিটেনে ‘কারি’ সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার পেছনে ‘ভোজন’ এর মতো অভিজাত বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্ট সমূহের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের ক্যাটারিং সেক্টরের আধুনিকায়ন ও খাবারে নিত্য নতুন বৈচিত্র সৃষ্টিতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সাফল্য ও খ্যাতি মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও মেইন স্ট্রিম রাজনীতিতেও ঈর্ষনীয় ভাবে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।

দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রিটেনের এসব বাংলাদেশি মানুষের প্রেরিত রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিনিয়োগের মাধ্যমেও তারা দেশ গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। ব্রিটেনের মূল ধারায় সুনামের সঙ্গে নিজেদের জায়গা করে নেয়া এসব স্বদেশিদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম আজ রাজনীতিসহ এ দেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিস্ট এমনকি তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা ও পেশায় সফলভাবে বিচরণ করছে।

সূক্ষদর্শী মাহতাব মিয়া ১৯৬৭ সালে ১৭ বছর বয়সে বিলেত পাড়ি জমান। তার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের  দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে। তার মরহুম বাবা মো: গৌছ মিয়া একজন সমাজসেবী ছিলেন। দাদা মরহুম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সর্ব মহলে পরিচিত এবং দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। মাহতাব মিয়া ১৯৭৬ সালে মৌলভী বাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডের অধিবাসী জনপ্রিয় এডভোকেট মৌলভীবাজার পৌরসভার প্রথম পৌর চেয়ারম্যান সৈয়দ সরফরাজ আলীর কন্যা সৈয়দা সালমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৭ সালে মহিয়সী সালমা স্বামীর মাধ্যমে বিলেত আসেন।

ব্যবসায়িক জীবনে মাহতাব মিয়া ১৯৭৪ সালে যৌথ মালিকানায় সান্দারল্যান্ডে মতিরাজ তান্দুরি করেন। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সান্দারল্যান্ডে মাহতাব ক্যাটরিং সার্ভিস আজো সগৌরবে অব্যাহত আছে। ১৯৮০ সালে তিনি সাউথশিল শহরে তান্দুরি ইন্টারন্যাশনাল চালু করেন। সবশেষে নিউক্যাসলে চালূ করেন ‘ভোজন’ রেস্তোরা। ১৯৯০ সাল থেকে এটি সাফল্যের সাথে চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও তিনি ‘কাট পে মার্চেন্ট সাভিস লিমিটেডের’ চেয়ারম্যান।

 

সমাজসেবী মাহতাব মিয়া অল্প বয়স থেকেই সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে মানচেষ্টার অঞ্চলে প্রবাসী নেতা এম এ মতিন ও ড. কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে সান্দারল্যান্ড জামে মসজিদের কো অর্ডিনেটর ও চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সময়ে সান্দারল্যান্ড শাপলা যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কমিউনিটি নেতা মাহতাব মিয়া ১৯৭৫ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি, ১৯৭৬ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার কমিউনিটি রিলেশন সার্ভিসের নির্বাহী সদস্য, ১৯৭৮ সালে নর্থামব্রিয়া পুলিশ ও কমিউনিটি লিয়াজো গ্রুপের সদস্য হিসেবে কমিউনিটির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগনঠনের নেতৃত্বে মাহতাব মিয়ার বুদ্ধি বৃত্তিক প্রয়াস সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে  মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় জনতা পার্টি নর্থ ইস্ট ইউকে সেক্রেটারি জেনারেল, ১৯৮৬ সালে নর্থ ইস্ট যুব সংঘের চেয়ারম্যান, ১৯৯৩ সালে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে’র ভাইস চেয়ারম্যান, ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন হিসেবে দেশের এবং প্রবাসিদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

২০১১ সাল থেকে মাহতাব মিয়া নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে এসোসিয়েশনের প্রকল্প বাংলা স্কুল, নিউক্যাসল বাংলাদেশি কমিউনিটি সেন্টার ও জামে মসজিদ সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে মসজিদটির নতুন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৩ সালে তিনি " British Bangladeshi Power&Inspiration 100,, স্থান করে নিয়েছিলেন৷ 

মাহতাব মিয়া বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ইউকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সংগঠনের মাধ্যমে ২৫ হাজার পাউন্ড ফান্ড সংগ্রহ করা হয়, যা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও সুনামি সংকটে ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা স্বরণার্থিদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা কল্পে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অক্সফামের সহায়তায় গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। এতে দৈনিক ১৫ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে সক্ষম হচ্ছেন।

মাহতাব মিয়ার নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছে নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকে।  সুনামগঞ্জ  জেলার শাল্লাা উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে হত-দরিদ্র ৭০০ জনের মাঝে ১৫ লক্ষ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এদিকে মাহতাব মিয়ার উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষা সনদ বিতরণ করা হয়। নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের অর্থায়নে পরিচালিত সনদ পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ৯৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। ২০২২ইং সনে সিলেট,সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার জেলায়  বন্যায় প্লাবিত হলে  মাহতাব মিয়ার প্রচেষ্টায় তিনি নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকে উদ্দ্যেগে ৪০ লক্ষ টাকা বন্যার্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরন করেন।  দুবাইয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্বব্যাপী ব্যবসা কনফারেন্স ২০২৩  সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসা আমেরিকা ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যায় ডিসেম্বর ২০২৩তে প্রকাশিত ১০০ জন  প্রবাসী আইকন ব্যবসায়ীদের মাঝে তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন।  এবিষয় নিয়ে বিসনেস আমেরিকা গ্লোবাল বিসনেস আইকন নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।  

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ‘র ডিরেক্টর অফ ফাইন্যান্স মাহতাব মিয়া দেশ মাতৃকার জন্য বহুমুখী কর্মপ্রয়াসে আত্ম নিবেদিত। নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র বর্তমান চেয়ারম্যান ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হিসেবে জন্ম মাটির জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। নবীগঞ্জের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা তথা শিক্ষাসেবা প্রদানের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে ২০০০ সালে এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ইতোমধ্যে নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা-সহ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বেশ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।জনদরদি মাহতাব মিয়া পারিবারিকভাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে নানা রকম সহায়তা করে থাকেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মানসে দেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত রযেছেন।

বিলেতের নবীগঞ্জে প্রবাসীদের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা ট্রাস্ট ‘নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট’। নবীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার কল্যাণে নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের কাজের ধারা অব্যাহত রেখে সংগঠনটি কাজ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এলাকার আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষা সেবার মানউন্নয়ন কল্পে নবীগঞ্জকে একটি শিক্ষিত জনপদ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটির মূল লক্ষ। সংগঠনের কার্যকরি কমিটির সভা গত রোববার অনুষ্টিত হয়ে গেল পূর্ব লন্ডনের তারাতারী রেষ্টুরেন্টে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অতিথিদের সাথে মতবিনিময় সভা, ট্রাষ্টি ড্রাইভ ও সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংগঠনের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাৎক্ষনিক ৭ জন নতুন ট্রাষ্টি সদস্যপদ গ্রহন করেন। বিকাল ৫টা হইতে বিকাল ৭.৩০ পর্যন্ত কার্যকরী কমিটির মিটিং চলে এবং মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জনাব আব্দুল শহীদ (সাবেক সেক্রেটারী) প্রস্তাব অনুযায়ী নবীগঞ্জ এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের (বিশেষ করে মহিলাদের) প্রচন্ড চাহিদা ও তাদের স্বাবলম্ভী হওয়ার জন্য আমাদের আইসিটি সেন্টারে টেইলারিং ও এমব্রয়ডারী কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই কোর্সের জন্য কয়েকটা সেলাই মেশিন আমাদের ট্রাষ্টের কয়েকজন সম্মানিত ট্রাষ্টি স্বেচ্ছায় ডোনেশন করবেন বলে কমিটমেন্ট করেছেন।


সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সংগঠনের সম্মানিত ট্রাষ্টি খোয়াজ আলী খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, শিক্ষানুরাগী, সংগঠনের সভাপতি মাহতাব মিয়া এবং পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল হাই। বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ জনাব নুরুল কাছ রিপন গত ৬ মাসের আর্থিক হিসাব পেস করেন এবং সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে ও সর্বসম্মতিক্রমে বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।২০০০ সালে যাত্রা শুরু করেছিলো ব্রিটেনে বাঙালি কমিউনিটির অন্যতম বৃহৎ ‘শিক্ষা ট্রাস্ট’ হিসেবে স্বীকৃত যুক্তরাজ্য তথা বহির্বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সংগঠন নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কার্যকরী কমিটির সকলের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং ট্রাষ্টিদের আর্থিক সহযোগিতায় ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা বারিষ্টার আতাউর রহমান বলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য স্মৃতিস্বরূপ একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। সদ্য সাবেক সফল সভাপতি মোজাহিদ মিয়া মোতাহের বলেন, ট্রাস্টিদের খুঁজে বিভিন্ন শহরে শহরে সভা করে তাদের আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরে নতুনদের অনুপ্রানিত করতে হবে যাতে করে সংগঠনের কাজ আরও বেগবান হয়। সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক আব্দুস শহীদ বর্তমান কমিটির সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে সংগঠনকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতার জন্য লন্ডন টিমকে সবাই প্রশংশায় প্রশংসিত করেন। বক্তারা সাধারণ সদস্য নিয়োগের ব্যপারে আরো সবার সহযোগিতায় কামনা করেন। আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম দেখে খুশি হয়ে সাত জন সদস্যপদ গ্রহন করেন এবং পাঁচজন আবেদনপত্র নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিছু সম্মানিত ট্রাষ্টি এবং প্রত্যাশিত ট্রাষ্টি মেহমান হিসাবে আমাদের মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন মির্জা আওলাদ বেগ, সলিসিটর ও প্রভাষক ইয়াওর উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মাহবুব নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলতাফ উদ্দিন, কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ার শাহ আলী হায়দার, মোহাম্মদ হাদিছ মিয়া, ফকরু উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য মোজাহিদ মিয়া, আব্দুস শহীদ, এনায়েতুর রহমান খান, খয়রুল হোসাইন (সহ সম্পাদক) শাহ হাবীবুর রহমান বেলায়াত (সহ কোষাধ্যক্ষ) আবু ইউসুফ চৌধুরী, শেখ শামীম আহমদ, আতিকুর রহমান লিটন, মোহাম্মদ আলী হায়দারও জাবেদ হোসাইন। তাছাড়া গ্রেটার লন্ডন ও লন্ডনের বাইরে থেকে সম্মানিত ট্রাষ্টিবৃন্দের মধ্যে মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আবদাল হোসাইন চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু বক্কর, মতিন মিয়া, শামীম চৌধুরী, বারিষ্টার আব্দুল মতিন, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হালীম চৌধুরী, মৌওলানা নাজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফিরুজ মিয়া প্রমুখ।
পরিশেষে সভার সভাপতি মাহতাব মিয়ার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। ট্রাস্টের উন্নায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করারও আহবান জানান ট্রাস্টিগণ। উক্ত সভায় বিপুল সংখ্যক ট্রাস্টিরা উপস্থিত ছিলেন।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30 31