শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে এক শ্রেণির লোক কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন কর বিক্রি করে আসছে। এতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দিনে ও রাতের বেলায় অবৈধ ভাবে মাঠি উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় নবীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় নুরে আলম নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার। এ সময় তিনি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় পশ্চিম তিমির গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র নুরে আলমকে অবৈধ মাটি বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন নবীগঞ্জ থানা এ.এস.আই হাসান বদরুল ও তার সঙ্গীয় একটি টিম। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, যারা অবৈধভাবে মাটি বা বালি উত্তোলন করবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অবসরপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আজ বাংলাদেশ সময় রাত বারোটা ত্রিশ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ-নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ,ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর ।
১৯৭১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে সিগন্যাল কোরে কর্মরত অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধকালীন সময় তিনি পাঁচ নম্বর সেক্টরের একজন সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আগামীকাল সকালে তার মরদেহ প্রথমে সেনানিবাসের সিগন্যাল কোরে নেয়া হবে , এরপর ঢাকাস্থ সেনাকুঞ্জের নিজ বাসায় নেয়া হবে। সেখান থেকে সকাল ১১ঃ০০ টায় তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জ জেলার, নবীগঞ্জের উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের পুরাদিয়া গ্রামে (বৃহত্তর কামার গাঁও ) নেওয়া হবে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক গোরস্থানে মাতা পিতার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ নম্বর সেক্টরের একজন সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় ভূমিকম্প, বাড়িঘরে ফাটল দেয়ার ঘটনাটি প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছে পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি। এদিকে প্রতিবেদনটি পপাতমূলক বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা। পুরনায় বৃহৎ আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিবিয়ানায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা প্রাকৃতিক ভূমিকম্প, ভূমিকম্পর বিষয়ে মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি জানান- বিবিয়ানা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ ও ২৮ নাম্বার কূপ খননের কার্যক্রম হাতে নেয়। এরমধ্যে ২৮ নাম্বার কূপ খনন কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, ২৭ নাম্বার কূপ খনন করার পরিকল্পনা রয়েছে।প্রতিবেদন দেওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, নতুন কূপ খননকালে ভুল প্রক্রিয়ায় খনন করায় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এতে বাড়িঘর ফেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিপূরণ এড়াতে পপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। কসবা গ্রামের শ্যামল আহমদ জানান- আমরা শুনেছি তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, এটা পক্ষপাতমূলক তদন্ত প্রতিবেদন। মূলত গ্যাসফিল্ডে ড্রিলিং কাজের জন্য কৃত্রিম ভূমিকম্প সৃষ্টি করা হয়েছে, আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া জানান- পেট্রোবাংলার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয় যে তথ্য তোলে ধরা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা আলাপ-আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ করবো। এছাড়া সাধারণ মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ শেভরন থেকে আদায় করতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য- নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুরে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এটি। গত (১ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার থেকে (৩ ফেব্রুয়ারী) শনিবার পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩-৪ বার বিকট শব্দ ও অতিরিক্ত কাঁপুনি হয়। এতে মাটি কেঁপে ফাটল ধরেছে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের ২০ গ্রামের দুই শতাধিক ঘর বাড়িতে। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপকে জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি। যেকোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয়দের। এঘটনার পর থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। (৩ ফেব্রুয়ারী) শনিবার রাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড ঘেরাও করে। এ সময় বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান স্থানীয়রা।খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে অবগত করেন। পরে সংসদ সদস্য মোবাইল ফোনে বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালে সরে যান স্থানীয়রা। এরপর মধ্যরাতে পুনরায় অতিরিক্ত কাপুনি দিলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মাঝে, পরে (৪ ফেব্রুয়ারী) রবিবার আন্দোলনে নামে তারা। স্থানীয়রা বিবিয়ানার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ, সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দেয়ার ঘটনায় শেভরণের কাছে তিপূরণ দাবী করেন তারা। অন্যতায় কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেয়া হয়। (৪ ফেব্রুয়ারী) শনিবার আন্দোলনের মুখে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন বিভাগ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন- সদস্য সচিব বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট ও প্রোডাকশনের মহা ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন, সদস্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিঠাপুর আদর্শ সুবজ সংঘ (মার্স) গ্রুপ কর্তৃক নির্মিত আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩য় গেইট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার ১১ টায় ফিতা কেটে গেইট উদ্ধোধন শেষে বিদ্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ দিলাওর হোসেনের সভাপতিত্বে ও অত্র বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা শাহীনা আক্তারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আমেরিকা প্রবাসী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হাই, অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য হাজী মোঃ আতাউর রহমান,হাজী সুহুল আমীন, লন্ডন প্রবাসী মিঠাপুর মার্স গ্রুপের সদস্য ও অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, জাবেদ হোসাইন,দাতা সদস্য মো: সুরুজ্জামান, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ 'কে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ছুরুক মিয়া, দাতা সদস্য মোঃ মনসুর আলম,কমিউনিটি লিটার, ইউ,কে নুরুল কাছ রিপন, এডভোকেট আবুল ফজল অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুরাদ আহমেদসহ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, গভাণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মিঠাপুর আদর্শ সুবজ সংঘ আর্থ মানবতার সেবা এলাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে অনুদান ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একটি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় । পরে স্থানীয় জনতা আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় গ্রামবাসী। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে মুহিত মিয়ার সাথে একই গ্রামের তার নিকট আত্নীয় ও ছালিক মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু দিন পূর্বে ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে মারপিট করে। মারপিটের ঘটনায় মুহিত মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামীগন মামলা দায়ের করায় মুহিত এর প্রতি উঠে আবারো মুহিত মিয়াকে মারধোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। মুহিত মিয়ার তার স্ত্রীকে নিয়ে বসত বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে সরকারী খালের পাড়ে টিনের বেড়া, টিনের ছাউনী দিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। উক্ত স্থানে বসবাস করা অবস্থায় আসামীগণ উক্ত ঘর থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মামলা করার কারনে গত কয়েকদিন পূবেই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এবং ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে সকল আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দা, লাঠি, ফিকল, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালায়। গত শনিবার রাতে মুহিত মিয়ার বাড়িতে না থাকার খবর জেনে আসামীরা তার বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নি সংযোগ করে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।