নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারজান বকত (১৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মারজান বকত নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিটফরিদপুর গ্রামের ফরিদ বকত এর পুত্র।মারজান বকত তার চাচা হান্নান বকত এর বাড়ির টিনের চালে বিদ্যুতের ছেঁড়া লাইন বাঁশ দিয়ে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় ।স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ।
নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ আছমা খাতুনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইংল্যান্ড প্রবাসী শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মতিউর রহমান চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় আছমা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী প্রধান শিক্ষিকা আছমা খাতুনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (২য়) আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মোছাম্মৎ আছমা খাতুন (৪৮) নবীগঞ্জ উপজেলার শাপলাবাগের (মোতাহিরের বাড়ি) মহিউদ্দিন আকন্দের স্ত্রী। আর বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী (৭০) বর্তমানে সিলেট শাহজালাল উপশহরে বসবাস করছেন।
একটি মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী। নিজের অর্থায়নে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে আসামীকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে এলাকার দরিদ্র ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছেন। স্কুলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব বর্ণিত আসামী পালন করে থাকেন। ১ম ঘটনার তারিখে অর্থাৎ ০১/১০/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হতে স্কুলের ব্যায় নির্বাহের জন্য উক্ত আসামী দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা যাহা স্কুলের নামিয় এফ.ডি.আর নগদায়ন করে আসামী গ্রহন করেন এবং ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু আসামীকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করছেন এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, উক্ত আসামী তার ব্যক্তিগত কাজে উক্ত টাকা ব্যবহার করেছেন। অতঃপর বিগত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ বাদী আসামীর নিকট উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, উক্ত আসামী প্রতারণামূলক ভাবে বর্ণিত টাকা আত্মসাত করেছেন। এমতাবস্থায় বাদী বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে নালিশ দায়ের করেন।
অপর মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- আসামী আছমা খাতুনের সাথে বাদীর স্বাভাবিক কারণে সুসম্পর্ক থাকায় আসামী তার গ্রামের বাড়িতে একটি বসতঘর তৈরী করার জন্য বিগত ০১/০৮/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হইতে একখানা অঙ্গীকার নামা সম্পদান ক্রমে নগদ ৮ লক্ষ টাকা সমজিয়া নেন এবং ৬ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বার বার তাগিদ দেওয়া স্বত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় বাদী গত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়া প্রতারণা করে বাদীর টাকা আত্মসাত করেছেন।
নবীগঞ্জে ভিড় বাড়ছে কামারের দোকানে। গলি ঘেষে পা বাড়ালেই কানে বাজছে ‘ঢাক-ঢুক’ আর ‘ঝিঁ-ঝিঁ’ শব্দ। মাঝে মধ্যে লোহা ও কয়লাপোড়া ঝাঁঝালো গন্ধে গলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন পরিবেশে দগদগে লোহা পিটিয়ে চলছে ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজ। আর তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের খোপে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ওসমানী রোড, হাসপাতাল রোডের কামার পট্টিতে এখন এমনই দৃশ্য। পশু কোরবানি ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দাম একটু বেশি হলেও বেচা-বিক্রি ভাল বলে জানান কামারেরা। নবীগঞ্জ শহর বাজার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কামারেরা ঈদের আগের দু’দিনে আরও বেশি ছুরি-বটি বিক্রির আশায় দিনরাত ব্যস্ত আছেন লোহা পেটানোর কাজে। নবীগঞ্জ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের খোপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি, কুড়ালসহ ধারালো সব অস্ত্র। স্প্রিং এবং সাধারণ লোহা থেকে তৈরি এসব অস্ত্র পছন্দ মতো কিনছেন ক্রেতারা। এক কামার ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ আসলে আমাদের বিক্রি ভালো হয়। সারা বছরের তুলনায় ঈদ মৌসুমে বিক্রির ধুম পরে। তাই সারা বছরের ক্ষতি ঈদ আসলে তা কিছুটা পূরণ করতে পারি। ঈদের দু এক দিন আগে বিক্রি বেশি হয়।