Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Friday, 03 May 2024

Monday, 26 June 2023

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি)  মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ২২ জুন মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ একিউএম নাছির উদ্দিন এ রায় প্রদান করলেও ২৫ জুন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে গত ২০ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেন। রবিবার (২৫জুন) বিকেলে সিলেটে দুদকের মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী মর্তুজা কিবরিয়া জানান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারসহ বেশ কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় তারা দু’জন দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। ফলে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ২০১৮ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে দেশের চতুর্থ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেলে নগরীর চৌহাট্টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নবীগঞ্জ-বাহুবল নির্বাচনী এলাকার এমপি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীর ভগ্নিপতি ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে প্রথম ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) নাঈমুল হক। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, ইউজিসির অনুমোদিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অর্থের বিনিময়ে দেড় শতাধিক অ্যাডহক নিয়োগ দেন। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমের দিকে মনোযোগ না দিয়ে শীর্ষ দুই কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ইউজিসির তদন্ত কমিটি গঠন করলে তাতে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর দুদক সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। এছাড়া সিলেট মেডিকেল বিশ^ বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী)। ইউজিসির তদন্তে অনেক সিন্ডিকেট সদস্যও ফেসেঁ যেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারনে শেষ পর্যন্ত দেশত্যাগ করা হলো না প্রাক্তন ভিসি ও রেজিষ্ট্রারের। এ নিয়ে সিলেটসহ হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে।

Published in Local News

নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক নতুন কোন কর আরোপ ছাড়াই ৪৩ কোটি ৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩২ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। ২৫ জুন সকাল ১১ টায় পৌরসভার কনফারেন্স রুমে মাসিক সাধারণ সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদন করা হয়।নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জায়েদ চৌধুরী, প্যানেল মেয়র-২ মো. আ. ছোবহান, প্যানেল মেয়র-৩ ফারজানা আক্তার পারুল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পূর্ণিমা রানী দাশ ও সৈয়দা নাসিমা বেগম, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. লুৎফুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজল আহমদ চৌধুরী, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন ও ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নানু মিয়া। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শেখ মো. জালাল উদ্দিন।২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে নবীগঞ্জ পৌরসভার স্বনামধন্য মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন,‘পৌরসভার জনগণের সেবার মান উন্নয়নে এবং বর্তমান সমাজ ও নতুন প্রজন্মের একটি সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়ণ করা হয়েছে। বাজেটে নতুন কোন কর আরোপ করা হয়নি। জনগনের প্রত্যাশা পূরণে এই বাজেটে রাস্তা- ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, ড্রেন ইত্যাদি নির্মাণ/মেরামত, হাট- বাজারের উন্নয়ন, স্ট্রীট লাইট সম্প্রসারণ, পৌর ভবন নির্মাণ, স্যানিটেশনের শত ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শহরের সৌন্দর্য-বর্ধন সহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। রাজস্ব খাতের অর্থ দ্বারা অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ পৌর এলাকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, পৌর বিদ্যালয় পরিচালনা, জরুরী রক্ষনাবেক্ষণ, মশক নিধন কার্যক্রম, বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম, আর্থিক সাহায্য-অনুদান, জেন্ডার এ্যাকশন প্ল্যান, দারিদ্র হ্রাসকরণ পরিকল্পনা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, কর মেলা, বই মেলা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, হজ্ব যাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষন কার্যক্রম, সার্বজনীন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি নানামুখী সামাজিক কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, নবীগঞ্জ পৌরসভা ধীরে ধীরে একটি বড় শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। এক দিকে যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্য দিকে যানবাহনের সংখ্যা অধিকতর বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শহরের অভ্যন্তরে সরকারি জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে পৌরসভাকে সুন্দরভাবে বিন্যাসের জন্য যেটুকু স্থাপনা তৈরীর প্রয়োজন সেটুকু করা যাচ্ছে না। পৌরসভার বিদ্যমান যানজট নিরসনের ক্ষেত্রে অত্র পৌরপরিষদ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পৌর পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একাধিকবার মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। এ ক্ষেত্রে যানজট নিরসনে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া যায়। এখনও যানজট নিরসন কল্পে পৌরসভার উদ্যোগ অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন,নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা পেলে নবীগঞ্জ পৌরসভাকে একটি যানজটমুক্ত ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ্। তাছাড়া পৌরসভাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে ইতোমধ্যে এডিপি খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার কার্যক্রম চলমান।’ তিনি আরও বলেন, এই শহর আপনার, আমার, সকলের। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সমৃদ্ধ শহর গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আসুন আমরা সকলে মিলে সবুজ বনায়নের মাধ্যমে এমন একটি সুন্দর শহর গড়ি, যাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও সুন্দর আবাসস্থল তৈরি হয়।’২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: সর্বমোট আয় ৪৩,০৮,২৭,৪৩২/= ।অনুমোদিত বাজেটের রাজস্ব আয়: ৬ কোটি ৬১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩২ টাকা, উপাংশ-১: মোট আয়: ৬ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৬হাজার ৯৩২ টাকা, নিজস্ব আয়: ৪ কোটি ৮১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩২ টাকা। রাজস্ব খাতে সরকারী অনুদান: ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা, উপাংশ-২ (পানি শাখা) মোট আয়: ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ২) মোট উন্নয়ন আয়: ৩৬ কোটি ৬৫ হাজার ৫ টাকা (ক) সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন সহায়তা (বিশেষ বরাদ্দ সহ) মঞ্জুরী: এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা (খ) সিলেট বিভাগ গ্রামীণ এ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প: ১০ কোটি টাকা (গ) গুরুত্ব পূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন: ১০ কোটি টাকা (ঘ) কোভিড-১৯ এর ক্ষতি জনিত প্রভাব মোকাবেলায় অনুদান ৫০ লক্ষ টাকা। (ঙ) ডেঙ্গু ও মশক নিধন কার্যক্রমে অনুদান : ১০ লক্ষ টাকা, (চ) নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: ১০ কোটি টাকা, (ছ) পৌর ভবন: ৪ কোটি টাকা (জ) অন্যান্য খাতে আয়: ৩৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।সর্ব মোট আয়: ৪৩ কোটি ৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩২ টাকা।সার্বিক উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে একুশ লক্ষ সতেরো হাজার ২৩২ টাকা, রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ২৪ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯০ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বমোট ব্যয়: ৪২ কোটি ২৭ লক্ষ ১০ হাজার ২০০টাকা।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কে এম আবু বকর সিদ্দিক ও পবিত্র গীতাপাঠ করেন সহকারী কর আদায়কারী পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার চন্দসহ পৌরসভার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।

Published in Local News
  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« June 2023 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
      1 2 3 4
5 6 7 8 9 10 11
12 13 14 15 16 17 18
19 20 21 22 23 24 25
26 27 28 29 30