Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 04 May 2024

Local News

Local News (156)

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গতকাল দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। অন্য দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জি কে গউছকে আটক করেন। পরের দিন বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ জানান, জি কে গউছ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর আদালত এলাকা থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।

 

নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। উৎসবমূখর পরিবেশে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী এই প্রতিযোগিতা দেখতে সমাগম ঘটে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দুর্গাপুর, হোসেনপুর, আহমদপুর, কুমারকাদা, গালিমপুর, মাধবপুর, মথুরাপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে কুশিয়ারা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতায় ৬টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে চুড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হয় মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা। দ্বিতীয় হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন। প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আবুল খায়ের, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শাহ ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সরওয়ার শিকদার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলারা হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছৈইফা রহমান কাকুলী প্রমুখ। পরে বিজয়ী মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা নৌকার মালিকের হাতে পুরুস্কার হিসেবে দেয়া হয় ফ্রিজ ও দ্বিতীয় হওয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন নৌকার মালিকের হাতে টেলিভিশন তোলে দেয়া হয়। এমন আয়োজনে খুশি দর্শনার্থীরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছর এমন আয়োজন করতে চান আয়োজকরা।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তোহিদ চৌধুরী প্রতিপক্ষের লোকের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী (২৫)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায় সাংবাদিক তোহিদ গত শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের সেন্ট্রাল প্লাজায় ঔষধ কিনতে আসেন। এসময় আগ থেকে পরিকল্পিত ভাবে উৎ পেতে থাকা  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুমআহমেদের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবকদের হামলা সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী গুরুত্বর আহত হন। আহত তৌহিদ চৌধুরীকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা ও ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে হাসাপাতালে গিয়ে দেখে আসেন এবং তার খোজ খবর নেন। হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল পুলিশ হাসাপাতে গিয়ে আহত খোজ খবর নেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদে  আইননের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করেন।আহত তৌহিদ চৌধুরী বলেন,দেবপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল  ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ জীবন,গুলডুবা গ্রামের আরিফ হাসান,হরিধরপুর গ্রামের বদরুল আলম,ফয়ছল আহমদ ও টুনাকান্দি গ্রামের নাইম আহমদসহ ১৫/২০ জনের একদল দূর্বত্ত তার উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে।এসময় হামলাকারী তার কাছে নগদ অর্থ মোবাইল ফোনসহ  ছিনিয়ে নিয়ে যায়।        

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন- ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মীরা রাজপথে আছে। মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দখলদার আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে। সভায় এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে জি কে গউছকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের জুলুম নির্যাতনে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জি কে গউছ এখন বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, জি কে গউছ এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ, একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ হবিগঞ্জের এমপি হবেন, আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন। এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন হচ্ছে। কিন্তু যে কয়েকটি জেলায় পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, গুলি বর্ষণ করে এর মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জেলা। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ এমপি হবেন। হবিগঞ্জে জি কে গউছের আকাশচুম্মি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভালোবাসা দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে, সততা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জি কে গউছের জনপ্রিয় ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসমর্থন জি কে গউছের পক্ষে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গেছে, মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট হাজী নুরল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান সুমন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, লিটন আহমেদ, বজলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, কামাল খান, মামুন আহমেদ, আব্দুল হান্নান, হারিছ মিয়া, গোলাপ খান, ইলিয়াছ আলী, আনিসুর রহমান জেবু, ইকবাল আহমেদ, সাজিদ মিয়া, বাদল আহমেদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, আব্দুস সালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলকাছ মিয়া, মুশলিম শাহ, সৈয়দ রুহেব হোসেন, মালেক শাহ, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইলিয়াছ, শেখ ওসমান গনি, আব্দুল কাদির, মজনু মিয়া, এম ডি দুলাল, মানিক মিয়া, জয়নাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, হোসাইন আহমদ রানা, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, সাইদুর রহমান শামিম, তারেক আহমেদ তাহির, মোঃ নুরুল আমিন, কাওছার আহমেদ, শামিম আহমেদ, এমদাদুল উল্লাহ খান, মোঃ আদব আলী, মহিবুল হক সুমন, মিজানুর রহমান আলমগীর, আক্কাস ভান্ডারী, সোহাগ হোসাইন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন, স্বপন মিয়া, মোঃ কাসেম, শ্রমিক দল নেতা রতন আনসারী, আব্দুল খালেক, শেখ রহমত আলী, আশরাফুল আলম সবুজ, আনিস মিয়া, আক্তার মিয়া, আব্দুল হামিদ, হাসান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ, রুকন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মুরাদ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন, শেখ রাসেল, ফয়জুল ইসলাম ইব্রাহিম, মাহফুজ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, জাবের আহমেদ, সৈয়দ মোবারক, শিমুল আহমেদ, জাসাস নেতা ফজর আলী ফজল, এমদাদুল হক লিটন, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আমিনা আক্তার ও নাজমা আক্তার প্রমুখ।

 
 

 

হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীকে সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন চৌধুরী সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়াও মোতাহের হোসেন বিজু, বিপ্লব রায় চৌধুরী, সফিকুজ্জামান হিরাজ, হাজী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ আব্দুর রউফ মাসুক সহ-সভাপতি, আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মোঃ বদরুল আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ডাঃ মোঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া, মহিবুর রহমান মাহীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান মিয়াকে ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, আশরাফ উদ্দিনকে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, আরিফ ফয়সল খান ও আহমেদ ইবনে মুশফিককে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

একাধিক বাড়ির মালিক, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের মালিক; এমনকি নিজেরা ও তাঁদের সন্তানেরাও সচ্ছল—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ দিনমজুরি করেন, টিনের ঘরে বসবাস, আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দ পাননি। নবীগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি বাড়ি (বীর নিবাস) বরাদ্দ অনিয়ম তথ্য গোপন এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে  জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অসচ্ছল ৫  বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এক তলাবিশিষ্ট বীর নিবাস বরাদ্দ দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সুবিধাভোগী নির্বাচন বিষয়ক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। আবেদন করেও ঘর পাননি, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল গোপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকন্ঠ দাশ,বীর মুক্তযুদ্ধা সুনীল দাশ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিময় দাশের পুত্র জিতেন্দ্র দাস। অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিন্দ্র দাশের ছেলে একজন পুলিশ সদস্য ও অপরজন দপ্তরীতে কর্মরত আছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা গিরিন্দ্র দাশের ছেলে কৃষি অফিসে কর্মরত ও তাদের পাকাবাড়িসহ অসংখ্য জায়গা জমি রয়েছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে। কিন্তু তাদের পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি ও অবস্থা ভালো থাকা সত্যেও তাদের নামে বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায় বলেন, আবেদন করেও ঘর পাইলাম না। যাদের পাকা ঘরবাড়ি আছে, তাদেরই ঘর বরাদ্দ হইছে! মৃত্যুর আগে পাকাঘরে থাকার স্বপ্ন মনে হয় আর পূরণ হইবে না।
 
 

নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন করেছেন কূটনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল বুধবার (২৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় শেভরণ বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শেভরন বাংলাদেশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আমেরিকান কোম্পানি শেভরনের মালিকানাধীন নবীগঞ্জ উপজেলার করিমপুরের অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরে বিবিয়ানা ও শেভরণের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন পিটার হাস। পরিদর্শনকালে শেভরন কর্তৃক পরিচালিত এসএসকেএস নামে একটি ক্লিনিক এবং ফার্মেসীও পরিদর্শন করেন তিনি।এনিয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন- বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় তবে গ্যাস ফিল্ডের ভিতরে তিনি কি করেছেন তা আমরা জানিনা।এ প্রসঙ্গে শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। নতুন কোনো রাষ্ট্রদূত আসলে তারা মার্কিন মালিকাধীন শেভরন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো সফর করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের পার্শ্ববর্তী জোয়াল ভাঙ্গা হাওর ও আশপাশ এলাকা থেকে জমি চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার মেশিন চুরির হিড়িক পড়েছে৷ গত এক মাসে ওই এলাকা থেকে পাওয়ার টিলার মেশিন সহ প্রায় ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ আশংকা জনক হারে বেড়েছে মেশিন ও গরু চুরি। চোর চক্রের দৌরাত্বে প্রায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকগন। এতে স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চোর আতংক বিরাজ করছে৷ এঘটনায় জমি চাষাবাদে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে কৃষরা জানিয়েছেন৷ জানাযায়, ওই উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের কৃষক আবজল মিয়া ও কল্যাণ পুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাইয়ূম জানান, গত ৩১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় তাহারা জমি চাষাবাদ শেষে তাদের পাওয়ার টিলার মেশিন দু'টি জমিতেই প্রতিদিনের ন্যায় রেখে যান, পরদিন সকালে এসে দেখেন তাদের মেশিন দু'টি চুরি হয়ে গেছে৷ অনেক খোঁজাখুজির একপর্যায়ে গোপন সূত্রে তারা খবর পান কুর্শি গ্রামের আমীর উল্লার পুত্র ছইফুল মিয়ার নেতৃত্বে একই গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া গংরা মিলে এই পাওয়ার টিলার মেশিন দু'টি নবীগঞ্জ শহরের সালামত পুর আবাসিক এলাকায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাহেব আলী নামের ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দিয়েছে৷ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সময়ে পাওয়ার টিলার মেশিনের মালিকগণ ও কুর্শি এলাকার শ্রমিক নেতা জয়নাল মিয়া সহ আরো অনেকেই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাহেব আলীর নিকট চলে যান বিষয়টি সম্পর্কে জানতে,তবে তাদের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুচতুর সাহেব আলী চম্পট দেয়, তবে তার জনৈকা স্ত্রী বিষয়টি স্বীকার করে এ বিষয়ে তার স্বামীর কোনো দোষ নেই বলে চোরদের সাথে তার স্বামী ও তার মোবাইল ফোনালাপের রেকর্ড শুনান৷ এসময় রেকর্ডটি সংরক্ষণ করা হয়৷ অপরদিকে পাওয়ার টিলার মেশিন চোরেরা এখবর জানতে পেরে বিগত ১২ দিন ধরে আত্মগোপনে চলে যায়৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, ছইফুল গংরা একটা বিরাট চক্র, কৃষকদের পুকুরের মাছ চুরি সহ এহেন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করেনা। কিছুদিন পর পরই কুর্শী হ্যাচারি কমপ্লেক্সের পুকুর থেকেও মাছ চুরি হয়ে থাকে। ধারনা করা হয় এই চক্রই চুরি করে থাকে। প্রাণের ভয়ে কেও তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ইতিপূর্বে এই চক্র অনেকগুলো চুরির ঘটনা সংগঠিত করেছে। কেহ যদি মূখ খুলে তাদেরকে তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে থাকে। তাই প্রাণ ভয়ে কেও কথা বলার সাহস পায় না। কৃষক আব্দুল কাইয়ূম বলেন, আমাদের হাওর থেকে বিগত ১ মাসে এভাবে আরো প্রায় ১০/ ১৫টি পাওয়ার টিলার মেশিন চুরি হয়েছে৷ এর নেপথ্যে রয়েছে এই চোর চক্র ও ভাঙ্গারি ব্যবসার আড়ালে এসব চোরদের আশ্রয় পশ্রয় দিচ্ছে সাহেব আলীর মতো আরো অনেক অসাধু ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের যে কোন বাড়ি থেকে জিনিস পত্র চুরি হওয়া জিনিস পত্র কিনে সেগুলো দিয়ে অবৈধ ভাঙ্গারী ব্যবসা করায় এলাকার চুরের উপর্দপও বাড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা। এসব ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও চোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক অভিযান চালানোর দাবী জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার সহ চোরদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷

লন্ডনের লিঙ্কন'স ইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিষ্টার বার অ্যাট-ল ডিগ্রি পেলেন নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান শাফায়েত চৌধুরী।  লিঙ্কন'স ইন বিশ্ববিদ্যালয় এর ২৫ জুলাই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ব্যারিষ্টার বার অ্যাট-ল ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন।তিনি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শাফায়েত চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাও গ্রামের মরহুম জহুরুল ইসলাম চৌধুরীর নাতি ও ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর পুত্র। শাফায়েত চৌধুরীর এই কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনরা ভীষণ খুশি। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। শাফায়েত চৌধুরীর মামাত ভাই নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জায়েদ চৌধুরী শাফায়েত চৌধুরীর জন্য নবীগঞ্জসহ দেশ বিদেশের সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

লন্ডনের ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পেলেন নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান মোঃ নাসির মিয়া। ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন।তিনি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নাসির মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজ সেবক লন্ডন প্রবাসী হাজ্বী মোঃ নজির মিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ছেলে। নাসির মিয়ার এই কৃতিত্বে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনরা ভীষণ খুশি। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31