বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজি সুফি মিয়ার পুত্র কাজি শামীম আহমেদ বাদি হয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাহি, গোসাইপুর এলাকার বাসিন্দা চশমা তারেকসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১শ থেকে ২শ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলাটি এফআইরগণ্যে রুজু করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন। ওই মামলা নবীগঞ্জের বিএনপির পরিবারের ইনাতগঞ্জ বিএনপির নেতা ও উপজেলা শ্রমিকদলের নেতা জিয়া উদ্দিনকে উদ্দেশ্য মূলক আসামী করায় নেতাকর্মীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার দিন সময় তারিখে জিয়া উদ্দিন ইনাতগনজ তার বাড়িতে অবস্থান করেন। জিয়া উদ্দিন অবৈধ সরকার পতন আন্দোলনে একজন নিবেদিত কর্মী হিসাবে কাজ করছে। নেতাদের দাবি জিয়া উদ্দিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত নয় তাকে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে উক্ত মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা থেকে অবাহতি দিতে নবীগঞ্জ বিএনপি ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর আহবান। উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই দুপুরে সদর থানাধীন টাউন হলের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে শামীম আহমেদসহ মঞ্জু মিয়া, দুলাল মিয়া, জয়নাল সর্দার, আল আমিন, হেলালুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। এবং জিয়া উদ্দিনের মত আর কোন নিরীহ এবং ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন কেউ আসামী পরে থাকলে তাদের মামলা হতে অব্যহতি প্রদান করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশাটির চালক আবুল কাশেম। গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পানিউমদা বাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অটোরিকশাচালক আবুল কাশেমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দেবপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, পানিউমদা বাজারে কাশেম তার অটোরিকশাটি মহাসড়কের ওপরে ঘোরাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস চাপা দিলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় দুর্ঘটনায় আবুল কাশেম গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার ভেতর থেকে বের করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি জব্দ করে। তখন বাস চালককে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল হক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নবীগঞ্জ নিখোঁজের ৪ দিন পর মৎস্য ফিশারী থেকে সারজিদ মিয়া নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহত শিশু সারজিদ বাড়ির পাশে একটি ফিসারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশু সারজিদ মিয়া উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের আল-আমিনের পুত্র। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) শিশুটি তার খেলার সাথীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আলীগঞ্জ সেতুতে খেলাধুলা করতে যায়। এ সময় কয়েক জন ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (মিশুক) যোগে নৌকা বাইচ দেখানো কথা বলে চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকা বাইচ দেখা শেষে জনি ও সোহাগ নামে দুজন একই স্থানে তিন শিশুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। তবে অপহৃত শিশু সারজিদ ও অভিযুক্ত ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি। অনেক খোজাখুজির পর শিশু সারজিদকে না পেয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন তার পিতা আল-আমিন। পরে ৯ অক্টোবর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হল- পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)। পরে বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর আদালতে প্রেরণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুর গ্রামের একটি মৎস্য ফিশারীতে শিশু সারজিদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শিশু সারজিদ নিখোঁজ ছিল। তার সহপাঠিরা জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা তাদেরকে মিশুকযোগে নিয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হলে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতারের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের খনকারীপাড়া গ্রামের প্রয়াত পীরে কামেল হযরত শাহ্ জলফুর আলম চিতশী’র নাতি, কামড়াখাই-জয়নগর মাদ্রাসার প্রাত্তন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও বিশিষ্ট মুরুব্বি পীর শাহ্ শামছুল আলম (৮৫) গত বুধবার (৪ টা ৪৫ মিনিট) ভোররাতে উনার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের নামাজে জানাযা, গতকাল বুধবার বিকাল ৫ টায় উনার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাযার নামাজে, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান চৌধুরী ফারছু, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তা ইসলাম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সুশীল, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত উনার শত শত ভক্ত, আশেকান, অংশগ্রহন করেন। উক্ত জানাযার নামাজ শেষে মরহুমে পারিবারিক করস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি ৬ মেয়ে, দুই ছেলে, নাতী-নাতনী সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগাহী রেখে গেছেন। উক্ত, জানাযার নামজে ইমামতি করেন তাঁর ছোট ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী শাহ্ ফখরুল আলম এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন তাঁর বড় ছেলে শাহ্ সাফিউল আলম।
সিলেট বিমানবন্দর সড়ক থেকে ভারতীয় ‘বুঙ্গার চিনি’ বোঝাই ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কের সিলেট ক্যাডেট কলেজের সামনে থেকে ভারতীয় চিনির এই চালানটি জব্দ করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এসময় নবীগঞ্জের একজনসহ তিনজনকে আটকও করা হয়।
আটককৃতরা হল- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার টেকনাগুল গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), শাহজাহানের ছেলে হৃদয় আহমেদ (২১) ও নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামের ইলন রবি দাসের ছেলে সাজু রবি দাস (২২)। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে সিলেট ক্যাডেট কলেজের সামনে সিলেট নগরমুখী একটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। পরে ট্রাকের ভেতর থেকে ১০৯ বস্তা (৫২৩২ কেজি) ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় বিশেষ মতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়াতে নবীগঞ্জের একজনসহ দুই এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা দুজনেই এনজিও সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের কর্মী ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উখিয়া রাজাপালং ও উপজেলা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে পৃথকভাবে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার মাঝপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মেহেরাব হোসেন (৩০), হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা এলাকার সুখ লাল দেবের মেয়ে পপি দেব (২৭)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উখিয়া থেকে পৃথকভাবে দুই এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুইজনে একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দুইজনই একই এনজিও সংস্থার কর্মী এবং সহকর্মী ছিলেন। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পের সামনে ট্রাক ভর্তি বালুগাড়ি ও পিকআপের সংঘর্ষে হেলপার নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় চালক আহত হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ ঘটিকা এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, (০৩ অক্টোবর) সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পে সামনে ঢাকাগামী বালু ভতি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-৫৫৯৪) ও সিলেট গামী পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন ১৮-৭৫৪১) আসা মাত্র সংঘর্ষে পিকআপের হেলপার নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাইয়ূম মিয়া (৩৫)নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন চালক রংপুর জেলার শ্রী চন্দন চন্দ্র। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় কবলিত বালু ভতি ট্রাক ও পিকআপ শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ জব্দ করেছে। নিহত ও দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাইওয়ে থানার এস আই হাসিউল ইসলাম।
নবীগঞ্জ উপজেলার বানিউন গ্রামে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির শিকার বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুবায়েল আহমদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জিয়া উদ্দিন (৪৪)কে আসামী করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগঃ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন- “আসামীর সহিত বিভিন্ন বিষয়ান্তরে মনোমালিন্যতা ও বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত ভূমিতে আমরা চাষাবাদ করিতে গেলেই বিভিন্ন সময় আসামী ও তাহার সহযোগিরা বিভিন্ন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ইদানিং আসামী ও তার সহযোগিরা নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমিতে আমি ও আমার লোকজন চাষাবাদ করিতে গেলেই ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। আমি এ ব্যাপারে এলাকার ময়-মুরুব্বীয়ানকে অবহিত করিলে আসামী আমাদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হইয়া আমাদেরকে জানে মালে ক্ষতিগ্রস্ত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকিয়া ১৪/০৯/২০২৪ইং তারিখ রোজ শনিবার, সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমি দেখিতে গেলে তথায় পূর্ব হইতে উৎপাতিয়া থাকা উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাত নামা আসামীরা আমাকে চারদিক হইতে ঘিরিয়া ধরে। তখন আসামী জিয়া উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা আমার গলায় ধরিয়া হুমকী দিয়া বলে এই জমি ভোগ দখল করিতে বা চাষাবাদ করিতে চাহিলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। অন্যথায় এখানে আসিলে তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব। এইরূপ হুমকী শুনিয়া আমি হত বিহবল হইয়া পড়ি। আমি আসামীকে কোনরূপ চাঁদা প্রদান করিতে পারিব না বলিলে আসামীর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আসামীরা আমাকে কিল, ঘুষি মারিয়া আহত করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে শোর চিৎকার করিলে আশপাশ হইতে কোন কোন সাক্ষীগণ দৌড়াইয়া আগাইয়া আসিয়া দূর্দান্ত আসামীর কবল হইতে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। অন্যথায় দূর্দান্ত আসামী আমাকে নিশ্চিত খুন করিয়া ফেলিত। এই সময় আসামী আমাকে হুমকী দিয়া বলে ভবিষ্যতে কোন দিন আমি ময়-মুরুব্বীয়ানের নিকট বিচার চাহিলে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।মামলায় বাদী জুবায়েল আহমদ আসামীকে দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪ জন ডাকাত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আউশাকান্দি এলাকা থেকে ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ০১/১০/২০২৪ তারিখ রাতে
সিলেট থেকে গরু ব্যাবসায়ীরা কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেল বাজার সংলগ্ন ব্রীজের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন ডাকাত মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর মূল্য-১৬,০৫,৫০০/- টাকা ও একটি ট্রাক গাড়ী মূল্য অনুমান-২৬,০০,০০০/- টাকা, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন ০৫টি মূল্য অনুমান ১৮,০০০/- টাকা এবং নগদ- ২,৫০,০০০/- টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মোঃ এনায়েতুল (এনাতুল বেপারী) (৩৮) বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার মামলা তদন্ত ভার গ্রহণ করেন। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ডাকাতির মাত্র ০৩ (তিন) ঘন্টার মধ্যেই হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রেজাউল হক খান এর দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার, এসআই/পিযুষ কান্তি দেবনাথ ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইং ০১/১০/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত ১১.৩৫ ঘটিকার সময় উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নস্থ টোলপ্লাজার সামনে গোপলা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রোর ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো, মৌলভী বাজার উপজেলার শেরপুর ব্রাহ্মনগ্রামের মৃত আজমান আলীর পুত্র মোঃ সৈয়দুর রহমান (৩০), ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জফির মিয়ার পুত্র সামসুদ্দিন( ২৯), নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল (বনগাঁও) গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র উজ্জল হোসেন( ২১), একি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র রেফু মিয়া (২৪)। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ীসহ মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) ডাকাতি হওয়া বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর ও একটি ট্রাক গাড়ী, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন
০৫টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই ডাকাত চক্রের সদস্য। আসামীরা ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
নবীগঞ্জে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার মাসের শিশুর মরদেহ।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেনের স্ত্রী মিনারা আক্তার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তার চার মাসের কন্যা শিশু মাহমুদা আক্তার মীমকে বিছানায় রেখে রান্না করার জন্য যান। রান্না শেষে এসে দেখেন বিছানায় মীম নেই। এর কিছুক্ষণ পর দেখতে পান বাড়ির পিছনে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসছে।
এসময় তার শোরচিৎকার শুণে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বিষয়টি অবগত করা হয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে, চার মাসের ঘুমন্ত শিশু মীম কিভাবে পুকুরে গেল বা কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে কি-না তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই নির্মম এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন।
নিহত শিশুর মা মিনারা আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাচ্চাকে বিছানায় রেখে রান্না করতে যান। রান্না শেষে এসে ফিরে দেখন তার বাচ্চা বিছানায় নেই। পরে বাড়ির পিচনে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফি মিয়া বলেন, ‘মীম আক্তার চার মাসের শিশু। সে বিছানা থেকে নিচে পড়তে পারে। কিন্তু পুকুরে কিভাবে গেল বিষয়টি সন্দেহজনক।’
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেণ, ‘চরগাঁও গ্রামে চার মাসের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পুকুরের পানি থেকে। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের পর বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।’