নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সিআর মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই/স্বাধীন তালুকদারের সংঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে সিআর মামলা নং-২৮২/২৪ এর গ্রেফতারী পরোয়ানার পলাতক আসামি কুর্মা (কুড়িগাও) পানিউমদা গ্রামের দরুছ উল্লাহর পুত্র আব্দুল হামিদ (৩৫) কে রাতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন।
নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে কর্তৃক পরিচালিত নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইনস্টিটিউট-এর কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটের হল রুমে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে সভাপতি মাহতাব মিয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্ট ইউকের জয়েন্ট সেক্রেটারির হাবিবুর রহমান বেলায়াত, সৈয়দ শামীম আহমদ, সৈয়দা নাছিমা বেগম, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, শিক্ষক রাজিব দেব, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্টের শিক্ষক আক্কাস আহমদ, কাজী মাওলানা হাসান আলী,সাংবাদিক মোঃ হাসান চৌধুরী। অতিথিরা নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩ এর কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন কোর্সের শিক্ষাথীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্টান শেষে নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি মাহতাব মিয়া ইন্সটিটিউটের ভবনের ২য় তালার কাজ পরিদর্শন করেন।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নিয়মিত মামলার এজাহার নামীয় আসামিসহ গ্রেফতার ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী এসআই/মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই/সুব্রত সংঙ্গী ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং- ২১(৪)২৪, ধারা-৭/৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধীত-০৩) এর এজাহার নামীয় প্রধান আসামি ইমামবাঐ গ্রামের মান্নান মিয়ার পুত্র মোঃ হাশিম মিয়া (২২)কে গ্রেফতার করেন।পৃথক আরো একটি অভিযানে এসআই/শুভ সংঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে সিআর মামলা নং-৫১৮/২৪ এর গ্রেফতারী পরোয়ানার পলাতক আসামি উত্তর গহরপুর গ্রামের মফিজ উল্লাহর পুত্র আফতাব উদ্দিন (৫৮)কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন।
নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মিয়ার ছোট ভাই আলমগীর মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়াসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ। রবিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।এক শোকবার্তায় নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মিয়ার ছোট ভাই আলমগীর মিয়ার মৃত্যুতে আমি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে জান্নাত নসীব করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। প্রসঙ্গত, নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মিয়ার ছোট ভাই আলমগীর মিয়া গত শনিবার রাতে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
নবীগঞ্জ পৌর এলাকার জয়নগর গ্রামের লালধন এর পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া (৩০) গত শনিবার রাতে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের লালধন মিয়ার পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া (৩০) পাশ্ববর্তী মিনুর মিয়ার বাড়ীতে শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় বিদ্যুতের কাজ করতে যান। এ সময় অসাবধানতা বসত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনি আহত হন। আহত আলমগীর মিয়াকে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেসে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার সকালে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। নিহত পরিবারের সদস্য লিখিত দরখাস্ত প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে দেন।নিহত আলমগীর মিয়ার বড় ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া জানান,আমার ভাই বিদ্যুতের কাজ করে। সে ওই দিন রাতে আমাদের পাশের বাসা কাজ করতে যায় সেখানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। আমাদের পরিবারের কারো প্রতি কোন অভিযোগ নাই।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে বিয়ের ১১ দিন যেতে না যেতেই প্রকাশ্যে সন্ধ্যা রাতে সন্ত্রাসী হামলায় সৌদি আরব প্রবাসী সোহান আহমেদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী৷ ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম বাজার থেকে দলে দলে সমবেত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মসুদ আহমেদ জিহাদী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দিলবার হোসেন,আব্দুল ওয়াহিদ, আলাল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, আজিজুর রহমান,শাহিন আহমেদ সহ আরও অনেকেই।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জের একদল সঙ্ঘবদ্ধ অস্ত্রধারী প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সোহানকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ইতিপূর্বে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে এইচক্র জড়িত। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবী জানানো হয়। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও আন্দোলনকারীগণ হুশিয়ারী প্রদান করেন৷ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, চাকুরীজীবি সহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক জনতা অংশ গ্রহণ করেন৷উল্লেখ: ইনাতগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে ওই এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার একমাত্র পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী সোহান আহমেদকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যারাতে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে আরো ৩ জন গুরুতর আহত হন৷ নিহত সোহান গত এক মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। ১১ দিন পূর্বে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। হাতের মেহেদীর দাগ মুছে যাওয়ার আগেই চলে যেথে হল না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর খবরে নববধূ সহ পরিবারে চলছে মাতম, এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ আহতরা হলেন, সোহানের চাচাতো দু ভাই সৌদি আরব প্রবাসী নুর আলমের পুত্র মোসাদ্দেক আলম(২৪) ও আবু সায়েদের পুত্র শহীদুল্লাহ (২৫),দিঘীরপার কোনার বাড়ি গ্রামের আজির মিয়া(৪৫)। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোসাদ্দেকের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে৷ । স্থানীয়রা জানান, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ ও তার সহযোগীদের সাথে নিহত সোহানের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়৷ এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফিল্মি স্টাইলে ধাওয়া করে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা সোহানকে ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যো ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত করে। সোহানকে বাঁচাতে অপর ৩জন এগিয়ে আসলে তাদেরকে ছুরিকাত করা হয়।গুরুতর আহত সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে ভর্তি হওয়ার আধা ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৭টার সময় সোহানের মৃত্যু হয়। মোসাদ্দেকের অবস্থা আশংকাজনক।অপর আহত শহীদুল্লাহ্ ও আজির উদ্দিনকে স্থানীয়বাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ ও উৎপাদনের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ মনমোহন রবিদাস (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বানিয়াচং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ্টেন আশরাফুল ইসলাম তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গ্রেফতার মনমোহন দাস (৪৫) ১নং ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের গোবিন্দ রবিদাসের ছেলে।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সেনাবাহিনীর বানিয়াচং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন আশরাফুল ইসলাম তামিমের নেতৃত্বে অভিযানিক দল নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের মনমোহন দাসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাটির নিচে পুঁতে রাখা এক হাজার ২০ লিটার মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।এ সময় মদ উৎপাদনকারী মাদক ব্যবসায়ী মনমোহন রবিদাসকে আটক করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে মনমোহন রবিদাস ও জব্দ করা মদসহ নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গোয়াইনঘাটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ধরা পড়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোঃ নোমান হোসেন। শুক্রবার সকালে তামাবিল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাঁকে গ্রেফতার করে। বিজিবি জানায়, শুক্রবার সকালে তামাবিল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গমনের সময় সেখানে কর্মরত বিজিবি সদস্যরা সন্দেহভাজন হিসেবে মোঃ নোমান হোসেনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা রয়েছে। উক্ত মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় জামিনে থাকা আসামি বিদেশে গমন করতে পারবেন না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার ব্যক্তিকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ বহির্গমন প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজিবি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নোমান হোসেনকে গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছেন থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন।
ঢাকায় অবস্থানরত গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের আহত ৬ জনের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নবীগঞ্জের তিন সহোদর ভাই বোন মৃত্যুবরণ করেছেন। অপর আহতদের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে। নিহতরা হচ্ছেন- সোহেল মিয়া (২০), তার ছোট ভাই ইসমাইল মিয়া (১১), ছোট বোন তাসলিমা (৯)। তারা নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর গ্রামের অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত বাবুল মিয়ার ছেলে ও মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ঢাকাস্থ জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় সকাল ১১টায় সোহেল এবং দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইসমাইল এবং রাত ৮ টায় তাসলিমা মৃত্যুবরণ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের স্বজনরা মৃতদেহ নিজ বাড়ি সুজাপুর গ্রামে এনে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। বুধবার সকাল ৯ টায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে জীবন জীবীকার তাগিদে ঢাকা নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে স্বপরিবারে চাকুরী করেন। সেখানে দোহরগাওঁ এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বাবুল মিয়া (৪৫) সহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। অগ্নিকাণ্ডে অন্যান্য আহতরা হলেন, তার স্ত্রী শেলী বেগম (৩৫), মেয়ে মুন্নি বেগম (১৮), তাসলিমা বেগম (৯), ছেলে সোহেল (২০) ও ইসমাইল (১১)। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে ৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়ে তিন ভাই – বোন। অন্যান্য আহতদের অবস্থাও আশংকাজনক। নিহতদের ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের কাজ চলছে। শেষে তাদেরকে নিজ বাড়ি নবীগঞ্জের সুজাপুর এনে বুধবার সকাল ৯ টায় মৃতদের জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে। একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের মাঝে চলছে কান্নার রুল।
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যায়ল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২ঘন্টাব্যাপী ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে৷ পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ জানা যায়, আউশকান্দি র প উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত (২৭ অক্টোবর) ১টার দিকে তিন যুবক বাজে মন্তব্য ও ছাত্রীকে মারধোর করে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এই ঘটনার জেরে আউশকান্দি র প উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯অক্টোবর) সকালে প্রতিবাদ মিছিল করে। শিক্ষার্থীর বন্ধু বান্ধব প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্বর অবস্থান নেয় ছাত্র-ছাত্রীরা। সিলেট- ঢাকা মহাসড়ক প্রায় ২ ঘন্টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।এ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন। এতে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে বখাটেদের গ্রেফতারের আশ্বস্ত দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরবর্তীতে আবারো তীব্রতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা৷ পরে ছাত্র-ছাত্রীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।