Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 07 December 2024

Local News

Local News (227)

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে হত্যা ও ধর্ষণ মামলাসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় এস,আই সুমন মিয়া,এস আই আব্দুল কাদের,এস আই শুভ দেব নাথ,এস আই আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাও ধর্ষণ মামলাসহ ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার আসামী হলো,কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের মৃত্যু রজব আলীর পুত্র আব্দুর রউফ মিয়া (৬৫)কে ২ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার আসামিকে করগাও ইউনিয়নের বড় সাকুয়া সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।এজাহার নামীয় ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি হলো, সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের নুর খার পুত্র মঈন খাঁ (২২)কে গুজাখাইর এলাকা থেকে আটক করা হয়। চুরির মামলার আসামি হল নাসিরনগর থানার কলমদর পশ্চিমপাড়া (ধরমন্ডল) গ্রামের কিমত আলীর পুত্র বদরুল ইসলাম (৩৮)কে উপজেলার গজনাইপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কালাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের পর তাদেরকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে হত্যা ও ধর্ষণ মামলাসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় এস,আই সুমন মিয়া,এস আই আব্দুল কাদের,এস আই শুভ দেব নাথ,এস আই আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাও ধর্ষণ মামলাসহ ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার আসামী হলো,কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের মৃত্যু রজব আলীর পুত্র আব্দুর রউফ মিয়া (৬৫)কে ২ঘন্টার মধ্যেই হত্যা মামলার আসামিকে করগাও ইউনিয়নের বড় সাকুয়া সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।এজাহার নামীয় ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি হলো, সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের নুর খার পুত্র মঈন খাঁ (২২)কে গুজাখাইর এলাকা থেকে আটক করা হয়। চুরির মামলার আসামি হল নাসিরনগর থানার কলমদর পশ্চিমপাড়া (ধরমন্ডল) গ্রামের কিমত আলীর পুত্র বদরুল ইসলাম (৩৮)কে উপজেলার গজনাইপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কালাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের পর তাদেরকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়ার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।রবিবার বেলা ১০ টার দিকে নবীগঞ্জ জে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রি মেডিকেল টিমে ২ জন চিকিৎসক প্রায় ৩ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ঔষুধের সেবা প্রদান করেন। নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন ও রায়হানুল বারীর যৌথ পরিচালনায় এবং পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক সরফরাজ চৌধুরী, যুগ্ম আহব্বায়ক মজিদুল করিম মজিদ, পৌর বিএনপি যুগ্ম আহব্বায়ক অরবিন্দু রায়,যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওতাদ হোসেন, বিএনপি নেতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক শাহ ছালিক মিয়া,উপজেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহব্বায়ক জয়নাল আবেদীন,যুগ্ম আহব্বায়ক শাহ লিমন আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মুহিবুর রহমান, শাহ হোসাইন আলী, মাসুক মিয়া, মহিলা নেত্রী শ্যামেলা বেগম, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরী, আবুল খায়ের টিসা, বিলু মিয়া, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর মিয়া, জুবায়ের আহমদ,হৃদয় আহমদ, হাসান চৌধুরী, ফুল মিয়া, রুবেল আহমদ ইকবাল হোসেন, আবু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর মিয়া (২), বুলবুল আহমদ প্রমুখ। সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো বিএনপির সভাপতি নবীগঞ্জ-বাহুবলের বিএনপির মনোনয়ন প্রতাশী শাহ মোজ্জামেল নান্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান যুগ্ম আহব্বায়ক নাজমুল ইসলাম, লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা সাংবাদিক জাবেদ হোসাইন,ফ্রান্স প্রবাসী যুবদল নেতা মোঃ দিলু মিয়া তালুকদার ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে ঔষধ দিয়ে সহযোগীতা করায় নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়াসহ সকল যুবদল নেতৃবৃন্দ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়। এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের দিনারপুর কলেজের সামনে অজ্ঞাত নামা গাড়ির ধাক্কায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী চালকের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় ১ জন আহত হয়। বরিবার সকাল ৭ ঘটিকা এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের দিনারপুর কলেজে সামনে সিলেট হইতে ঢাকাগামী অজ্ঞাতনামা গাড়ি ও চুনারুঘাট হতে সিলেটগামী রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল আসা মাত্রই অজ্ঞাতনামা গাড়ি চালক দ্রুত গতিতে চালিয়ে মোটরসাইকেলের পিচনে ধাক্কা দেওয়া মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক জাকির হোসেন(২৫) নামে ১ ব্যক্তি নিহত হয়। ও আজগর আলী (৩৫) নামে ১জন আহত হন। নিহত ব্যক্তি হলেন, চুনারুঘাট উপজেলার দেওয়ারগাছ ইউনিয়নের বাঘারু গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র জাকির হোসেন (২৫)। আহত ব্যক্তি হলেন চুনারুঘাট উপজেলার একডালা গ্রামের মৃত্যু আলী হোসেনের পুত্র আজগর আলী (৩৫)। মোটরসাইকেল এর চালক মৃত জাকির হোসেন এর শরীরের কনস্টিপ দিয়ে প্যাঁচানো গাঁজা ও মোটর সাইকেলের সীটের ভিতরে ১০ কেজি ৩০০গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। দূর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলে গাঁজা থাকায় আজগর আলী (৩৫)কে শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ আটক করেছে। নিহত ও দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাইওয়ে থানার এস আই হাদিউল ইসলাম। 

নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হামলায় নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন তালুকদার আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত শাহিন তালকুদার (৩৭)কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করচ্ছে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও আহত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন তালুকদারের ছোট ভাই রুহিন তালুকদার নবীগঞ্জের পৌর এলাকার টিসিবি ডিলার আঃ হাদী দীর্ঘদিন ধরে স্ব পরিবারের প্রবাসে বসবাস করেন। আঃ হাদিও গালিব ট্রেডাস ও মৃত হিমাংশু শেখর রায়ের সুরমা ট্রেডাস দিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যুবলীগ নেতা বারিন্দ্র দাশ শহরের চরগাঁও গ্রামের ধান ব্যবসায়ী মশিউর রহমান মিলে প্রকাশ্য অনিয়ম করে টিসিবির মাল বিক্রি করে। এই প্রতিবাদ জানাতে এবং অবৈধভাবে টিসিবির পূন্য বিক্রির করার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় লোকজনের পক্ষে রুহিন তালুকদার টিসিবির ডিলারসীপ বাতিলের জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের তোয়াবু মিয়ার পুত্র মশিউর রহমানের নেতৃত্বে তার গ্রামের নিকট আত্মীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ১৫/২০ দুর্বত্তদের সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন তালুকদার এর উপর তার বাসার সামনে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি হামলা করে তাকে আহত করেন। গুরুত্বর আহত শাহিন তালুকদার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন থানার সাব ইন্সেপেক্টর তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার খোজ খবর নেন। থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তিনি বলেন অভিযোগ পেলে আইননুক ব্যবস্থা গ্রহন করব। যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীর হামলায় যুবদল নেতা শাহিন তালুকদার আহত ঘটনা বিএনপি,যুবদল নোকর্মীদেও মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যুবদল নেতাশাহিন আহতের ঘটনায় নবীগঞ্জ ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এবং ঘটনার সাথে জড়িতের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীসহ ৪ জন আসামী গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ। সোমবারে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে অদ্য এসআই রাজিব রহমান, এসআই পিযুষ কান্তি দেবনাথ, এএসআই সুব্রত কুমার দাশ, এএসআই মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ নবীগঞ্জ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃতরা হলো,জিআর-৮৬/২২ (নবী) এর ০১ (এক) বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী বারৈকান্দি এলাকার মৃত আব্দুল জলিল পুত্র ফজল মিয়া (২৩),চৌশতপুর গ্রামের দুদু মিয়া পুত্র কয়সর মিয়া (২০),ছালামতপুর গ্রামের মৃত ঝাড় মিয়ার পুত্র ফিরোজ মিয়া (৩২), এবং সিআর-৪৩১/২৪ (নবী) এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী কমলাপুর গ্রামের বাতেন উল্লার পুত্র বজলু মিয়া (৪৫)।গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন।

নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম শ্রেণীর জনৈক এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শাহ আলম (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কৈলাশগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহ আলম (২৮) কুর্শি ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামের গুলজার মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়- গত ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কুর্শি ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামের প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া জনৈক ছাত্রীকে নির্মাণাধীন বসতঘরে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শাহ আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কৈলাশগঞ্জ বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহ আলম (২৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজের দুদিন পর নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাওয়া গেছে। অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করেছেন তাঁর সহকর্মীরা। এ ঘটনায় সর্বত্র আলোচনা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অনার্সের ১ম বর্ষে ভর্তি ফি অতিরিক্ত আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানকে দেড় ঘন্টা কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও শিক্ষকরা তালা খুলে অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানকে মুক্ত করেন। এসময় রবিবার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র শিক্ষক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমান। শুক্রবার সকালে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসা থেকে ব্রাহ্মবাড়িয়া বোনের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

এদিকে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তির ফি নিয়ে পূর্বনিধারিত ছাত্র শিক্ষক বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ আজ কলেজে আসেন নি। এ খবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে অধ্যক্ষ না আসার কারণ ও অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি ফি কমানোর বিষয়ে জানতে চান। শিক্ষকরা অধ্যক্ষকের অনুপস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উপস্থিত শিক্ষকরা অধ্যক্ষের পরিবারের বরাত দিয়ে শিক্ষার্থীদের জানান, অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের দু’দিন ধরে কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের নিখোঁজের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আমির হোসেন।

রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার স্বামী মোঃ ফজলুর রহমান নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন- শুক্রবার সকাল ৮টায় নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসা থেকে ব্রাহ্মবাড়িয়া বোনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমান। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাধারণ ডায়েরী দায়েরের পর নবীগঞ্জ থানা থেকে দেশের সকল থানায় বার্তা পাঠানো হয়। সাধারণ ডায়েরীর কয়েক ঘন্টার মাথায় গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে। এসআই আরও জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জহির নামে জনৈক ব্যক্তি ফজলুর রহমানকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এরপর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থান রবিবার সকাল ৭টায় মারা যান।

অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর খবর নবীগঞ্জ পৌছুলে পরিবার ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যদের আহাজারীতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।

অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর কারন জানা যায়নি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কারো কারো ধারণা হয়তো গাড়িতে মলম পার্টি বা ছিনতাইকারী চক্র নেশা জাতীয় কোন কিছু দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। কারো মতে অধিক টেনশনের কারণে স্টোক করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট পেলেই অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে এর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করেছেন তাঁর সহকর্মীরা।

উল্লেখ, গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নবীগঞ্জ সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ফজলুর রহমান।

নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ এর অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন কি কারণে মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক কারণ জানা যায়নি।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ১ জন আসামীসহ ৩জন পরোয়ানাভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ রাতভর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকা থেকে জিআর-৪০০/১২ (নবীঃ) এর সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেওপাড়া গ্রামের ফয়জুল্লার পুত্র আব্দাল মিয়া,নারী ও শিশু ৮০/২৩ এর পরোয়ানাভুক্ত আসামী বড়ইকান্দি এলাকার মৃত ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র মোঃ লেবু মিয়া। এবং এসআই/শুভ দে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এনাতাবাদ এলাকা থেকে সিআর-১৫০/২৪ (বড়ঃ) এর পরোয়ানাভুক্ত আসামী এনাতাবাদ গ্রামের জমির আলী পুত্র আম্বর আলীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের রবিবারে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জন পরোয়ানাভুক্ত ও ২জন চুরি মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নির্দেশনায় এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট এলাকা থেকে ফৌজদারী আপিল মামলা নং-১১/২৩ (নবীঃ) এর পরোয়ানাভুক্ত আসামী সদরঘাট গ্রামের সমছু মিয়ার পুত্র ফারছু মিয়া, এবং এএসআই রুহুল আমিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রাম এলাকা থেকে সিআর-৪০৮/২৩ (সদর), এর পরোয়ানাভুক্ত আসামী কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম পুত্র মোঃ চুনু মিয়াকে গ্রেফতার করেন।এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার, সঙ্গীয় ফোর্সসহ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও এলাকা থেকে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৬/০৯/২০২৪খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোডের সন্ধিগ্ধ আসামী কান্দিগাঁও গ্রামের মোঃ লুৎফুর রহমান এর পুত্র মোহাম্মদ আবীর আহমেদ (১৯), মৌলভী বাজার রাজনগর এলাকার মোঃ মাসুক মিয়ার পুত্র মোঃ শাকিল মিয়া (২৭)কে গ্রেফতার করেন। শনিবারে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30 31