Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Friday, 03 May 2024

Local News

Local News (156)

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের মাধবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় - কাজিরবাজার থেকে হবিগঞ্জ গামী সিএনজিটি মাধবপুর নামক স্থান এলাকায় পৌঁছমাত্রই ইনাতগঞ্জ দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ঢাকা-মেট্র ন-১২-৫৫৫৯ নাম্বারহীন সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ৪জনকে আংশনকা জনক অবস্থায় সিলেট এজিএম উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতা হলেন,নবীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল মতিন, (৪২)জগন্নাথপুর উপজেলা হরিনাকান্দি গ্রামের দিপংকর দাশ (৪০) পিতা ডা: নলিনি,পলি রানী দাশ (৩০) স্বামী দিপংকর, অন্না রানী দাশ পিতা দিপংকর দাশ, ৪। রাজু দাশ (০৯) পিতা দিপংকর দাশ, সজলা রানী দাশ (৫৫) স্বামী চিত্ত রঞ্জন দাশ, শফির উদ্দিন (৪০) পিতা মৃত আ: সোবহান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার একটি পুলিশের দল ঘটনা স্তলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও সিএনজিটি উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৬ জুয়াড়িকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাউসা ইউনিয়নের কামিরাই গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে আরশ আলী (৩০), ধুলচাতল গ্রামের মৃত মোশাহিদ মিয়ার ছেলে কুরুশ মিয়া (৪০), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (৩০), চানপুর গ্রামের মৃত এলাইচ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৪০), কামিরাই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে ইউনুছ মিয়া (৪০)। পুলিশ জানায়- শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল পুলিশ বাউসা ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। পরে জুয়া আইনে মামলা দায়েরের পর ৬ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো নিরূপন করা হয়নি। গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে একটি খাবার হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ছোট-বড় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ মিরপুর বাজারের তেমুনিয়ার একটি খাবারের হোটেলে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ও বাহুবল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় সোয়া ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে সফর আলীর চা দোকান, গোলহর মিয়ার মিষ্টির দোকান, ফরিদ মিয়ার ফলের দোকান, করিম মিয়ার হোটেল, টং দোকান ২টি, সেলুন, কম্পিউটার দোকান, মোবাইল সার্ভিসিং ছাড়া কয়েকটি টং দোকান পুড়েছে। বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তিনি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হঠাৎ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। আগুনে ছোট বড় মিলিয়ে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি বলেন, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাতি, ছিনতাইকারী ও প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া জনগনের সঠিক সেবা নিশ্চিত কল্পে র‌্যাব নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। র‌্যাব-৯ এর কাছে গোপন তথ্য ছিল যে, হবিগঞ্জ জেলা সদরস্থ নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি লাইসেন্স বিহীন বেসরকারী ক্লিনিক স্থাপন করে অপারেশন পরিচালনা ও চিকিৎসা ব্যবস্থপনায় অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে মানুষের জীবনকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এসব অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত (১৪ মার্চ) বিকাল আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’ এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় লাইসেন্স ব্যতিত বেসরকারি ক্লিনিক স্থাপন এবং সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং উক্ত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার শরিফকানী গ্রামের মাসুক খাঁনের পুত্র মো: তারেক আজিজ খাঁন। তাকে ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্ট মামলা নং- ১৭/২৪, তারিখ- ১৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ, মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারা মূলে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে ও জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানাযায়।

নবীগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাহফুজুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশনায় এস আই রাজিব রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। মাহফুজুর রহমান মুন্না রাইয়াপুর গ্রামের  হিফজুর রহমান হেবলুর পুত্র। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যাকান্ডে মান্না'কে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের মা মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে।

চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় একটি ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নবীগঞ্জের রাসেল মিয়া (১০) নামের আরেক শিশু বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে। নিহত রাসেল রামপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। এর আগে হবিগঞ্জের ভাগ্নে হোসাইন (৬) ও নবীগঞ্জের মামা রিমন (১৮) মারা যায়। গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বাহির সিগন্যাল টেকবাজার সড়ক ওসমান গনি ভবনের তৃতীয় তলায় এলপি সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জের একই পরিবারের ৫ জনসহ ১১ জন আহত হয়। গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। সোমবার রাতে আহতদের মধ্যে নবীগঞ্জের রামপুর গ্রামের রিমন মিয়া (১৮) ও তার ভাগ্না হবিগঞ্জের উমেদনগর গ্রামের সামছুদ্দীনের ছেলে হোসাইন মিয়া (৬) ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়ে। বুধবার সকালে শিশু রাসেল মারা যায়। এ খবর এলাকায় পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ঘটনায় নিহত শিশু হোসাইনের মা বাবাও আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক একটার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। পরে আগুন দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ জানায়, ভবনের তৃতীয় তলায় চারটি ফ্ল্যাটে তিনটি পরিবার ছিল।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করে ঘর নির্মান করার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখলদার কে উচ্ছেদ করে নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে দখল মুক্ত করা হয়েছে। সোমবার(১১ মার্চ)দুপুর ৩টায় বানিয়াচং উপজেলার ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রঘুচৌধুরী পাড়ায় খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো:সাইফুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে নির্মিত ঘরটি ভেঙে দেন। জানাযায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অন্তরগত রঘুচৌধুরী পাড়ার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার পুত্র সহিদুর রহমান(৩০) সরকারি ডিসি খতিয়ানের কামালখানী মৌজার ২৯৯ দাগের একটি পুকুর ভরাট করে হঠাৎ করে পাকা পিলার ও ঢেউ টিন দিয়ে ঘরটি নির্মান কাজ শুরু করেন। অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট করে নির্মিত ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় অভিযুক্ত ব্যাক্তি কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই।

ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হবিগঞ্জের কিশোর হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, এমপি। ব্যারিস্টার সুমনের বাবা-মায়ের নামে এরশাদ-আম্বিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রবিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টায় চুনারুঘাট দক্ষিণা চরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা জহুর আলী। প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুয়াকাটা।

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আলেয়া আক্তার হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর স্ত্রী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ৫০১ ভোট। অপর প্রার্থী মোঃ ফরিদ আহমেদ তালুকদার ৬ ভোট এবং মোঃ নুরুল হক পেয়েছেন ৫ ভোট। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন ভোটারের মাঝে ১ হাজার ৭৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনে। নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ ভোটার ছিলেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়।

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ৫০১ ভোট। অপর প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন তালুকদার মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬ এবং নূরুল হক চশমা প্রতীকে ৫ ভোট জামানাত হারালেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুসফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিতে উপ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, শনিবার জেলার নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম পদ্ধতিতে। এতে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদের ১১০২ জন ভোটার ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

 

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31