Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 07 December 2024

Local News

Local News (227)

নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তি পাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১ জন যুবক নিহত ও অপর যুবক গুরুতর আহতর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত যুবক হলো,সুজাপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র রাজন মিয়া (২০),গুরতর আহত হলো,একই গ্রামের সাহেব আলী মিয়ার পুত্র আজিজুর মিয়া (২০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজন মিয়া স্থানীয় নতুন বাজারে ফিশারিতে কাজ করে। রাত ৯ টার দিকে রাজন মিয়া ও আজিজুর মিয়া বাড়ি থেকে এক সাথে বের হয়েছিলেন ফিশারিতে যাওয়ার জন্য। রাজন মিয়া ফিশারি থেকে আজিজুর মিয়াকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নবীগঞ্জ আসার পথিমধ্যে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আপর আহত আজিজুর মিয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি বাউসা ইউপি সদস্য মনির মিয়ার হেফাজতে রয়েছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউপি সদস্য মনির মিয়া।

নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরদী ঘোনাপাড়া মুরাদপুর এলাকার মাহমুদ আলী গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে তার গর্ভবতী স্ত্রী নিছফা আক্তার কে স্বজোড়ে লাথি মারলে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়েন। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধৃত মাহমুদ ওই এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উক্ত মাহমুদ আলী প্রায় ১৭ বছর পুর্বে উপজেলার করগাও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে নিছফা আক্তার কে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে বিয়ে করে। ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ২য় স্ত্রী কে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এনিয়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১ম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামীর মাহমুদ আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী স্বজোড়ে স্ত্রী নিছফা আক্তারের পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যু বরণ করে। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ সময় ঘাতক স্বামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, নিহতের পরিবার কোন মামলা দেয়নি। তবে আটককৃত মাহমুদ কে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি হবিগঞ্জ জেলা শাখার আওতায় নবীগঞ্জ উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের সাধারণ সভা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় নবীগঞ্জ বাজারের সোনাকনি অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্যা, নদী ভাঙ্গন, অগ্নিকান্ড, প্রচন্ড শীত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধপত্র, বস্ত্র, অস্থায়ী আশ্রয় সামগ্রী প্রদান এবং উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের দলনেতা ইকবাল হোসেন তালুকদার ও দলনেতা ২ মোঃ আসাদুজ্জামান সজল এর সঞ্চালনায় এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সাইফুর রহমান চৌধুরী দলনেতা ১, ফয়ছল আহমেদ বিভাগীয় প্রধান ( দূর্যোগ ও মানবিক সাড়া প্রদান), জাকারিয়া আহমেদ বিভাগীয় উপ- প্রধান ( দূর্যোগ ও মানবিক সাড়া প্রদান), মোঃ সামাদুজ্জামান তারেক বিভাগীয় প্রধান (আইসিটি, মিডিয়া ও যোগাযোগ), মোঃ কাউছার মিয়া চৌধুরী বিভাগীয় উপ-প্রধান (আইসিটি, মিডিয়া ও যোগাযোগ), রেদুয়ানুল হক চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান (প্রশিক্ষণ ও সহ-শিক্ষা), মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার সজীব বিভাগীয় উপ-প্রধান (প্রশিক্ষণ ও সহ-শিক্ষা), প্রিতম দেব বিভাগীয় উপ-প্রধান (স্বাস্থ্য সেবা), শেখ জায়েদুল আবেদিন বিভাগীয় উপ-প্রধান (তহবিল সংগ্রহ)। নবীগঞ্জ উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের দলনেতা ইকবাল হোসেন তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে সংঘটিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ সকল মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি হবিগঞ্জ জেলা শাখার আওতায় নবীগঞ্জ উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলের সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।

একসময় ছিলেন চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী (ওয়ার্ড বয়), বর্তমানে তিনি চক্ষু রোগের চিকিৎসক মোঃ তাজুল ইসলাম নবীগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছেন। পরবর্তীতে আটক তাজুলকে ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পানিউমদা মোকামপাড়া বাজারে এম ফার্মেসীতে মো. তাজুল ইসলাম চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময় স্থানীয় সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্যরা থাকে আটক করেন। কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেংগা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাবেক কর্মচারী (ওয়ার্ড বয়)। সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা জানান- গত বুধবার সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের উদ্যোগে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প করে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ সময় মৌলভী বাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপকালে কথিত চক্ষু চিকিৎসক মো. তাজুল ইসলাম চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণার করছেন বলে অবগত হন টিম প্রয়াসের সদস্যরা। অন্যদিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিমউদা ইউনিয়নের মোকাম বাজার এম ফার্মেসীতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত, বাল্লারহাট বাজারে অনুকূল ফার্মেসীতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত, ফার্ম বাজারে মিনি ফার্মেসীতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখতেন কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পানিউমদা মোকামপাড়া বাজারে এম ফার্মেসীতে মো. তাজুল ইসলাম রোগী দেখার সময় সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করেন। এসময় কথিত চিকিৎসক মো. তাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ের নানা অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে আটক করে পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সামাজিক সংগঠন টিম প্রয়াসের সদস্য শাহেদ আহমেদ ফরহাদ জানান- ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলামকে আটক করার পর তিনি বিগত সময়ে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ড বয় ছিলেন বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হবেন বলে আশ্বস্থ করলে ইউএনও অফিস থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান জানান- ভুয়া এক ডাক্তার আটকের খবর পেয়েছি, পরবর্তীতে থাকে ইউএনও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান- ভুয়া এক চক্ষু চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি, ইউএনও স্যারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

অভিযুক্ত কথিত চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. তাজুল ইসলাম বলেন- মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে এক সময় আমি ওয়ার্ড বয় ছিলাম, পরবর্তীতে আমার প্রোমোশন হয়। আমি চক্ষু চিকিৎসার উপরে বিভিন্ন ডিগ্রী নিয়েছি, তিনি বলেন- পানিউমদা স্থানীয় লোকজন আমাকে আটক করার পর আমাকে ইউএনও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাৎক্ষনিক আমি সার্টিফিকেট দেখাতে পারিনি, রবিবার সার্টিফিকেট নিয়ে যাবো বলায় আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। .

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নবীগঞ্জে লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচী ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নবীগঞ্জের সাধারণ ছাত্র-জনতার আয়োজনে শহরের গাজির টেক পয়েন্টে অবস্থান করে পল্লী বিদ্যুৎের লাগামহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দেন তারা। প্রায় ১ ঘন্টা চলা এ কর্মসূচীতে লোডশেডিংয়ের কারনে সীমাহীন ভূগান্তির কথা তুলে ধরেন বক্তারা। এসময় শহরের ওসমানী রোড, শেরপুর রোড ও হবিগঞ্জ রোডে সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

বক্তারা বলেন, পৌর শহরে এক থেকে দেড় ঘন্টা পর নিয়ম করে লোডশেডিং করা হলেও শহরতলী ও গ্রামাঞ্চলগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বেশীরভাগ সময়ই থাকে না বিদ্যুৎ। কোথাও এক থেকে দেড় ঘন্টা পরপর আট থেকে মিনিটের জন্য দেয়া হয় বিদ্যুৎ। আবার কখনো একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারন মানুষ। আবাসিক এলাকার বাসিন্দাসহ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল গৃহস্থালী কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীদের ফটোস্ট্যাট মেশিন, বাসা-বাড়ির ফ্রিজ, টিভি ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন দামি জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশী সময় বিদ্যুৎ না থাকলে ইন্টারনেট সেবাও কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিকাল ৩টার দিকে শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দিকে যাত্রা করেন এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য প্রদান করা হয়। প্রায় ২০ মিনিট পর আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানালে ৭-৮ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করেন নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। পরে বেলা ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎের সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য দেন ডিজিএম। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। নবীগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যতটুকু লোড প্রয়োজন এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ উদ্যোগ আমি নিয়েছি। শাহজীবাজার গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানীকে চিঠি দেয়া হয়েছে, আশা করছি অবস্থার উন্নতি হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে দৃঢ় ঘোষণা দেয়ার মতো অবস্থান আমার নেই। তবে নবীগঞ্জবাসীকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সেবা দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।এ সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই স্বপন চন্দ্র দাশ ও এসআই রাজিব রহমান।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে বজ্রপাতে হাওরে কাওসার মিয়া (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে মাছ ধরা অবস্থায় তিনি নিহত হন। কাওসার মিয়া উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের তাজুদ মিয়ার ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় কাওসার মিয়া তাহার বাড়ির পশ্চিমে যোগী ডর হাওরে মাছ ধরতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় কাওসার মিয়াকে দেখতে পান পরে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবীগঞ্জ থানায় খবর দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশে থানার এস আই স্বপন চন্দ্র দাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এদিকে কাওসার মিয়ার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বজ্রপাতে নিহতর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী।

 

 

 

নবীগঞ্জ উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মন মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এঘটনায় উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত মনা মিয়া (৬০) মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত কদর উল্লাহর ছেলে। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের তকমত উল্লাহর ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য সাফু আলমের সঙ্গে মৃত কদর উল্লাহর ছেলে মনা মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে সাফু আলম ও মনা মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল ও পিকল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় পিকলের আঘাতে বৃদ্ধ মনা মিয়া (৭০) নিহত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, এরই জের ধরে সংঘর্ষ হয়। 

নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে সিএনজিতে যাত্রী উঠানোর জেরে এক চালকের ছুরিকাঘাতে আরেক চালক খুন হয়েছেন!

খুন হওয়া সিএনজি চালকের নাম হাফিজুর রহমান (৩৫)। সে আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর এলাকার মৃত আব্দুস সালামের পুত্র। আর ঘাতক সিএনজি চালক মো: শিপন মিয়া একই ইউনিয়নের চৈতন্যপুর এলাকার আব্দুল আহাদের পুত্র৷

জানা গেছে- উপজেলার সৈয়দপুর বাজারের সিএনজি ষ্ট্যান্ডে গত ২৫ আগষ্ট রাত অনুমান ১১টার দিকে সিএনজিতে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে শিপন দারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম হাফিজুরের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে হাফিজুর গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হলে তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ২৬ আগষ্ট ভোর রাতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করলে ঐ দিনই তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, শের-ই বাংলানগর ঢাকায় ভর্তি করা হয়। হাফিজুরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (২৯ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সেখানে মৃত্যু হয়।

এদিকে নিহত হাফিজুরের চিকিৎসাধীন সময়ে সিলেট ওসামানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের এক পুলিশ সদস্যের ধারা ছল-চাতুরীর শিকার হয়েছেন তার স্বজনরা বলে অভিযোগ করেন নিহত হাফিজুরের চাচাতো ভাই আজিজুর।

আজিজুর প্রতিবেদকে জানান- তারা যখন হাফিজুরকে নিয়ে ওসমানী হসপিটালে আসেন তখন তার অনেক রক্ত যাচ্ছিলো আর ডাক্তারা তাকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব করায় আমরা তাৎক্ষণিক ডাক্তারের সঙ্গে রাগারাগি করি। এক পর্যায়ে ওসমানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের কনস্টেবল কাজী ইখতিয়ার উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের থামান এবং উনি নিজেকে এই হসপিটালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে আমাদের রোগী সহ আমাদের রোগীর উপর হামলার ঘটনায় আমাদের নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। পরে ওসমানীর ডাক্তাররা যখন বলেন হাফিজুরের অবস্থা খারাপ তাকে ঢাকায় নিতে হবে। তখন ওই পুলিশ সদস্য আমাকে জানান তাকে খুশি করার জন্য তখন আমি আইনী সহযোগিতার আসায় সরল বিশ্বাসে উনাকে নগদ ১ হাজার টাকা দেই আর উনাকে জানাই যে এখন রোগী নিয়ে আমরা ঢাকায় যাবো যখন আমরা মামলা করব তখন উনার সঙ্গে যোগাযোগ করর।

কিন্তু দু:খের বিষয় আমার ভাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ঢাকার হসপিটাল কর্তৃপক্ষ লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করতে পারবে না বলে জানালে আমি নিরুপায় হয়ে ওসামানীর ওই পুলিশ কনস্টেবলকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানালে তিনি বলেন “আরে বেটা আমি ওসমানীর ইনচার্জ তুমরা লাশ নিয়ে ওসমানীতে আসো যা করা লাগে আমি করব”। উনার কথা মতো ঢাকা থেকে আজ (৩০ আগষ্ট) সকাল ৫টায় আমরা ওসমানীতে পৌঁছানোর পর উনাকে দফায় দফায় ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি। এখন নিরুপায় হয়ে ফের সিলেট থেকে আমরা হবিগঞ্জে যাচ্ছি লাশের ময়নাতদন্তের জন্য।

 

এ ব্যাপারে ওসমানী হসপিটালের কনস্টেবল কাজী ইখতিয়ার উদ্দিনের ব্যবহৃত সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এসব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলতে পারবো না যা জানার আপনি দেখা করে জানেন। তবে এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে তার দাবি।

এ ব্যাপারে ওসামানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এস/আই জাফর ইমাম জানান- সে একজন কনস্টেবল যদি সে ইনচার্জ পরিচয়ে কোন অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি।

নবীগঞ্জে ছুরির আঘাতে আহত হওয়া হাফিজুর রহমান (৪২)  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাফিকুর রহমানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও চৈতন্য পুর গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র শিপন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শিপন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর মিয়াকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গত রবিবার (২৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৩ দিন আই,সি,ইউতে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, হাফিজুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।

নবীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিপন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ও চাচা গুরুতর আহত হয়েছে। পরে ক্ষুব্দ হয়ে নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের ভবের বাজার ব্রিজের নিকটে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত হুশিয়ার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- নিহত শিপনের ভাই কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের হুশিয়ার মিয়ার ছেলে শিপন ও কুটি মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, চরগাঁও গ্রামের শেখ আবিদের ছেলে শেখ সুমন মিয়াসহ ৭-৮ জন সহপাঠীর বিরোধ চলে আসছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভবেরবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শিপন মিয়া, কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। এ সময় ভবেরবাজার ব্রিজের নিকট পৌছামাত্র পূর্ব বিরোধের জের ধরে রুবেল, সুমনসহ ৭-৮ জন শিপন, কুটি ও জীবনের উপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত কুটি মিয়া ও জীবন মিয়াকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। নিহত শিপনের স্বজনদের অভিযোগ- পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শিপনকে শ্বাসরোদ্ধ করে রুবেল ও সুমনসহ ৭-৮ জন হত্যা করে। এ সময় তাদের হামলায় কুটি ও জীবন গুরুতর আহত হয়। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা। এদিকে এঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলার ঘটনায় জড়িত রুবেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় নিহত শিপনের স্বজনরা। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30 31