Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 04 May 2024

Local News

Local News (156)

সিলেট রেঞ্জ কর্তৃক চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে নবীগঞ্জ থানার পুলিশের অভিযানে পিকআপ গাড়ী,গরুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলীর নির্দেশনায় নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ শুক্রবারে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জিআর-১৬১/২২ এবং সিআর-২১৮/২৩ মামলার ওয়ারেন্ট ভূত্ত পলাতক আসামী রানীগাঁও গ্রামের এনাম উদ্দিন এর পুত্র আব্দুল আজিজ, ফুটারমাটি গ্রামের মাজিদ আলীর পুত্র ইয়ার হোসেন গ্রেফতার করেন। তাছাড়া অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকাজে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন একটি পিকআপ গাড়ী এবং ২টি চোরাই গরুসহ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক এলাকার সেলিম মিয়ার পুত্র ইসমাঈল (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৭, তারিখ -১৪/১০/২৩খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড মামলা রুজু করা হয়।শনিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী।

উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে সালমা বেগম (১৭) নামের এক কিশোরী গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের হেলাল মিয়ার কন্যা। গতকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সালমা বেগম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পরিবারের সকলের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে থাকে। শুক্রবার ভোর বেলা পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে সালমা বেগমকে ঘরের বারান্দায় পড়নের ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে এসআই মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। নিহত সালমা বেগম চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়। ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যার কারনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি।  আবার অনেকেই মনে করচ্ছেন তার পিতা তাকে  ফজরের নামায না পড়ায় গালি গালাজ  করেছিলেন এজন্য হতে পারে তাছাড়া সঠিক করে তার আত্মহত্যার কোন কারন জানা যায়নি।

যানজট বর্তমানে নবীগঞ্জ বাসীর জীবনে এক ভয়াবহ সমস্যা কারন হয়ে দেখা দাড়িয়েছে। যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে বা গন্ত্যবে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যানজট নবীগঞ্জের নাগরিক জীবনের নিত্যদিনের এক অসহনীয় ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যতই ক্ষোভ ও বিরক্তির কারণ হোক, এর হাত থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। নবীগঞ্জ শহরের  তীব্র যানজটের  পাশাপশি রয়েছে  শহরের প্রধান রাস্তা গুলোর বেহাল দশা, এসব যেন দেখার কেউ নেই। যান চলাচলের রাস্তার স্বল্পতা, অপরিসর রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুটপাত এর দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করে, এবং সিএনজি, মিশুক ও বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা ও নামানো, অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা, হকারদের ফুটপাত দখল ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, এই সব দেখার যেন কেউ নেই?  এ নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে, যানযট নিরসনের নেই কোনো ভূমিকা নেই ট্রাফিক পুলিশের। এতে প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, এতেই বাড়ছে  জনগনের ভোগান্তি। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যানযট নিরসনের দায়িত্ব কার.? এ সব দেখার কি কেউ নেই.? ট্রাফিক পুলিশ কোথায়.?এ সব কেন প্রশাসনের  নজরে আসছেনা। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্টের  রহস্যজনক নিরব ভূমিকা নিয়েও সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায় নেই ট্রাফিক পুলিশের কোন তৎপরতা। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, চাকুরীজীবি, কর্মজীবিও পেশাজীবি সহ নাগরিকদের চরম ভোগান্তিও সৃষ্টি হচ্ছে এই যানজটের কারনে। উপজেলা প্রশাসন যানজট নিরসনে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার জন্য একাধিকবার আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে পৌরসভাকে তাগিদ দেয়ার পরেও পৌর কর্তৃপক্ষের নীরবতায় হতাশা দেখা দিয়েছে। এক পথচারী এই প্রতিবেদকে বলেন, নবীগঞ্জ শহর এখন রাজধানীর মতো হয়ে গিয়েছে। তীব্র যানজটে করণ হচ্ছে হকাররা ফুটপাত দখল করে, এই ফুটপাতের দোকান গুলোর জন্য গাড়ি নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়া ও কষ্টকর। যানজটে আটকা পড়া এক এম্বুলেন্স চালক বলেন, রোগী নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা জামে আটকা পড়ে আছি। গাড়ির ভিতরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক রোগী। যানজট নিরশনে এখন পর্যন্ত কোন ট্রাফিক পুলিশ দেখতে পাইনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ অটোরিক্সা, মিশুক টমটম, ভ্যান,ইজিবাইক, শ্রমিক সমন্বয়ে গঠিত যাহার  নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রুস্তম আলী বলেন, নবীগঞ্জবাসীকে যানযট নিরসনের জন্য আমাদের সংঘটনের পক্ষ থেকে ৫ জন কমিউনিটি ট্রাফিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি সহযোগিতা করেন। তাহলে আশা করি অচিরেই নবীগঞ্জ শহরকে যানযট মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।  সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, নবীগঞ্জে যানজট সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে। ফুটপাত এর দোকান বসিয়ে রাস্তা দখল করা ছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে যানযট নিরসনের জন্য কমিউনিটি ট্রাফিক এর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ছিলাম। এবং রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্য আজ থেকে তিন বছর পূর্বে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ফুটপাত এবং রাস্তা দখল মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ইদানিং ও রাস্তা দখল যেই সেই আগের মত হয়ে গেছে যার ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, যানযট নিরসনে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ সকলের সহযোগীতায় ১ মাস ব্যাপি অভিযান চালিয়ে যানযট জিরো টলারেন্সে নিয়ে এসেছিলাম। তিনি আরো বলেন, একমাত্র আমার সময়ে এ রকম উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে ছিলাম। আমি মনে করি শহরের ড্রেনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, এভাবে আর যানযট সৃষ্টি হবে না। আমি নবীগঞ্জ বাসীকে বলতে চাই, এই নবীগঞ্জ আমাদের আমরা সবাই এগিয়ে এসে এর সমধার করা দরকার।

হবিগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকায় বাইপাস সড়কে বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় আলাউদ্দিন (২৮) নামে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক যাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন বানিয়াচং উপজেলার দোয়াখানী নতুন বাজার এলাকার নুর আলমের ছেলে। হবিগঞ্জ সদর থানার এএসআই খুর্শেদ আলম জানান, হবিগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকার সিপাহশালার সৈয়দ নাছির উদ্দিন একাডেমির সামনে শায়েস্তাগঞ্জগামী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালক নিহত হন।  তিনি আরো জানান, আহত এক যাত্রীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘাতক ট্রাকচালক পালিয়ে গেছে। ট্রাক ও সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 

 
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৯০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ ২ জন, চুরি মামলার ২ জন ও ওয়ারেন্টের ১ জন আসামীসহ ৫ জন আসামী গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলীর নির্দেশনায় বিভিন্ন মামলার ৫ আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের হলিমপুর সাকিনস্থ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ১০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ এবং ৮০ লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ(ওয়াস/জাওয়া)সহ হলিমপুরগ্রামের মৃত কালিচরণ দাসের পুত্র সুজন রবি দাস(৪২),মৃত মতিলাল রবি দাসের পুত্র লিটন রবি দাস(২৬)কে গ্রেফতার করা হয়।তাদেরকে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫ ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৬(১) সারণির২৪(খ)/৩৭ মামলা রুজু করতঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৪, ধারাঃ ৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড মামলার এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন,পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের মৃত আখিল মিয়ার পুত্রমোঃ রুয়েল মিয়া(২২),অভয়নগর এলাকার কুদরত আলীর পুত্র মোঃ শাফি আহমদ(২১) এবং সিআর-৫২২/২৩(নবী) মামলার  পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামী দূর্গাপুর গ্রামের আলাল উদ্দিন এর পুত্র  আইন উদ্দিন। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী।
 
 

  নবীগঞ্জে এক কেজি গাজাঁসহ নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌশতপুর গ্রামের মৃত এলাবর মিয়ার ছেলে ইদন মিয়া (৩৮) নামে এক গাজা ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। (১০ অক্টোবর) গতকাল সোমবার ইদন মিয়ার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  পুলিশ জানায়, ইদন মিয়া তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাজাসহ তাকে আটক করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে গাজার ব্যাবসা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসার ফনী ভুষন রায়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স তার নিজ বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌশতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার ঘর তল্লাশী করে প্রায় এক কেজি পরিমান গাঁজা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসার ফনী ভুষন রায় বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইদন মিয়াকে তার নিজ বাড়ি থেকে এক কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে নবীগঞ্জ থানায়  মামলা দায়েরের হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতা,শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভা আয়োজন করে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। গত সোমাবার বিকেলে উপজেলা হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দরা হলেন দিলাওর হোসেন, ইমাদুল হক চৌধুরী,নির্মলেন্দু দাস রানা, হাবিবুর রহমান হাবিব,রঙ্গলাল দেব,শাহরিয়ার নাদির সুমন,বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন বীর প্রতীক,জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ, রাকিল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া,সেলিম তালুকদার, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমেদ খান, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ বেলাল, প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির রাহেলা বেগম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক বিপুল দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া,শিক্ষিকা শাহিনুর চৌধুরী পান্না ,হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ রায়,কাউন্সিলর বাবুল দাশ,উপজেলা আনন্দ নিকেতনের সভাপতি দ্বীপংকর ভট্রাচার্য্য দেবুল, অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন রায়,সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম নাহিদ, স্বপন রবি দাস, রেজুয়ান আলম তুহিন, প্রমুখ।
 
 
 
 

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত টানা ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজির ক্ষেত,রোপা আমনের ক্ষেত,মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। দোকান ও বিভিন্ন নীচু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপরে পড়ে যাওয়ার খবর ও পাওয়া গেছে। সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার, সাউথপাড়া,তাম্বুলীটুলা,দাসপাড়া,পুরান তোপখানা, দত্তপাড়া, নাগেরখানা ও দরগা মহল্লা এলাকা ঘুরে দেখা যায় জলাবদ্ধতার কারণে বড়বাজার টু ৫/৬ নম্বর বাজার রাস্তার একাংশ তলিয়ে গেছে। পুরান তোপখানা গ্রামের রাস্তা তলিয়ে গেছে। নাগেরখানা গ্রামের রাস্তা ও দরগা মহল্লার রাস্তা তলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান ও আশপাশের নীচু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১ হাজার ৭০ হেক্টর রোপা আমন ও শীতকালীন আগাম সবজি ৫০ হেক্টরের মতো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করা হয়েছিল পূর্বগড় এলাকার গাছের গুড়ি হাওর,হাসানপুর, দানিয়ালপুর,সমসপুর,নবীন্দপুর, রংশ্রী ও নবীপুর হাওরে। ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ওই সমস্ত সবজির জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফসল রক্ষা করতে সবজি চাষীগণ সেচ মেশিন বসিয়ে অনবরত পানি সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। সমস্ত হাওরের রোপা আমন ধানের জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন হাওরের বদ্ধ জলাশয় ও পুকুরের বাধ ভেঙে তলিয়ে যাওয়ায় মাছের ঘেরের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। শীতকালীন আগাম সবজি চাষী মঞ্জু ও আলিফ মিয়া জানান,টমেটো ও ক্ষীরা ক্ষেতে পানি জমে গেছে। দিন-রাত পানি সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারছিনা। আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আর পারবো না। মাছের ঘেরের রাসেল মিয়া জানান হোন্ডার হাওরের অনেক বিলে প্রাকৃতিক মাছের পাশাপাশি চাষের মাছ ছেড়েছিলেন। হাওরে পানি হঠাৎ করে অসময়ে বাড়ার কারণে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার বোরহান আহমেদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান,সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করতে পারি নাই। শীতকালীন আগাম সবজি চাষীদের নিয়ে খুবই দু:শ্চিন্তায় আছি। রোপা আমন ৩ দিন পানিতে তলিয়ে থাকলেও সমস্যা হবেনা। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে সরকারিভাবে সহযোগীতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নে বজ্রপাতে হাওরে কাজ করা  অবস্থায় সাদি মিয়া (৪০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বজ্রপাতে সাদি মিয়া নিহত হন। সাদি মিয়া উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামের মৃত গোল মোহাম্মদ এর পুত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় সাদি মিয়া হাওরে কাজ করতে যান। হঠাৎ করে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় সাদি মিয়াকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাদি মিয়ার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । বজ্রপাতে নিহত বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী।

নবীগঞ্জ শহরের চৌদ্দ হাজারী মার্কেটে শুক্রবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকান মালিকের। শুক্রবার (০৬ অক্টোবর ) সাড়ে ৬ টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের প্রথম দোকান মা ক্লথ স্টোর নামক একটি কাপড়ের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। দোকানের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ দেব এর বড় ছেলে পলাশ দেব জানান , এই দুর্ঘটনায় তার দোকানের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানটি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী  পেশার লোকজন পরিদর্শন করেন।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31